গর্ভাবস্থায় সকালে বমি বমি ভাবকেই মূলত মর্নিং সিকনেস বলা হয়। এছাড়াও অন্যান্য সময় এই সমস্যা হতে পারে। ছেলেদের ক্ষেত্রেও মর্নিং সিকনেস হয়। এটা যে শুধু মেয়েদের হবে বিষয়টা এমন না। তবে গর্ভবতী নারীদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে মর্নিং সিকনেস রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। মেয়েদের পিরিয়ড ও গর্ভাবস্থায় থাকা কালীন মর্নিং সিকনেস বেশি হয়ে থাকে। এ সময় অন্যান্য ঔষধ খাওয়াটা শরীরের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তাই আকুপাংচার চিকিৎসা এই রোগের জন্য একটি উপযুক্ত চিকিৎসা হতে পারে। কারন আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া মর্নিং সিকনেস এর চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
মর্নিং সিকনেস কাকে বলে? (What is Morning Sickness)
মর্নিং সিকনেস (Morning Sickness) বলতে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। এটি সাধারণত মহিলাদের গর্ভাবস্থার সময় হরমোন পরিবর্তনের ফলে হয়ে থাকে। এই রোগ হলে অল্প খাবার খাওয়া ও বিশ্রাম নিলে স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে কিছু লোকের ক্ষেত্রে ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।
মর্নিং সিকনেস এর লক্ষণ
সাধারণত সকালে বমি বা বমি ভাব হওয়ার কারণকে মর্নিং সিকনেস বলা হয়। তবে এটি দিনের যেকোনো সময়ও হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের গর্ভাবস্থার সময় এটি হয়ে থাকে। এই রোগ এর উপসর্গ গুলির মধ্যে রয়েছে- বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, ক্ষুধা হ্রাস, শরীরে ক্লান্তি। এছাড়াও ক্ষুধামন্দা , মোশন সিকনেস ও গলায় কিছু আটকে আছে এমন লক্ষণের কথাও বলে থাকেন।
মর্নিং সিকনেস এর কারণ
এই রোগের এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে কিছু কারণে এই রোগ হয়ে তাকে তা হলো-
- লো ব্লাড সুগার
- রক্তশুন্যতা
- গর্ভাবস্থায় হরমোনের বৃদ্ধি
- বিপাকক্রিয়ার পরিবর্তন
- রক্তচাপের ঘনঘন পরিবর্তন
তবে অতিরিক্ত ক্লান্তি, নির্দিষ্ট কিছু খাবার, বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ বা উদ্বেগ এর কারণে এও রোগ আরও তীব্র হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
কাদের মর্নিং সিকনেস হওয়ার প্রবণতা কাদের বেশি?
গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেস হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ অবস্থায় মা’য়েদের নানান সমস্যা হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা বমি বমি ভাব। তবে সবার ক্ষেত্রে এর প্রবণতা এক নয়, চলুন জেনে নেই কাদের মর্নিং সিকনেস হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে:
সাধারণত এসকল কারণে মর্নিং সিকনেস হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে, তবে সকল গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে মর্নিং সিকনেস হওয়াটা স্বাভাবিক।
মর্নিং সিকনেস প্রতিরোধে আকুপাংচার চিকিৎসা
আধুনিক বিশ্বে মর্নিং সিকনেস এর জন্য বেশকিছু চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচলন রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থাটি হল আকুপাংচার। আকুপাংচার প্রায়শই এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল এবং অন্যান্য স্নায়ুবিক সংগঠনগুলোকে উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রাথমিকভাবে যখন রোগীদের নিউরন রোগগুলো দেখা দেয় তখন প্রথমে রোগীর পুরো শরীর এবং মাথায় আকুপাংচার করা হয়।
এটি শরীরের উদ্দীপনা আগে থেকে বৃদ্ধি করে এবং ধীরে ধীরে কাজ করা শুরু করে। আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরের উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এর সাথে কিছু শারীরিক ব্যায়াম এর ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আকুপাংচার একটি চীনা ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিগত চিকিৎসা। এর উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এটি শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা এবং স্নায়ু সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে।
আকুপাংচারের মাধ্যমে কোষগুলি বৈদ্যুতিক শক দিয়ে উদ্দীপিত হয়,ফলে উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এই চিকিৎসাটি শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ করে যা অবস্থার উন্নতি করতে পারে। নতুন উদ্দীপনা বেদনাদায়ক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, এবং এটি অবশেষে সম্পূর্ণ রূপে হ্রাস পায়। ফলে শরীরের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মর্নিং সিকনেসর মত অন্যান্য রোগের একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার চিকিৎসক ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর তত্বাবধানে ঢাকার শশী হাসপাতালে আকুপাংচার চিকিৎসা (Acupuncture treatment in Dhaka) দিয়ে থাকেন। এখনে আকুপাংচার চিকিৎসা নিয়ে এ জাতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন অনেকে। বিস্তারিত জানতে ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে পারেন।
See More…
ঔষধ ছাড়াও চিকিৎসা সম্ভব | ব্যথা চিকিৎসার নতুন বিকল্প
টরেট সিনড্রোম (Tourette Syndrome) এর লক্ষণ এবং আকুপাংচারের ভুমিকা