বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমে (এটিএন বাংলা) চাইনিজ ফুড ট্রিটমেন্ট এবং শশী হাসপাতাল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করছেন শশী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সজীব শেখ। স্বাস্থ্য জিজ্ঞাসা ATN Bangla-এর একটি জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে শশী হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চাইনিজ ফুড ট্রিটমেন্টের গুরুত্ব আলোচনা করা হয়েছে।
চীনা ফুট ট্রিটমেন্ট প্রাচীন নিরাময় শিল্প যা হাজার হাজার বছর পূর্বে চীন দেশে উদ্ভূত হয়েছে। চাইনিজ ফুট ট্রিটমেন্ট পা এবং পুরো শরীরে নিরাময়কে উন্নীত করার জন্য রিফ্লেক্সোলজি চিকিৎসার সাথে ঘষা এবং মালিশ করার কৌশলগুলিকে একত্রিত করে। এই সামগ্রিক ম্যাসেজ পদ্ধতিটি ঐতিহ্যবাহী চাইনিজ মেডিসিন (TCM) এর শিক্ষার মধ্যে নিহিত, যা পরামর্শ দেয় যে পায়ে সুস্বাস্থ্য শুরু হয়। TCM -এ যেমন শেখানো হয়েছে, মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রতিটি অঙ্গ, সিস্টেম এবং টিস্যুকে সংযুক্ত করে, শরীরের মধ্য দিয়ে অবিরাম শক্তি প্রবাহিত হয়।
পায়ে অনেক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংবেদনশীল স্নায়ু থাকে। চাইনিজ ফুট ট্রিটমেন্ট (CFT) এর মাধ্যমে, একজন দক্ষ অনুশীলনকারী আপনার পা এক ধরণের বিশদ শরীরের মানচিত্র হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন এবং নির্দিষ্ট অঙ্গগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মেরিডিয়ান পয়েন্টগুলিতে চাপ প্রয়োগ করে স্বাস্থ্যের অসুস্থতার চিকিৎসা করতে সহায়তা করতে পারেন। এই চাপ কার্যকরভাবে শরীরের দুর্বল বা সমস্যাযুক্ত এলাকায় শক্তি প্রেরণ করে, শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
শশী হাসপাতাল বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনের প্রসারে একটি নতুন দিগন্ত আলোকিত করেছে। “স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল”, এই মহান বাণীকে সামনে রেখে শশী হাসপাতাল বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন (TCM) ও আকুপাংচার। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যকরভাবে বেঁচে থাকার নতুন প্রচেষ্টাকে অনুপ্রাণিত করা।
বাংলাদেশর চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হল শশী হাসপাতাল। যেখানে প্রধান চিকিৎসা ব্যবস্থা হল আকুপাংচার । শশী হাসপাতালে আকুপাংচার এর মাধ্যমে ব্যথার চিকিৎসা দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় ধরে শশী হাসপাতাল এই আকুপাংচার সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমান সময়ে বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশে আসছেন আকুপাংচার চিকিৎসা গ্রহণের জন্য। বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন ভারত, সৌদি আরব, কাতার, দুবাই, তুর্কি, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে রোগীরা বাংলাদেশে এসে আকুপাংচার চিকিৎসা গ্রহণ করছেন এবং অভূতপূর্ব সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছেন। দুরারোগ্য ব্যাধির অভূতপূর্ব সাফল্যে নিয়ে শশী হাসপাতাল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে।