মানবদেহ বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। বিদ্যুতিক প্রভাব রয়েছে এমন কোন খোলা তারের সংস্পর্শে এলেই তা সহজে শরীরকে বিদ্যুতায়ন করে। প্রচলিত ভাষায় যাকে বলা হয় কারেন্ট শক খাওয়া বা বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হওয়া। এ ধরনের ঘটনা আমাদের জীবনে খুবই সাধারণ। কখনো কখনো বাড়ির বা অফিসের কোন কাজ করতে গিয়ে অসতর্কতা বসত এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনেক সময় কারেন্ট বা বৈদ্যুতিক শকের কারণে ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরী। বিদ্যুৎ এর সাথে সম্পর্কিত দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সাবধানতা এবং বৈদ্যুতিক শক খেলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যাবশ্যক।
বৈদ্যুতিক শক কি?
বৈদ্যুতিক শক হচ্ছে দেহে ইলেকট্রিক কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার ফলে সৃষ্ট শারীরিক প্রতিক্রিয়া। শরীর বৈদ্যুতিক চালক হিসেবে কাজ করে এবং যখন কোনো উৎস থেকে বিদ্যুৎ শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে, তখন এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ টিস্যু, মাংসপেশী এবং স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। বৈদ্যুতিক শকের ফলে সাধারণত দেহে পোড়া দাগ, পেশী সংকোচন এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে এটি অনেক ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হতে পারে।
বৈদ্যুতিক শক খেলে কি হতে পারে?
বৈদ্যুতিক শক একটি সাধারণ দুর্ঘটনা, তবে এর ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মানুষ গুরুতর আঘাত পেতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। অনেক সময় আমরা অসাবধানতার কারণে বৈদ্যুতিক শকের শিকার হই। বৈদ্যুতিক শকের প্রভাব নির্ভর করে শকের শক্তি, প্রবাহের পরিমাণ, কারেন্টের ধরন (AC বা DC), এবং বৈদ্যুতিক শকের সময়কাল উপর। নিম্নলিখিত কিছু সম্ভাব্য ক্ষতির উদাহরণ দেওয়া হলো:
শারীরিক আঘাত: বৈদ্যুতিক শক খেলে শরীরের উপর বিভিন্ন প্রভাব পড়তে পারে। এটি মাংসপেশি সংকোচন, হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা, বা এমনকি হার্ট অ্যাটাক সৃষ্টি করতে পারে। শকের মাত্রা অনুযায়ী আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। হালকা শকে সাধারণত সামান্য অসুস্থতা অনুভূত হয়, কিন্তু গুরুতর শকের ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি, স্নায়বিক সমস্যা এবং মৃত্যুও ঘটতে পারে। বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে দেহের কোষে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হয় যা দেহের মাংসপেশী, চামড়া ও অন্যান্য টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সাধারণত বৈদ্যুতিক শকের কারণে পোড়া দাগ দেখা যায়। তাই বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা খুব জরুরি। বিপদের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন, কারণ এটি জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। সচেতনতা এবং সাবধানতা বৈদ্যুতিক শকের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে।
পেশী সংকোচন: বৈদ্যুতিক শক পেলে শরীরের পেশীগুলি স্বাভাবিকভাবে সংকুচিত হতে শুরু করে। এটি সাধারণত শকটির তীব্রতা এবং সময়কাল অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সামান্য শকের ফলে পেশীগুলি হালকা সংকোচন অনুভব করতে পারে, তবে উচ্চতর তীব্রতার শকের ফলে গুরুতর পেশী সংকোচন, পেশীর আঘাত বা এমনকি পেশী প্যারালাইসিসও হতে পারে। বৈদ্যুতিক শক স্বাভাবিক স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমকে বিঘ্নিত করে, যা পেশী সংকোচনের জন্য প্রয়োজনীয় সিগন্যাল প্রেরণে বাধা সৃষ্টি করে।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা: বৈদ্যুতিক শক হৃদযন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এটি হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বিঘ্নিত করতে পারে, যার ফলে হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হতে পারে। এর ফলে অ্যারিথমিয়া, হৃদযন্ত্রের আক্রমণ বা এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। শক খাওয়ার পর ব্যক্তি যদি অজ্ঞান হয়ে পড়ে বা শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা অনুভব করে, তাহলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন। শক প্রভাবিত অঞ্চলে তীব্র ব্যথা, পেশী দুর্বলতা বা অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি: বৈদ্যুতিক শক খেলে স্নায়ুতন্ত্রে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শক মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু কোষের উপর প্রভাব ফেলে, যা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বিঘ্নিত করে। এই শকের ফলে স্নায়ু যোগাযোগ ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে পেশীতে দুর্বলতা, অস্বাভাবিক সংবেদন, কিংবা পক্ষাঘাত হতে পারে। শকের সময়কাল অনুযায়ী স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতির মাত্রা পরিবর্তিত হয়। এটি সাময়িক বা স্থায়ীভাবে স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে, ফলে ব্যথা, অস্থিরতা এবং চলাচলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতির কারণে শরীরের কোনো অংশে অচেতনতা বা অসাড়তা অনুভূত হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট: বৈদ্যুতিক শক খেলে শরীরের উপর বিপজ্জনক প্রভাব পড়তে পারে, যার মধ্যে শ্বাসকষ্ট অন্যতম। বৈদ্যুতিক প্রবাহ শরীরের নার্ভ এবং পেশির কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, ফলে শ্বাসনালি সংকুচিত হতে পারে। এর ফলে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিতে পারে, যা শ্বাসকষ্টের কারণ হয়। যদি শক গুরুতর হয়, তবে শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি, হৃদস্পন্দনের বিঘ্ন, এবং কখনও কখনও মৃ্ত্যুও ঘটতে পারে। পেশী সংকোচনের ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
