হাঁটুর ব্যাথা খুবই যণত্রণাদায়ক একটি ব্যাথা। যেকোনো বয়সেই এই ব্যাথা হতে পারে। হাটু ব্যাথার কারণে অনেক ধরণের সমস্যা যেমন হাটতে না পারা, নামাজ পড়তে না পারা, সিড়ি দিয়ে উঠতে না পাড়া সহ আরও অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে এই ব্যাথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে এই ব্যাথা হতে পারে। চলুন জেনে নেই হাঁটু ব্যথা দূর করার উপায়, লক্ষণ ও কারন।
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁটু ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আকুপাংচার একটি চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি, এই পদ্ধতিতে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া হাঁটু ব্যাথার চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের শশী হাসপাতাল (আকুপাংচার) এ হাঁটু ব্যাথার চিকিৎসা করা হয়ে। এখানে দেশের সুনামধন্য ও অভিজ্ঞ ডাক্তার ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর তত্বাবধানে আকুপাংচার চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন দেশ বিদেশের অসংখ্য রোগী।
হাঁটু ব্যথা কি? (What is Knee Pain)
হাঁটু ব্যথা (Knee Pain) হচ্ছে একটি সাধারণ সমস্যা। হাঁটু ব্যথা মূলত আঘাতজনিত, হাড়ক্ষয় বাত বা অস্টিওআথ্রাইটিসের কারণে হয়। এর ফলে নামাজ পড়তে সমস্যা, হাঁটাচলা বা দৌড়াতে সমস্যা, দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যথা করে, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে কষ্ট হয় প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়।
হাঁটু ব্যাথা কেন হয়?
হাঁটু ব্যাথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। জন্মগত কারণে হাড়ের গঠনে কোন সমস্যা থেকেও হতে পারে আবার হাঁটুতে আঘাত, ইনফেকশন, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে হাঁটুর ব্যাথা হতে পারে। নিচে হাঁটুর ব্যাথা কেন হয় কারণ গুলো জেনে নেই।
হাঁটু ব্যথা কাদের বেশি হয়?
হাঁটু ব্যথা সাধারণত সব বয়সে হতে পারে বিশেষ করে যাদের রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তবে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে লোকদের বেশি হাঁটু ব্যথা হয়। কারণ বয়স ৪০ বছরের বেশি হওয়ার পর আস্তে আস্তে শরীরের রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে থাকে।পাশাপাশি শরীরে হরমোনের প্রভাব ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ফলে হাড় ক্ষয় হওয়া শুরু করে এবং ব্যথা ও বাড়তে থাকে।
হাঁটু ব্যথার কিছু ঘরোয়া উপায়
হাঁটুর ব্যাথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যাথা। শুধুমাত্র ঔষধ খেলেই এই ব্যাথা কমে না। কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে দ্রুত হাঁটুতে ব্যাথা কমে। ডক্টরদের মতে হাঁটু ব্যাথার কমাতে ঘরোয়া উপায়গুলো বেশি কাজে দেয়।
হাঁটু ব্যথার কিছু ঘরোয়া উপায় নিচে তুলে ধরা হলো-
১। কোথাও বেখেয়ালিভাবে হাঁটু বা পায়ে আঘাত লাগলে কয়েকদিন নড়াচড়া কম করুন এবং ভারী কাজ না করলে দ্রুত হাঁটু ব্যথা আরোগ্য লাভ হবে।
২। দুর্ঘটনাজনিত ধাক্কা লেগে হাঁটুতে ব্যাথা পেলে ওই ব্যথার স্থানে বরফ দিন এবং ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখুন।
৩। শরীরে ওজন বেশি হওয়ার কারণে শরীর ভার হয়ে হাঁটু ব্যথা হতে পারে। তাই ওজন কমাতে পারলে হাঁটু ব্যথা সমস্যা থেকে অনেকটাই সমাধান মিলবে।
৪। আঘাতের কারণে হাঁটু ব্যথা হলে গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমতে পারে। এবং উঞ্চ জলে স্নান বা ব্যথার স্থানে উঞ্চ জল ব্যবহার করা যায়। এতে হাঁটু ও শরীর ভালো লাগবে।
