হেপাটাইটিস বি ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় ও HBV এর ঔষধ ছাড়া চিকিৎসা, ফ্রী'তে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয় হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয় হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায় হেপাটাইটিস বি কি জন্ডিস হেপাটাইটিস বি কি ছোঁয়াচে রোগ হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ (HBV) হেপাটাইটিস বি কেন হয় হেপাটাইটিস বি হল একটি ভাইরাস যা যকৃতকে সংক্রমিত করে। এটি দীর্ঘস্থায়ী এবং গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ। ঔষধ ছাড়া দ্রুত হেপাটাইটিস বি এর আকুপাংচার চিকিৎসা। হেপাটাইটিস বি এর চিকিৎসা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়, ঔষধ ছাড়া চিকিৎসা হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার উপায় হেপাটাইটিস বি পরীক্ষা ভাইরাস একটি ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস কি? এবং কীভাবে ছড়ায়? (Hepatitis B Virus)

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) কি? বলতে, এটি হলো হেপাটাইটিস বি থেকে হওয়া একটা ভাইরাস যা সাধারণত যকৃতে সংক্রমন করে। একে জন্ডিসও বলা হয়ে থাকে। এই ভাইরাসের ফলে রোগীর তীব্র অসুস্থতা অনুভব হয়। এই ভাইরাস বিভিন্ন ভাবে ছড়াতে পারে যেমন রক্ত, লালা, যৌনতা, আক্রান্ত ব্যাক্তির লাল মিশ্রিত খাবার ইত্যাদি মাধ্যমে। এই রোগ অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। HBV কি? এবং হেপাটাইটিস বি ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আজকের ব্লগে।

হেপাটাইটিস বি এর চিকিৎসায় আকুপাংচার কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। আকুপাংচার একটি প্রাচীন চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কোন প্রকার ঔষধ এর ব্যবহার করা হয় না। বর্তমানে সারাবিশ্বে এই চিকিৎসা পদ্ধতি খুব জনপ্রিয়। দেশের সেরা আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম (Best acupuncture doctor in Dhaka, Bangladesh) বর্তমানে বাংলাদেশে এই চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন। তার থেকে আকুপাংচার চিকিৎসা নিয়ে এপর্যন্ত অসংখ্য দেশী ও বিদেশী রোগী সুস্থ্য হয়েছেন।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস কী?

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস জনিত কারণে সংক্রমিত হয় যেটি লিভারে আক্রমণ করে এবং লিভারে ক্ষত করে টিস্যুগুলির প্রদাহ সৃষ্টি করে। এই সংক্রমণ অল্প কিছু দিনের মধ্যে ভালো হতে পারে। আবার দীর্ঘস্থায়ী ভাবেও এই সংক্রমণ থাকতে পারে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে হেপাটিইটিস বি এর ইনফেকশন বেশি দেখা যায়।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়?

সাধারণত এই ভাইরাসটি তরল পদার্থের মাধ্যমে ছড়ায়। সেজন্য সচেতন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। নিম্নে এই ভাইরাসটি যাদের কাছে ছড়াতে পারে তার মধ্যে রয়েছে-

  • গর্ভবতী মায়ের হেপাটাইটিস থাকলে শিশুর ও হতে পারে
  • সংক্রামিত ব্যক্তির সুঁচ বা সিরিঞ্জের ব্যবহার করলে
  • এই ভাইরাসটি সংক্রামিত অন্যের রেজার ব্যবহারের মাধ্যমে
  • সংক্রামিত ব্যক্তির রক্তের মাধ্যমে
  • শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে
  • বিভিন্ন অপারেশনের যন্ত্রপাতির মাধ্যমে

হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ

মানব শরীরে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার ফলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস একটি সক্রমিত পরজীবী। এর আক্রমণে মানুষ শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থ হয়ে পরে। যার মধ্যে অন্যতম কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হল:

  • জ্বর
  • ক্লান্তি
  • ক্ষুধামন্দা
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলুদ হওয়া
  • জন্ডিস (চোখ এবং ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া