বৈদ্যুতিক শক খেলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পদ্ধতি
বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার পর পরই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সঠিকভাবে না হলে দুর্ঘটনার পরিণাম আরও গুরুতর হতে পারে। তাই বৈদ্যুতিক শকের ঘটনা ঘটলে কীভাবে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করা উচিত এবং কারেন্টের শক খেলে দ্রুত পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত, তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারেন্টের শক খেলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা উচিত:
১. বিদ্যুতের উৎস থেকে মুক্ত করা
বৈদ্যুতিক শক খেলে দ্রুত প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিদ্যুতের উৎস থেকে মুক্ত করা উচিত। নিরাপত্তার জন্য শুকনো কাঠের টুকরা বা প্লাস্টিকের বস্তু ব্যবহার করে তাকে স্পর্শ না করেই বিদ্যুতের সংযোগ থেকে আলাদা করুন। বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করা বা প্লাগটি সরিয়ে ফেলাও একটি বিকল্প। যদি ব্যক্তি নিস্তেজ হয়ে যায়, তবে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস বা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে, সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) প্রয়োগ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা সাহায্য নেওয়া জরুরি।
২. সাহায্যের জন্য কাউকে ডাকা
বৈদ্যুতিক শক খেলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে ডাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শক লাগার সাথে সাথেই প্রথমে শিকারকে বিদ্যুৎ উৎস থেকে আলাদা করতে হবে, তবে সতর্ক থাকুন যেন নিজেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট না হন। ৯৯৯ বা স্থানীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইতে হবে। বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা গুরুতর হতে পারে, তাই পেশাদারদের সাহায্য পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আক্রান্ত ব্যক্তিকে শুইয়ে রাখুন এবং তার শারীরিক অবস্থার উপর নজর দিন যতক্ষণ না পেশাদার সাহায্য আসে।
৩. ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা
বৈদ্যুতিক শক খেলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমেই রোগীর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কিনা এবং হৃদস্পন্দন সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা যাচাই করা জরুরি। যদি শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ থাকে, সঙ্গে সঙ্গে সিপিআর দিতে হবে। রোগীর চামড়ার অবস্থা, পোড়ার সম্ভাব্য চিহ্ন খুঁজে বের করা এবং দ্রুত ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এছাড়া, বিদ্যুতের উৎস থেকে রোগীকে আলাদা করার পর বিদ্যমান অবস্থার ভিত্তিতে জরুরি বিভাগে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুত চিকিৎসা না নিলে বৈদ্যুতিক শক গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে।
৪. পোড়া ক্ষত
বৈদ্যুতিক শকের ফলে শরীরে পোড়া ক্ষত হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে হবে এবং আহত ব্যক্তিকে নিরাপদ স্থানে সরাতে হবে। পোড়া ক্ষত ঠান্ডা করার জন্য শীতল পানি ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে বরফ ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত। পোড়া স্থানে পরিষ্কার গজ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিন এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে অ্যান্টিসেপ্টিক প্রয়োগ করুন। গুরুতর পোড়া হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। বৈদ্যুতিক শকজনিত ক্ষত দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে, তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৫. দেহের অন্যান্য আঘাত
বৈদ্যুতিক শকের সময় যদি ব্যক্তি উচ্চ স্থান থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয় বা শরীরের অন্য কোনো অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তবে সেই আঘাতের জন্যও দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
৬. চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা
বৈদ্যুতিক শকের পর ব্যাক্তির শারীরিক অবস্থা যদি স্থিতিশীলও থাকে, তবে তার শরীরে অভ্যন্তরীণ ক্ষতি হতে পারে। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যাবশ্যক।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া এড়াতে সতর্কতা
বৈদ্যুতিক শকের ঝুঁকি কমাতে নিম্নলিখিত কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত:
