মায়ের বুকের দুধ কম তৈরি হওয়ার কারণ (Lactational deficiency)

মায়ের বুকের দুধ কম তৈরি হওয়ার কারণ (Lactational deficiency)

সদ্য জন্মগ্রহণ করা শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প অন্য কিছু নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে মায়ের বুকের দুধ কম উৎপাদন হয়। ফলে বাচ্চা পরিমান মতো খাবার পায় না। যার জন্য বাচ্চা কান্নাকাটি করে, শরীর খারাপ হয়ে যায়। মায়ের এমন সমস্যা হলে ডাক্তাররা বিভিন্ন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে মায়ের বুকের দুধ বাড়ানো সম্ভব। আকুপাংচার চিকিৎসা ও হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চললে মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর মতে সঠিক আকুপাংচার সেশন ও হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চললে মায়ের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমানে উৎপাদন হয়।

মায়ের বুকের দুধ কম তৈরি হওয়া (Lactation deficiency/ Failure)

স্তন্যপান বা বুকের দুধ পান হল গর্ভবতী মায়েদের শিশু জন্মের পর হরমোনের পরিবর্তনের ফলে স্তন্যপায়ী গ্রন্থিগুলির মাধ্যমে দুধ তৈরির হওয়ার একটি প্রক্রিয়া। কারো কারো পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ তৈরি হয় আবার কারোর কম। কিছু রোগের কারণে বুকে দুধের ঘাটতি হতে পারে যেমন- ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) , এবং অন্যান্য হরমোনজনিত কারণ। এছাড়াও মায়ের বুকে দুধ কম থাকার আরেকটি অন্যতম কারন হল সার্জারি। যদি কখনো ব্রেস্ট সার্জারি করে থাকলে দুধের পরিমাণ কম থাকতে পারে।

মায়ের বুকের দুধ কম তৈরি হওয়ার কারণ

মায়ের বুকে দুধ কম তৈরি হওয়ার জন্য এক বা একাধিক কারণ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। নিচে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো যার কারণে মায়ের বুকে দুধ কম তৈরি হতে পারে:

  1. বাচ্চাকে দেরিতে বুকের দুধ খাওয়ার কারণে মায়ের শরীরের দুধ উৎপাদন কমে যায়।
  2. বাচ্চার মায়ের দুশ্চিন্তার কারণে প্রোল্যাকটিন ও অক্সিটোসিন হরমোন পরিমাণ মতো তৈরি নাও হতে পারে। ফলে বাচ্চার মায়ের দুধের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
  3. জন্মনিরোধক বড়ি সেবন করার ফলেও অনেক সময় বাচ্চার মায়ের বুকে দুধ কমে যায়।
  4. অতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করলেও বুকে দুধ কমে যায়।
  5. পর্যাপ্ত পানি পান না করা।

প্রতিটি শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প কোন কিছুই নেই। আর সে মায়ের দুধ যদি না থাকে তাহলে শিশুর শরীরে খাবারের ঘাটতি পরে যাবে। মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন কম হওয়া শিশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর। বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন বাড়ানো যায়। উপায় গুলো নিচে দেওয়া হল:

  • বাচ্চাকে প্রথম ৬ মাস শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো
  • বাচ্চাকে বার বার উভয় স্তন থেকে দুধ খাওয়ানো
  • বাচ্চার মায়ের পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করা
  • প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
  • দুশ্চিন্তা (Anxiety) না করা ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো
  • বাচ্চার মায়ের ফলিক এ্যাসিড ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া

এ ধরনের সমস্যার এক অন্যতম সমাধান হল আকুপাংচার ও হেলদি লাইফস্টাইল। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার হাসপাতাল “শশী হাসপাতাল” এ মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর জন্য চিকিৎসা রয়েছে, সেই সাথে শশী হেলদি লাইফস্টাইল ফলো করে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে আকুপাংচার চিকিৎসার খুবই কার্যকরী। আকুপাংচার একটি চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি। প্রায় ৫০০০ বছর ধরে এই চিকিৎসা চলে আসছে। বর্তমানে এর আধুনিক রুপ নিয়েছে। দেশ বিদেশে বাড়ছে আকুপাংচারের চাহিদা।

বাংলাদেশের একজন অন্যতম সেরা আকুপাংচার ডাক্তার ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার শশী হাসপাতাল (আকুপাংচার) এ চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন। তার চিকিৎসা ও হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চলে অনেক মায়েরা তাদের এমন সমস্যা থেকে নিরাময় পেয়েছেন।

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর বাচ্চার প্রধান খাদ্য থাকে মায়ের বুকের দুধ। মায়ের দুধের বিকল্প কোন কিছুই নেই। আর এই মায়ের দুধ উৎপাদন যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যাবে, দেখা দেবে নানান সমস্যা। যা একজন মায়ের কাছে খুবই বেদনা দায়ক।

আকুপাংচার চিকিৎসা ও হেলদি লাইফস্টাইল ফলো করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার হাসপাতাল “শশী হাসপাতালে” থেকে আকুপাংচার চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়েছেন অনেকেই। এছাড়াও শশী হেলদি লাইফস্টাইল ফলো করে খুব সহজেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।

See More…

যৌন সমস্যা হলে করণীয় | যৌন সমস্যার চিকিৎসা | যৌন সমস্যার ওষুধ | আকুপাংচার

রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ (Pain in thromboangiitis obliterans) এর লক্ষন ও ঔষুধ বিহীন চিকিৎসা

Leave a Reply

Receive the latest news

Subscribe To My Weekly Newsletter

Get notified about new articles