বমি বমি ভাব এবং বমির (Nausea and Vamiting) লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা

বমি বমি ভাব বা বমির (Nausea and Vomiting) লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা

বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এমন একটি লক্ষণযা আমরা প্রায় প্রত্যেকের জীবনেই একবার হলেও অনুভব করেছি। বমি বমি ভাব বা বমি কে ইংরেজিতে Nausea and Vomiting বলা হয়। বিভিন্ন কারণে আমাদের এই সমস্যা হতে পারে। তবে মেয়েদের গর্ভাবস্থায় এর প্রবণতা বেশি দেখা যায়। চলুন জেনে নেই বমি বমি ভাব দূর করার উপায়।

আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া চিকিৎসা হওয়ায় নেই কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। বাংলাদেশের সুনামধন্য আস্কুপাংচার ডাক্তার ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম থেকে চিকিৎসা নিয়ে এ পর্যন্ত দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন রোগী সুস্থ্য হয়েছেন। এসকল রোগীদের গল্প জানতে ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে পারেন।

বমি বমি ভাব বা বমি কি? (Nausea and Vomiting)

বমি বমি ভাব কি? বলতে, পেটের ভেতরে অস্বস্তিকর অনূভূতি যা বমি করার জন্য প্রেশার দিয়ে থাকে। বমি হল মুখের মাধ্যমে পেটের বিষয়বস্তুর অনৈচ্ছিক বা স্বেচ্ছায় বহিস্কার করা।

বমি বমি ভাব (Nausea) ও বমি হওয়া (Vomiting) এক নয়। কারো ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব অনুভূত হয় কিন্তু বমি হয় নয়, একে ইংরেজিতে Nausea বলে এবং বমি হওয়াকে Vomiting বলে। বিভিন্ন কারণে বমি হয়ে থাকে। এটি হওয়ার সাথে সাথে অনেকের মাথা ঘোরা বা মাথা ব্যাথাও হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব বেশি হয়ে থাকে।

বমি বমি ভাব বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই। তবে এর কিছু প্রধান লক্ষণ রয়েছে।
নিচে বমি বমি ভাব এর কারন ও লক্ষণ গুলো দেওয়া হল:

  • গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব হয় (মর্নিং সিকনেস)
  • রক্তচাপের ঘনঘন পরিবর্তন
  • বিপাকক্রিয়ার পরিবর্তন
  • মোশন সিকনেস
  • ফুড পয়জনিং
  • জ্বর মাথাব্যাথা
  • মাথা ঘোরানো
  • ডায়রিয়া
  • মাইগ্রেন
  • মদ্যপান

তবে অতিরিক্ত ক্লান্তি, নির্দিষ্ট কিছু খাবার, বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ বা উদ্বেগ এর কারণে মর্নিং সিকনেস আরও তীব্র হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার কার্যকরী চিকিৎসা করা হয়। বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত শশী হাসপাতাল (Acupuncture treatment hospital in Dhaka, Bangladesh) এ আকুপাংচার চিকিৎসা নিয়ে ভাল হয়েছেন অনেকেই। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন

বিভিন্ন কারণে বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সারাদিন এমন অনুভূতি হতে পারে। এক্ষেত্রে সবার প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যেগুলো মেনে চললে বমি বমি ভাব দূর করা যায়।

বমি বমি ভাব দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় নিচে দেওয়া হল:

  • মরিঙ্গা চা খাওয়া
  • আদা খাওয়ার অভ্যাস
  • পুদিনা পাতা খাওয়া
  • কোমল পানীয় না খাওয়া
  • দারু চিনি খাওয়া
  • পর্যাপ্ত পানি খাওয়া

আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার সমস্যা ভালো হয়। বাংলাদেশের সব থেকে বড় আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর (Best acupuncture doctor in Dhaka, Bangladesh) থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছেন অনেকেই। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইউটিউব চ্যানেলটি দেখুন।

যাদের বমি বমি ভাব, এই সমস্যা রয়েছে তাদের বেশ কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নিম্নে সেই বিষয় গুলো দেওয়া হলো:

  • খুব গরম বা ভাজা-পোড়া পরিহার করতে হবে
  • খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে খেতে হবে
  • খাওয়ার সাথে বা পরে অতিরিক্ত পানি খাওয়া যাবে না
  • খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমানো যাবে না
  • পেটের উপর টাইট করে বেল্ট বা ফিতা বাধা যাবে না

বমি বমি ভাব প্রতিরোধে আকুপাংচার এর ভূমিকা

আধুনিক বিশ্বে বমি বমি ভাব এর জন্য বেশকিছু চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচলন রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাটি হল আকুপাংচার। আকুপাংচার প্রায়শই বমি বমি ভাব আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল এবং অন্যান্য স্নায়ুবিক সংগঠনগুলোকে উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রাথমিকভাবে যখন রোগীদের নিউরন রোগগুলো দেখা দেয় তখন প্রথমে রোগীর পুরো শরীর এবং মাথায় আকুপাংচার করা হয়। এটি শরীরের উদ্দীপনা আগে থেকে বৃদ্ধি করে এবং ধীরে ধীরে কাজ করা শুরু করে। আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরের উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এর সাথে কিছু শারীরিক ব্যায়াম এই স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আকুপাংচার একটি চীনা ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিগত চিকিৎসা। এর উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এটি শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করে এবং স্নায়ু সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে।

আকুপাংচার ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার পাশাপাশি শরীরকে আরও দক্ষ করে তোলার একটি চমৎকার উপায়। আকুপাংচারের মাধ্যমে কোষগুলি বৈদ্যুতিক শক দিয়ে উদ্দীপিত হয়,ফলে উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এই চিকিৎসাটি শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ করে যা অবস্থার উন্নতি করতে পারে। নতুন উদ্দীপনা বেদনাদায়ক এলাকায় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, এবং এটি অবশেষে সম্পূর্ণ রূপে হ্রাস পায়। ফলে শরীরের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মর্নিং সিকনেসর মত অন্যান্য রোগের একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অনেকের ক্ষেত্রে সারাদিন বমি বমি ভাব অনুভূত হয়ে থাকে, এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদের গর্ভাবস্থায়, মাইগ্রেন, পিরিয়ডের সমস্যা, কেমোথেরাপি ইত্যাদি কারণে সারাদিন বমি বমি ভাব হতে পারে।

বমি বমি ভাব খুবই অস্বস্তিকর একটি অনুভূতি। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে। বমি বমি ভাব কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা হল: মরিঙ্গা চা খাওয়া, আদা খাওয়ার অভ্যাস, পুদিনা পাতা খাওয়া, কোমল পানীয় এড়িয়ে চলা, দারু চিনি খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি খাওয়া ইত্যাদি।

মেয়েদের বমি বমি ভাব বিভিন্ন কারণে হতে পারে তবে এর মধ্যে প্রধান একটি কারন হলো মর্নিং সিকনেস বা গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব। এছাড়াও পিরিয়ডের সময় বমি বমি ভাব হতে পারে।

Leave a Reply

Receive the latest news

Subscribe To My Weekly Newsletter

Get notified about new articles