পিত্তথলি প্রদাহ কী? পিত্তথলিতে প্রদাহের কারণ কি? পিত্তথলিতে প্রদাহের লক্ষণ কি?

পিত্তথলি প্রদাহ (Cholecystitis) দূরীকরণে আকুপাংচারের ভূমিকা

পিত্তথলি প্রদাহ কী?

পিত্তথলি হল ছোট থলির মতো একটি অঙ্গ যা পেটের উপরের ডানদিকে,যকৃতের ