ফাইব্রোমায়ালজিয়া Fibromyalgia কী?
ফাইব্রোমায়ালজিয়া (Fibromyalgia) শব্দটির সাথে অনেকেই পরিচিত না হলেও লক্ষণগুলির সাথে পরিচিত। ফাইব্রোমায়ালজিয়া হচ্ছে শরীরের প্রায় সমস্ত পেশী এবং জয়েন্ট গুলির প্রদাহ। এর ফলে শরীরে ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা, হতাশা এবং সমস্ত শরীরে ব্যথা হতে পারে।
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে কোন প্রকার ঔষধের ব্যবহার ছাড়া ফাইব্রোমায়ালজিয়ার চিকিৎসা করা হয়। আকুপাংচার মূলত চীনা প্রাচীন চিকিৎসা মাধ্যম, যার মাধ্যমে এ জাতীয় সমস্যার সমাধান করা যায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার চিকিৎসক ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর চিকিৎসা নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছেন দেশ ও বিদেশের অনেকে রোগী।
ফাইব্রোমায়ালজিয়া কেন হয়?
এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনো খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে কিছু কারণে ফাইব্রোমায়ালজিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি নিচে তা উল্লেখ করা হলোঃ
- জেনেটিক বা বংশগতির কারণে
- বিষণ্ণতার কারণে
- ঘুমের সমস্যার কারণে
- ট্রমাটিক ঘটনা অর্থাৎ শৈশবে শারীরিক ও মানসিক ভাবে আঘাত
- অতিরিক্ত মানসিক উদ্বেগের প্রভাবে অনিয়ন্ত্রিত হরমোন নি:সরণ
ফাইব্রোমায়ালজিয়ার উপসর্গগুলি কী কী?
- মাইগ্রেন।
- ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রা ভাব।
- কথা আটকে যাওয়া ভাব হওয়া।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
- কোনো তথ্য মনে রাখতে অসুবিধা হওয়া।
- কোমর, হাঁটু, কনুই, কাঁধে, জয়েন্টে ব্যথা সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথার কারনে অস্বস্তি। এই ব্যথা কয়েক সপ্তাহ ধরে হতে পারে।
ফাইব্রোমায়ালজিয়া রোগ হলে করণীয়
ফাইব্রোমায়ালজিয়া শুধু লিগামেন্টে ব্যথার সমস্যা নয় বরং পেশিতে ও ব্যথার সমস্যা হয়। যা দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রভাব ফেলে। এই রোগে পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি এই সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে পরিত্রানের করণীয়ঃ
- বেশি পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি খেতে হবে।
- বেশি করে পানি পান করা।
- পরিমিত পরিমাণে আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া।
- যোগব্যায়াম করা।
- অতিরিক্ত লবন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- পরিমিত পুষ্টিকর ভিটামিন জাতীয় খাবার, খনিজ লবন, স্নেহ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
ফাইব্রোমায়ালজিয়া রোগ নিরাময়ে আকুপাংচারের ভূমিকা
ফাইব্রোমায়ালজিয়া চিকিৎসা এর জন্য সিম্পটম অনুসারে আকুপাংচার চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখন আকুপাংচার কী? আকুপাংচার হল শরীরের নির্দিষ্ট আকুপয়েন্ট অর্থাৎ কৌশলগত স্থান গুলিকে পরিষ্কার করে খুব সূক্ষ্ম সূঁচ প্রবেশ করানো। যা সাধারণত ব্যথা পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়। ফলে ওই স্থানটি উদ্দীপ্ত হয় এবং রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি ঘটে। শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনাকে আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী করে তোলে এবং শরীরকে আরো কার্যক্রম করে। যা ফাইব্রোমায়ালজিয়া রোগ নিরাময়ে ও বেশ কার্যকর।
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে শশী হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগিকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ফাইব্রোমায়ালজিয়া নামক রোগের ও আকুপাংচারের মাধ্যমে শশী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব। আকুপাংচারের পাশাপাশি এই রোগের সিম্পটম অনুসারে সিভিএফটি ও ওজোন থেরাপি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। সিভিএফটি ও ওজোন থেরাপি মাইগ্রেন, বিষণ্ণতা, ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রা দূর করে এবং ওজোন থেরাপি নেওয়ার ফলে আইবিএস জনিত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ও দূর করে দেয়।
এই ধরণের ফাইব্রোমায়ালজিয়া নামক সমস্যা ও যেকোনো ব্যথার সমস্যা নিয়ে আপনি যদি শশী হাসপাতালে আসতে পারেন। মানবতার সেবায় সর্বদা শশী হাসপাতাল আপনার পাশেই রয়েছে।
See More…
হাঁটুর ব্যথা দূর করার করণীয় | Knee Pain Treatment | Acupuncture