ঘাড় ব্যথা (Neck Pain) একটি অতি সাধারণ ঘটনা আমাদের জীবনধারায়, এবং নানা কারণে ঘটে থাকে। এছাড়া আপনার শোয়ার ভুল ভঙ্গিমার জন্য হয়ে থাকে। আর্থ্রাইটিস ঘাড় ব্যথার একটি সাধারণ কারণ। ঘাড়ে ব্যথা আরও গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। ঘাড়ে ব্যাথার ধরন বিভিন্ন রকম হতে পারে, অনেকের ক্ষেত্রে ঘাড়ের বাম পাশে ব্যাথা হয় আবার অনেকের ক্ষেত্রে দুই পাশেই হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে হঠাৎ ঘাড়ে ব্যাথার সৃষ্টি হয়। ঘাড় ব্যথার কারন কী? লক্ষণ ও মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই ব্লগে। এছাড়াও কিভাবে আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে ঘাড় ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এ বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত শশী আকুপাংচার হাসপাতালে, চীনা অথেনটিক আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাবহার করে সফলতার সাথে ঘাড় ব্যথার (Best neck pain treatment hospital in Dhaka, Bangladesh) চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সুনামধন্য আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম। আকুপাংচার চিকিৎসায় জটিল ও কঠিন রোগের মুক্তি পেয়েছেন এমন রোগীদের গল্প জানতে ভিজিট করুন ইউটিউব চ্যানেলটি।
ঘাড় ব্যথা কী?
ঘাড়ে ব্যাথা মূলত এক ধরনের বেদনা, যা বিভিন্ন কারনে হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যাথা ক্ষণস্থায়ী হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষত্রে ঘাড় ব্যাথা জনিত কারনে ঘাড়ের রগ টেনে ধরে। ঘাড়ের পেশিতে টান বা চাপ লাগার ফলেও ঘাড়ে ব্যাথা হয়ে থাকে।
ঘাড় ব্যথার কারণ
ঘাড় ব্যাথার নির্দিষ্ট কোন কারন নেই। মূলত ঘাড়ের টিস্যু ক্ষয়, দীর্ঘ সময় একজায়গায় বসে কাজ করা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ঘাড়ের ব্যাথা হয়ে থাকে। ঘাড়ে ব্যাথা (Neck Pain) সাধারণত শুরুতেই বড় পরিসরে ছড়ায় না, এটি ধীরে ধীরে অনুভূত হতে থাকে। ঘাড় ব্যাথার কারণগুলো নিচে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো:
- পেশী টান: পেশিতে টান লাগার কারণে ঘাড় ব্যাথা হতে পারে।
- স্নায়ু সংকোচন: ঘাড় ব্যাথার অন্যতম একটি কারন হলো স্নায়ু সংকোচন, স্নায়্বু সংকুচিত হলে ঘাড়ে ব্যাথা হয়ে থাকে।
- আঘাত: ঘাড়ে কোন প্রকার আঘাত পেলে সেখান থেকে ব্যাথা হতে পারে, সাধারণত অনেকের ক্ষেত্রে আঘাতজনিত ঘাড়ে ব্যাথা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।
- স্পাইনাল কর্ড: স্পাইনাল কর্ডের কোনো টিস্যু যদি ফুলে যায়, তাহলে স্লিপ ডিস্ক হতে পারে। সেখান থেকেও ঘাড়ে ব্যথা হয়।
- একভাবে বসে থাকা: একভাবে বসে কোন কাজ করলে কাঁধ বা ঘাড় ব্যাথা হতে পারে।
- দুশ্চিন্তা: অনেক সময় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকেও ঘাড়ের ব্যাথা হতে পারে।
- বাত ব্যাথা: বাত ব্যাথায় কারনেও ঘাড়ে ব্যাথা হতে পারে।
- ঘুমানোর ধরণ: ঘুমানোর সময় শোয়ার ধরনের উপর ঘাড়ে ব্যাথা হতে পারে।
- ভারী কাজ: ভারী কোন কিছু উচু করা বা এ জাতীয় কাজের ক্ষেত্রে ঘাড়ের রগে টান লাগতে পারে, ফলে ব্যাথা সৃষ্টি হতে পারে।
- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মেনিনজাইটিস বা ক্যান্সারের মতো কয়েকটি রোগ ঘাড় ব্যথার কারণ হতে পারে।
সাধারণত উপরে দেওয়া কারন গুলোর জন্যই ঘাড় ব্যাথা (Neck Pain) হয়ে থাকে। এগুলো ছাড়াও আরও অন্যান্য কারনে ঘাড়ে ব্যাথা হতে পারে।