- নিরাপদ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পেতে, সবসময় নিরাপদ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা জরুরি। যেকোনো বৈদ্যুতিক কাজ করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে সরঞ্জামগুলো সঠিকভাবে ইনসুলেটেড এবং পরীক্ষিত। পানির কাছাকাছি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা বিপজ্জনক হতে পারে, তাই সেগুলো থেকে দূরে থাকা উচিত। ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক সুইচ বা যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। ইলেকট্রিক সার্কিট ও ওয়্যারিং পরীক্ষা করার সময় অবশ্যই উপযুক্ত মানের নিরাপত্তা উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। আর নিয়মিত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সার্ভিসিং করাও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
- ভেজা হাতে বিদ্যুৎ স্পর্শ না করা
বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মারাত্মক ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ভেজা হাতে কখনোই বিদ্যুৎ স্পর্শ করবেন না। পানি বিদ্যুৎ প্রবাহকে দ্রুত চালিত করে, যা সহজেই দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বা সুইচ বোর্ড স্পর্শ করার আগে হাত ভালোভাবে মুছে নিতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আশেপাশে কোনো পানি নেই। বিশেষ করে বাথরুম বা রান্নাঘরের মতো ভেজা পরিবেশে বিদ্যুতের সাথে সরাসরি সংস্পর্শ এড়ানো উচিত।
- প্রটেকশন সার্কিট ব্রেকার (RCD) ব্যবহার
বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঝুঁকি কমাতে, রেসিডুয়াল কারেন্ট ডিভাইস (RCD) বা প্রটেকশন সার্কিট ব্রেকার ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। RCD হলো একটি নিরাপত্তা ডিভাইস যা ইলেকট্রিক সার্কিটে অস্বাভাবিক কারেন্ট প্রবাহ সনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, ফলে মানুষকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। RCD ব্যবহার করলে বিভিন্ন গৃহস্থালি সরঞ্জাম যেমন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন বা কম্পিউটার ইত্যাদির কারণে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। সঠিক স্থাপনা ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিপদ থেকে পরিবারকে নিরাপদ রাখা যায়।
- বিদ্যুতের তারগুলো ঢেকে রাখা
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পেতে বিদ্যুতের তারগুলো সঠিকভাবে ঢেকে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় উন্মুক্ত বা খারাপ অবস্থায় থাকা তারগুলো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই, বাড়ির বাইরে বা যেখানে শিশুরা খেলাধুলা করে, সেখানে তারগুলোকে শক্তিশালী কভার বা সুরক্ষিত উপায়ে ঢেকে রাখা উচিত। এছাড়াও, প্রতিটি পরিবারের উচিত নিয়মিত বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পরীক্ষা করা, যাতে কোনো ত্রুটি থাকলে তা সময়মতো শনাক্ত করা যায়। বিদ্যুৎ সম্পর্কিত কাজ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা এবং পেশাদারদের সাহায্য নেওয়া জরুরি। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
- শিশুদের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে রাখা
শিশুদের জন্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলি বিপজ্জনক হতে পারে, তাই তাদের সুরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। প্রথমত, বৈদ্যুতিক ক্যাবল ও যন্ত্রপাতি যাতে শিশুদের হাতের নাগালে না থাকে, তা নিশ্চিত করুন। দ্বিতীয়ত, বৈদ্যুতিক পণ্য ব্যবহার করার সময় নজরদারি করা উচিত। তৃতীয়ত, শিশুদের শেখান বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সঙ্গে খেলাধুলা না করার গুরুত্ব। চতুর্থত, বাড়িতে বৈদ্যুতিক ডিভাইসের নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি যেমন সার্কিট ব্রেকার ও অন্যান্য সরঞ্জাম যথারীতি উচু স্থানে ও শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। সর্বদা সতর্ক থাকলে, শিশুদের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
পরিশেষে
বৈদ্যুতিক শক একটি ভয়ানক দুর্ঘটনা যা মানুষের জীবন হুমকির মুখে ফেলতে পারে। কারেন্টের শক খেলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া এবং সঠিক চিকিৎসা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈদ্যুতিক শকের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতনতা আমাদের জীবন বাঁচাতে পারে এবং গুরুতর ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে। বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করার সময় সবসময় সাবধানতা অবলম্বন করা এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য।
ডা. এস. এম শহীদুল ইসলাম একজন স্বনামধন্য আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ পেইন এন্ড প্যারালাইসিস ডাক্তার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঔষধ বিহীন চিকিৎসা আকুপাংচারের মাধ্যমে সফলতার সাথে চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন। তার চিকিৎসা ব্যথা নিরাময়ের জন্য ব্যপক সফলতা পেয়েছে। তিনি বাংলাদেশের একজন সেরা ব্যথার ডাক্তার (Best pain doctor in Bangladesh) হিসেবেও খ্যাত। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থিত SUO XI Hospital (Acupuncture) এ চীফ ভিজিটিং কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
Book a appointment for pain and paralysis doctor
Phone: 09613-100600
Address: SUO XI Hospital, 24/1 Shaan Tower, Chamelibag, Shantinagar, Lift 5, Dhaka 1217
Map Direction: Click here