মুখের ব্রণ (Acne vulgaris) প্রতিরোধে আকুপাংচারের ভূমিকা | Dr S.M. Shahidul Islam

ময়লা কিংবা তৈলাক্ত প্রসাধনী থেকে ত্বকের তেল গ্রন্থি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন ত্বকের ভেতরের দিকে তেল জমে হয় ব্রন। এর পেছনে বয়সও কিছুটা দায়ী থাকে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ব্লগটি পড়ুন।

আকুপাংচারের মাধ্যমে ব্রণ ভালো হয়। এ পর্যন্ত অনেকেই আকুপাংচারের মাধ্যমে ব্রণের চিকিৎসা করে ভালো হয়েছে। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার ডাক্তার ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর থেকে আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে ব্রণের চিকিৎসা করে সুস্থ্য হয়েছেন অনেকেই।

মুখের ব্রণ (Acne vulgaris) কী?

ত্বকে ব্রণ  সাধারণ একটি অবস্থা যেখানে মৃত ত্বকের কোষ, ব্যাকটেরিয়া এবং ত্বকের তেল দ্বারা ত্বকের ছিদ্রগুলি আটকে যায়। ত্বকের ছিদ্রগুলি আটকে যাওয়ার ফলে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস এর মতো ব্রণের সৃস্টি হয়। ত্বকে ব্রণ হওয়ার ফলে ত্বকে পুঁজ জমে, কখনো কখনো ত্বক বেদনাদায়কও হয়ে ওঠে। এটিকে মেডিকেলের ভাষায় ব্রণ বা একনি ভালগারিস বলা হয়। ব্রণ সাধারণত হরমোন জনিত, মানসিক চাপ (Stress), খাদ্য, বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবহার ও জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে।

মুখের ব্রণ হওয়ার কারণ

ব্রণের প্রাদুর্ভাব খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। এটি সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে হয়ে থাকে। তবে সব বয়সে ব্রণের সমস্যা হতে পারে। আবার ব্রণের প্রাদুর্ভাব মহিলাদের ঋতুস্রাবের আগে দেখা দেয়। নিচে ত্বকে ব্রণ হওয়ার কিছু কারণের মধ্যে রয়েছে:

• মানসিক চাপ (Stress)
• হরমোনের পরিবর্তন
• জন্মনিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট
• নির্দিষ্ট কিছু প্রসাধনী
• জেনেটিক কারণ

মুখের ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়

ব্রণ একটি অস্বস্থিকর ব্যাপার। এটি মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে। বেশ কিছু উপায় ফলো করলে মুখের ব্রণ দূর করা যায়। নিচে ঘরোয়া উপায় গুলো দেওয়া হল:

• শশার রস লাগানো
• কাচা হলুদ লাগানো
• নিম পাতার রস
• চন্দন কাঠের গুড়ো লাগানো
• তুলশি পাতার রস লাগানো
• ডিমের সাদা অংশ লাগানো

মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সহ আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে কিভাবে ঔষধ ছাড়া মুখে ব্রণ থেকে মুক্তির পাওয়া যায়। ঢাকায় সেরা আকুপাংচার ডাক্তার (Best acupuncture doctor in Dhaka) Dr. S. M. Shahidul Islam এর তত্বাবধানে, বাংলাদেশের, ঢাকার সেরা আকুপাংচার চিকিৎসা (Best acupuncture treatment in Dhaka, Bangladesh) প্রদান করে আসছে শশী আকুপাংচার হাসপাতাল।

মুখের ব্রণ সমস্যা প্রতিরোধে আকুপাংচারের ভূমিকা

আধুনিক বিশ্বে ব্রণের সমস্যার জন্য বেশকিছু চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচলন রয়েছে। এর মধ্যে উন্নত একটি চিকিৎসা ব্যবস্থাটি হল আকুপাংচার।  আকুপাংচার প্রায়শই ব্রণের সমস্যায় আক্রান্ত  রোগীদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল এবং অন্যান্য স্নায়ুবিক সংগঠনগুলোকে উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রাথমিকভাবে যখন রোগীদের ব্রনের সমস্যা দেখা দেয়, প্রথমে রোগীর পুরো শরীর এবং ফেসে আকুপাংচার করা হয়। এটি শরীরের উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে এবং ধীরে ধীরে কাজ করা শুরু করে।

এছাড়া ব্রণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য আকুপাংচারের পাশাপাশি আরো কিছু চিকিৎসা  পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ওজন সাওনা থেরাপি ও ডিটক্স থেরাপি। মুখমন্ডলে আকুপাংচার প্রধানের ফলে জীবাণু নিষ্কাশিত হয় এবং ত্বক পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। যার ফলে ব্রনের মত অন্যান্য চর্মরোগ জনিত সমস্যা যেমন চুলকানি ও ফুসকুড়ি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।   আকুপাংচার শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করে এবং শরীর থেকে টক্সিন পরিষ্কার করে, যার ফলে চর্মরোগ থেকে অনেকাংশেই পরিত্রান মেলে।

আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরের উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এর সাথে কিছু শারীরিক ব্যায়াম এই স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।  আকুপাংচার একটি চীনা ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিগত চিকিৎসা। এর  উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো  এটি শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করে এবং স্নায়ু সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে। আকুপাংচার ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার পাশাপাশি শরীরকে আরও দক্ষ করে তোলার একটি চমৎকার উপায়। আকুপাংচারের মাধ্যমে কোষগুলি বৈদ্যুতিক শক দিয়ে উদ্দীপিত হয়,ফলে উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এই চিকিৎসাটি  শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত ​​​​প্রবাহ বাড়ায় এবং বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ করে যা অবস্থার উন্নতি করতে পারে।

See More…

দাঁত ব্যথা (Toothache) এর কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

শ্বাসকষ্ট সমস্যা ও ঘুমের সমস্যার প্রাকৃতিক চিকিৎসা এখন শশী হাসপাতালে