বাংলাদেশের মধ্যে সবথেকে সেরা ঘাড় ব্যথার চিকিৎসা (Best neck pain treatment in Dhaka, Bangladesh) প্রদান করা হয় শশী হাসপাতাল (আকুপাংচার) এ। সেখানে দেশ সেরা আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহিদুল ইসলাম এর তত্বাবধানে এ চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
ঘাড় ব্যথার লক্ষণ
ঘাড় ব্যাথার লক্ষণ বলতে, দেখা গেল সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বুঝতে পারলেন যে আপনার ঘাড়ের ডান পাশে ব্যাথা করছে বা ঘাড় নাড়াতে পারছেন না। আবার দেখা গেল কোন কাজ করতে যেয়ে হঠাৎ ঘাড় ব্যথা শুরু হয়ে গেল। এছাড়াও বেশ কিছু ঘাড়ে ব্যাথার প্রধান লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:
- পেশীর খিঁচুনি
- ঘাড়ের কোমলতা
- ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া
- পা এবং বাহু দুর্বলতা
- পা এবং হাতের অসাড়তা
- ঘাড় নাড়াতে অক্ষমতা
- ঘাড় ফুলে যাওয়া
- ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা
ঘাড়ে ব্যথা হলে কি করা উচিত?
প্রথমত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও অতিরিক্ত ব্যাথা হলে কিছু ঘরোয়া উপায়ে ঘাড়ে ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তবে সেটা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে নিতে পারেন। ঘাড় ব্যাথা থেকে মুক্তিতে ঘরোয়া উপায় গুলো নিচে দেওয়া হল:
- ব্যাথাযুক্ত স্থানে হিটিং প্যাড দিয়ে উষ্ণ তাপ দেওয়া।
- ঘাড় মালিশ করা
- ঘাড়ের ব্যাথার ব্যায়াম করা
- ঘুমানোর সময় ঠিক ভাবে শোয়া বা ঘাড়ের নিচে ছোট শক্ত বালিশ রাখা
- কাধে ভারী কোন ব্যাগ বহন না করা
- অতিরিক্ত ঘাড় নাড়ানো কাজ থেকে বিরত থাকা
উপরক্ত নিয়ম গুলো মেনে চললে প্রাথমিক ভাবে ঘাড়ে ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। বাংলাদেশের মধ্যে সবথেকে সেরা ঘাড় ব্যথার চিকিৎসা (Best neck pain treatment in Dhaka, Bangladesh) প্রদান করা হয় শশী হাসপাতাল (আকুপাংচার) এ।
ঘাড়ে ব্যথা হলে কিভাবে ঘুমানো যায়?
ঘাড় ব্যাথা হলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ঘুমানো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যাথার জন্য ঘুমানো যায় না। আবার ঘুমানোর ধরনের উপর নির্ভর করে কাধের ব্যাথা বেড়ে যেতে পারে। এজন্য ঘাড়ে ব্যাথা হলে ঘুমানোর জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়। সেগুলো নিচে দেওয়া হল:
- ঘুমানোর সময় উচু বালিশ ব্যবহার করা যাবে না।
- বেশি শক্ত বালিশে ঘুমানো যাবে না, আবার খুব নরম বালিশেও ঘুমানো যাবে না।
- বালিশ এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে মাথার সাথে ঘাড়েও ভালোভাবে সাপোর্ট পায়।
- মাঝারি ধরণের বিছানায় ঘুমাতে হবে, অর্থাৎ খুব বেশি শক্ত না আবার খুব বেশি নরমও না।
- শোয়ার সময় মেরুদন্ড সোজা করে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
- ঘাড়ের নিচে সাপোর্ট হিসেবে ছোট বালিশ রাখা যেতে পারে।
উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চললে ঘাড়ে ব্যাথা অবস্থায় ঘুমানোর জন্য ভালো উপকার পাওয়া যায়। এগুলো ছাড়াও ঘাড়ে ব্যাথা থেকে মুক্তির জন্য আরও বিভিন্ন টিপস পেতে ঢাকার সেরা আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট (Best acupuncture specialist in Dhaka), ডা. এস. এম. শহিদুল ইসলাম এর ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল ফলো করতে পারেন।
ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা হলে কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হয়?