হেপাটাইটিস বি একটি মারাত্মক ভাইরাস, যা মানব শরীরের ভয়ানক ক্ষতি করে। এটি লিভারের বেশ বড়সর ক্ষতি করতে সক্ষম। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এট একটি নিরাময় যোগ্য রোগ।সঠিক চিকিৎসা করলে দ্রুত সময়ে হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করা যায়।

হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার ক্ষেত্রে আকুপাংচার কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন প্রকার ঔষধের ব্যবহার না হওয়ায় সারা বিশ্বে এর ব্যবহার ব্যপক ভাবে বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের একজন সুনামধন্য আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম। দেশ সহ বিদেশের অনেক রোগী এখন শুধুমাত্র আকুপাংচার চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশে আসছেন তার থেকে, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অবিশ্বাস্য বিষয়।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে আকুপাংচার চিকিৎসা

আকুপাংচার, একটি ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধের অনুশীলন যা শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলিতে পাতলা সূঁচ ঢোকাতে জড়িত, হেপাটাইটিস বি সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য একটি বিকল্প ও কার্যকর পদ্ধতি হিসাবে বিবেচিত হয় । এটি হল হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (HBV) দ্বারা সৃষ্ট একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যা প্রাথমিকভাবে সংক্রামিত রক্ত বা অন্যান্য শারীরিক তরলের সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের প্রাথমিক পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে টিকা, নিরাপদ যৌন অনুশীলন এবং দূষিত রক্ত বা শরীরের তরলের সংস্পর্শ এড়ানো।

এখানে বিবেচনা করার জন্য কিছু মূল বিষয় রয়েছে

হেপাটাইটিস বি টিকাঃ এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় টিকা দেওয়া। ভ্যাকসিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে  প্রতিরোধ  তৈরির একটি নিরাপদ এবং অত্যন্ত কার্যকর উপায়। এটি সমস্ত ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়, এবং এটি প্রায়শই তিন থেকে চারটি ডোজের একটি সিরিজে পরিচালিত হয়।

নিরাপদ যৌন অভ্যাসঃ এই ভাইরাস যৌন যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে, তাই কনডম ব্যবহার করে নিরাপদ যৌন অভ্যাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, বিশেষ করে যারা টিকা পাননি তাদের জন্য।

দূষিত রক্ত এবং শরীরের তরলের সংস্পর্শ এড়ানোঃ এই ভাইরাস সংক্রামিত রক্ত এবং অন্যান্য শারীরিক তরলের সংস্পর্শে যেমন সূঁচ, ক্ষুর বা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি আইটেম ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে। এই অনুশীলনগুলি এড়িয়ে চলা এবং স্বাস্থ্যসেবা সেটিংসে সতর্কতা অবলম্বন করা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে।

আকুপাংচার বিভিন্ন স্বাস্থ্য অবস্থার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য এটি একটি প্রস্তাবিত পদ্ধতি। আকুপাংচারে ব্যবহৃত সূঁচগুলি সাধারণত একক ব্যবহার, জীবাণুমুক্ত এবং নিষ্পত্তিযোগ্য, যা রক্তবাহিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। যাইহোক, আকুপাংচারের প্রাথমিক ফোকাস ই জাতীয় ভাইরাস-এর মতো সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের পরিবর্তে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিস্তৃত সমস্যার সমাধান করা এবং সামগ্রিক সুস্থতার প্রচার করা।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য টিকা এবং নিরাপদ অনুশীলনের মতো প্রমাণিত চিকিৎসা পদ্ধতির উপর নির্ভর করা অপরিহার্য। আপনার যদি এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ থাকে বা টিকা দেওয়ার কথা ভাবছেন, তাহলে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করার পরামর্শ দেওয়া হয় যিনি আপনার নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য চাহিদা এবং ঝুঁকির উপর ভিত্তি করে নির্দেশনা এবং সুপারিশ প্রদান করতে পারেন।

See More…

সরিষা তেল নিয়ে পরামর্শ ও পর্যালোচনা | Mustard Oil

ঘাড় শক্ত (Stiff Neck) হওয়ার লক্ষণ, কারণসমূহ ও চিকিৎসা

Leave a Reply

Receive the latest news

Subscribe To My Weekly Newsletter

Get notified about new articles