৫। সাধারণ হাঁটু ব্যথা হলে যোগব্যায়ামের সাহায্য নিন। যোগব্যায়াম করলে শরীর সতেজ হয় এবং ব্যথাও কমবে। আর অতিরিক্ত আঘাত বা ঘা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
হাঁটু ব্যথায় আকুপাংচার এর ভূমিকাঃ
ঐতিহ্যগত চীনা চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, আকুপাংচার, যা সাধারণত ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ নিয়ন্ত্রণ সহ সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। আঘাতজনিত, হাড়ক্ষয় বাত বা অস্টিওআথ্রাইটিসের কারণে হাঁটু ব্যথা হয়। এসব সমস্যার জন্যে ও আকুপাংচারের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব। আকুপাংচার হল শরীরের কৌশলগত জায়গায় খুব সূক্ষ্ম সূঁচ প্রবেশ করানো। ফলে ওই স্থানটি উদ্দীপ্ত হয় এবং রক্ত চলাচল বৃদ্ধি ঘটে। যা শরীরের উক্ত স্থানের ব্যথা অপসারণ করতে থাকে। আকুপাংচার একটি নির্দিষ্ট সময় প্রয়োগ করতে হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনাকে আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী করে তোলে এবং শরীরকে আরো কার্যক্রম করে। এক্ষেত্রে আকুপাংচার দেওয়ার পূর্বে আপনার শরীরের উক্ত স্থান গুলিকে অবশ্যই পরিষ্কার করা হবে এবং দক্ষ আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ দিয়ে তা পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষণ এর পর আকুপাংচার সূঁচ গুলো শরীরের ব্যথা যুক্ত স্থানে প্রবেশ করানো হবে এবং ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সেটি রাখতে হবে।
এই ধরণের ব্যথা নিরাময়ে অনেক ভালো ভালো ফিজিওথেরাপি ও আকুপাংচার সেন্টার রয়েছে তার মধ্যে একটি অন্যতম হাসপাতাল হচ্ছে ঢাকার শান্তিনগর চৌরাস্তাতে অবস্থিত শশী হাসপাতাল। এখানে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দক্ষ আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডাঃ এস এম শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে আকুপাংচারের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তার দীর্ঘ সময়ের আকুপাংচার অনুশীলন এবং দক্ষ পদ্ধতি রোগীদের দীর্ঘসময় ধরে সেবা দিয়ে আসছে এবং অনেক রোগী ব্যথা থেকে মুক্ত হচ্ছে।
এই ধরণের যেকোনো ব্যথার সমস্যা নিয়ে আপনি যদি শশী হাসপাতালে আসতে চান, আসতে পারেন। মানবতার সেবায় সর্বদা শশী হাসপাতাল আপনার পাশেই রয়েছে।
Frequently Asked Questions (FAQ)
কি কি কারনে হাটুতে ব্যাথা হয়?
বিভিন্ন কারণে হাঁটুর ব্যাথা হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম দুইটি কারণ হলো রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্টিয়ো আর্থ্রাইটিস। এছাড়াও হাড়ে ক্ষয়, আঘাত ইত্যাদি কারণেও হাঁটু ব্যাথা হতে পারে।
হাটুর জয়েন্টে ব্যথার জন্য কখন ডাক্তার দেখাতে হবে?
হাঁটুর ব্যাথা খুবই যন্ত্রণা দায়ক ব্যাথা। হাঁটুর ব্যাথা দীর্ঘদিন ভুগছেন অনেকেই। আবার কেউ অবহেলা করে চিকিৎসা করছেন না। যার ফলে এর থেকে বড় কোন সমস্যা হতে পারে। মূলত হাঁটু ফোলা, অসহ্যকর ব্যাথা, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাথা, ব্যাথার জন্য হাটতে না পারা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে ঔষধ ছাড়া হাঁটুর ব্যাথা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাল হয়।
হাঁটু ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
তীব্র হাঁটুর ব্যাথা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে বাড়িতে হাঁটুর ব্যাথা কমানর কিছু নিয়ম রয়েছে, সেগুলো হল: ব্যাথা হলে বরফ দেওয়া, গরম সেক দেওয়া, হাঁটুতে ম্যাসাজ করা ইত্যাদি।
See More…
মাসিকের সময় পেটে ব্যথার (Dysmenorrhea) কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা
হাঁটু ব্যথা কেন হয়? হাঁটু ব্যথার দীর্ঘস্থায়ী ওষুধ | আকুপাংচার