রিফ্লেক্স সিমপ্যাথেটিক ডিস্ট্রফি কি? (Reflex sympathetic dystrophy)
রিফ্লেক্স সিমপ্যাথেটিক ডিস্ট্রফি হল এক ধরনের জটিল আঞ্চলিক ব্যথা সিন্ড্রোম (Complex Regional Pain Syndrome)। রিফ্লেক্স সিমপ্যাথেটিক ডিস্ট্রফি সমস্যার আসলে নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই তবে সাধারণত হাত ও পায়ে আঘাত, স্ট্রোকের কারণে স্নায়ুর ক্ষতি (Nerve damage), হার্ট অ্যাটাক, ইমিউন সিস্টেমের (Immune system) ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে। এটি হাত, পা ছাড়াও স্নায়ু, ত্বক, রক্তনালী ও হাড়ে ট্রিগার করতে পারে।
রিফ্লেক্স সিমপ্যাথেটিক ডিস্ট্রফি আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো হয়। আকুপাংচার একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি। কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত শশী হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা হয় (Reflex sympathetic dystrophy treatment in Dhaka, Bangladesh)। দেশ সেরা আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর তত্বাবধানে আকুপাংচার চিকিৎসা (acupuncture treatment in Dhaka, Bangladesh) সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।
আরএসডি/সিআরপিএস-এর লক্ষণগুলি কী কী?
রিফ্লেক্স সিমপ্যাথেটিক ডিস্ট্রফির মূল উপসর্গ হলো আঘাত বা অন্য কোনো কারণে তীব্র ব্যথা হওয়া। এই ব্যথা ক্ষণস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী ও হতে পারে। যদি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হয় যা সময়ের সাথে সাথে আরও খারাপ হতে পারে। নিচে আরও কিছু লক্ষণ রয়েছে:
- ব্যথা (Pain) বা জ্বলন্ত ভাব
- ব্যথার কারণে ফুলে যাওয়া
- পেশীর দুর্বলতা (Muscle weakness)
- ত্বক ফ্যাকাশে বা লাল হওয়া
- জয়েন্টে ব্যথা (Joint Pain)
- ব্যথার কারণে অস্বস্তি
রিফ্লেক্স সিমপ্যাথেটিক ডিস্ট্রফি হওয়ার কারণসমূহ:
- আঘাত
- ট্রমা: হাড় ভাঙ্গ বা অঙ্গচ্ছেদ
- সংক্রমণ
- এক পাশে পক্ষাঘাত
- স্নায়ুর চাপ
- স্ট্রোক (Stroke)
রিফ্লেক্স সিমপ্যাথেটিক ডিস্ট্রফি নিরাময়ে আকুপাংচারের ভূমিকাঃ
রিফ্লেক্স সিমপ্যাথেটিক ডিস্ট্রফি প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসাবে আকুপাংচার বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মানব শরীরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইমপালস কে বিভিন্নভাবে অবহিত করার মাধ্যমে আকুপাংচার রিফ্লেক্স সিমপ্যাথেটিক ডিস্ট্রফি এবং অন্যান্য ব্যথা নিবারণে যথেষ্ট কার্যকর বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।
আকুপাংচার এর মাধ্যমে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা অনেকাংশে বদ্ধিৃ পায় এবং শরীর অধিক কার্যক্ষম হয়। এছাড়া এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আকুপাংচার শরীরের বিভিন্ন অংশের মধ্যে এক ধরণের উদ্দীপনা তৈরী করে। যার কারণে ব্যথাযুক্ত স্থান গুলির মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা তৈরী হয় এবং ব্যথা ধীরে ধীরে প্রশমিত হতে থাকে। সুতরাং পার্শ্বপ্রর্শ্ব তিক্রিয়া মুক্ত আকুপাংচার বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। আকুপাংচার চিকিৎসার মলূ ভিত্তি হলো শরীরের মাংসপেশি, ব্লাড ভেসেল, রক্তনালী, ইত্যাদি।
আকুপাংচার পদ্ধতিতে রোগীর কশেরুকার যে লেভেলে সমস্যা আছে, আকুপাংচার পদ্ধতিটি সেই স্থানের আশেপাশে অবস্থিত চ্যানেলগুলোকে এর মাধ্যমে ইলেকট্রিক শক দিয়ে উদ্দীপিত করে। এতে সেই স্থানে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং বিভিন্ন রকম হরমোন নিঃসরণ হয়। এর ফলে উক্ত স্থানের ব্যথা উপশম হতে থাকে।আকুপাংচার পদ্ধতি প্রায় চার হাজার বছরের পুরনো একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে ব্যথা জাতীয় বিভিন্ন রোগের উপশম পাওয়া যায়। বর্তমান বিশ্বে আকুপাংচার একটি নিদারুণ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতির সবথেকে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো এটা পুরোপুরি ঔষধ ছাড়া একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা।
যেখানে রোগীকে কিছুসংখ্যক থেরাপি এবং আকুপাংচার ছাড়া অন্য কোন ঔষধ দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে ঔষধ না গ্রহণের ফলে রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় বদ্ধিৃ পায়। আকুপাংচার এর ফলে শরীরের ব্যক্তিগত স্থানগুলোর মধ্যে উদ্দীপনা তৈরী হয় এবং শরীরের ব্যথা উপশম হতে থাকে, রোগী সুস্থ হয়ে যায়। বাংলাদেশের আকুপাংচার চিকিৎসার জন্য যতগুলি বিশেষায়িত সেন্টার রয়েছে তার মধ্যে দক্ষ এবং প্রসিদ্ধ হলো শশী হাসপাতাল। শান্তিনগর চৌরাস্তা অবস্থিত শশী হাসপাতালে বর্তমানে আকুপাংচার এর সব থেকে ভালো এবং উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়।
See More…
বার বার প্রসাবে ইনফেকশন (Recurrent Lower Urinary Tract Infection) কি, লক্ষণ ও চিকিৎসা।