রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ কী? (Pain in thromboangiitis obliterans)
রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ বলতে রক্তনালী সরু হয়ে যাওয়া বা রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালীগুলি ব্লক হয়ে যেতে পারে। যা বার্জারস ডিজিস (Buerger Disease) ও বলা হয়। যেটি হাত ও পায়ের রক্তনালীতে এই ধরনের প্রদাহ বেশি দেখা দেয়। রক্তনালীর বাধাজনিত কারণে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশি দেখা দেয়।
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ দূর হয়। এই মাধ্যমে বেশ কিছু চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে যা রক্তনালীর বাধা দূর করে যেমন: ওজোন সাওনা থেরাপি, লিক ভেজিটেবল ইত্যাদি। বাংলাদেশের আকুপাংচার স্পেশালাইজড হাসপাতাল “শশী হাসপাতালে” এই চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ এর লক্ষণ
রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ এর কারণে রক্তনালী সরু হয়ে যায় বা জমাট বেধে ব্লক হয়ে যায়। এর ফলে নানান রোগের সৃষ্টি হয়। রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ এর কিছু লক্ষণ রয়েছে যা এই সমস্যার উপস্থিতিকে বোঝায়। নিচে লক্ষণগুলো দেওয়া হল:
- পায়ের পাতার রক্ত নালীগুলি ফুলে যাওয়া
- হাত পায়ের আঙ্গুল ফ্যাকাশে লাল অথবা নীল হয়ে যাওয়া
- হাত ও পা ঠান্ডা থাকা
- হাত ও পায়ে ব্যথা করে (জ্বালাপোড়া অথবা পিনের খোঁচার মত)
- হাত বা কব্জিতে ব্যথা
রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ এর কারণে কাদের ঝুঁকি বেশি থাকে
রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ খুবই ক্ষতিকারক মানব শরীরের জন্য। অনেক জটিল ও কটিন রোগ হতে পারে এই সমস্যা থেকে। বেশ কিছু কারন আছে যেগুলো কারো মধে থাকলে তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। নিচে কাদের ঝুঁকি বেশি থাকে দেওয়া হল:
- যারা ধুমপান করে
- মাদক প্রস্তুতকারী: যেমন- সিগারেট, গাঁজা
- বয়স: ৫০ বছরের কম বয়সীদের
রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ রোগের চিকিৎসায় আকুপাংচারের ভূমিকা
রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ প্রতিরোধে একটি যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধতি হলো আকুপাংচার। আকুপাংচার শরীরের মধ্যে এক ধরণের উদ্দীপনা তৈরী করে যা শরীরের স্নায়ু সরবরাহ বৃদ্ধি করে এবং কোষকে আরো সতেজ করে তোলে। পেটের উপরিভাগে আকুপাংচারের ফলে তা উক্ত স্থানগুলোকে আরো সক্রিয় করে এবং রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ সংক্রান্ত উপশমকারী হিসাবে কাজ করে।
বর্তমানে উন্নত বিশ্বে এই আকুপাংচার একটি যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং বর্তমানে এটি বহুল প্রচলিত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। মূলত এ সমস্যাটি দীর্ঘসময়ের তাই শুধুমাত্র ঔষধ গ্রহণের ফলে তা থেকে সহজে আরোগ্যলাভ সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হয়। কিন্তু আকুপাংচার এই দিক থেকে একটি বিশেষ ঔষধি বা চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
যা সম্পূর্ণ একটি ওষুধ বিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি। আকুপাংচার হল ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার এবং শরীরকে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ দূরীকরণে আরো কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি
লীক ভেজিটেবলঃ রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ প্রতিকারে লীক ভেজিটেবল একটি দুর্দান্ত পথ্য। লীক দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভালো উৎস এবং এতে প্রোবায়োটিক আছে যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসাবে কাজ করে। আমাদের পেটের ব্যাকটেরিয়াগুলো ফ্যাটি এসিড নামক কিছু তৈরি করে যা আমাদের জন্য সমস্ত ধরনের ভালো কাজ করে এবং আমাদের বিপাক প্রক্রিয়াকে ভালো রাখে, পেটের প্রদাহ কমায়, রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ দূর করে।
ওজোন সাওনা থেরাপিঃ এছাড়া রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ প্রতিরোধের একটি যুগান্তকারী সমাধান হলো ওজোন সাওনা থেরাপি। এই চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরকে জীবাণুমুক্ত করে এবং মানবদেহের টিস্যুগুলোতে পৌঁছে যাওয়া অক্সিজেনের পরিমাণকে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করে। এটি ফিজিওথেরাপির একটি উন্নত পর্যায়। এটি বহির্বিশ্বে বহুল প্রচলিত এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে।
ওজোন সাওনা থেরাপির মাধ্যমে শরীর অধিক কার্যকর হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্পূর্ণ নিরাপদ একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে জানা যায় এবং রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ রোগের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঔষধ বলে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশে আকুপাংচার চিকিৎসার জন্য সবথেকে ভালো হাসপাল “শশী হাসপাতাল” এ এই ট্রিটমেন্টগুলো রয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এবং সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা করা হয়।
See More…
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কোলেস্টেরল ও হাইপারটেনশন থেকে কি বিনা ঔষধে মুক্তি থাকা সম্ভব?
হারপিস জোস্টার (Herpes zoster) রোগ প্রতিরোধে আকুপাংচারের ভূমিকা