ঘাড়ে ব্যাথা অনেক ধরনের হয় থাকে। কিছু ঘাড় ব্যাথা ঘরোয়া চিকিৎসায় ভালো হয়, কিন্তু কিছু ব্যাথা আছে যেগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়। অনেক দিন ধরে ব্যাথা থাকে, এসকল ব্যাথা হয়ে থাকলে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডক্তার রোগীর অবস্থা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন।
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে ঔষধ ছাড়া ঘাড়ে ব্যাথা থেকে মুক্তি উপায়
ঔষধ ছাড়া ঘাড়ে ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে। আকুপাংচার একটি প্রাচীন চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি। যা ব্যাথা নিরাময় (Pain Relief) সহ আরও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। এটি বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা (WHO) কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত চিকিৎসা পদ্ধতি। আকুপাংচারের মাধ্যমে কোন ঔষধ ছাড়া বিভিন্ন জটিল ব্যাথা ও রোগ নিরাময় করে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞগন। সেই সাথে এই চিকিৎসার সফলতার হার অধিক হওয়ায়, সচেতন ব্যাক্তিরা আকুপাংচার চিকিৎসার দিকে ঝুকছেন। ঘাড়ে ব্যাথার চিকিৎসা হিসেবে আকুপাংচার বর্তমান সময়ে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন। খুব অল্প সময়ে ডাক্তারের দেওয়া চিকিৎসার কোর্স ও পরামর্শ মেনে চললে আকুপাংচার চিকিৎসায় ঘাড়ে ব্যাথা ভালো হয় (Neck pain relieved by Acupuncture)।
বাংলাদেশের বহুল পরিচিত এবং দেশসেরা পেইন ও প্যারালাইসিস ডাক্তার ও আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ, ডা. এস. এম. শহিদুল ইসলাম , ঢাকায় অবস্থিত শশী আকুপাংচার হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া ঘাড় ব্যথার চিকিৎসা (Non medicine treatment in Bangladesh) দিয়ে আসছেন।
ফ্রীতে বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর বিভিন্ন স্বাস্থ সচেতনামূলক টিপস জানতে অন্যান্য ব্লগ পড়ুন অথবা ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলটি ফলো করতে পারেন।
পরিশেষে
ঘাড় ব্যথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যাথা। বিভিন্ন সময় নানা কারনে ঘাড়ে ব্যাথা হয়ে থাকে। ঘাড় ব্যথার কারন কী? লক্ষণ ও মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থেকে ঘাড়ে ব্যাথা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গিয়েছে। ঘাড়ে ব্যাথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি নিরাময় যোগ্য ব্যাথা। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি ঘাড় ব্যাথা ভাল হয়ে থাকে।
ঘাড় ব্যাথা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আকুপাংচার একটি কার্যকরী চিকিৎসা হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে। আকুপাংচারের মাধ্যমে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়াই ঘাড়ের ব্যাথা ভাল করা যায়। ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের একজন সুনামধন্য এবং অভিজ্ঞ আকুপাংচার ডাক্তার। তার কাছ থেকে দেশ ও বিদেশের থেকে বিভিন্ন রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে ঘাড় ব্যথা থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন। আকুপাংচার চিকিৎসায় আরোগ্যপ্রাপ্ত রোগীদের গল্প জানতে ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর স্যোশাল মিডিয়া ও ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে পারেন।
See More…
পিএলআইডি কেন হয়? পিএলআইডি হলে করণীয় বা চিকিৎসা | আকুপাংচার
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (Erectile dysfunction) বা উত্থান জনিত সমস্যা প্রতিরোধে আকুপাংচার চিকিৎসা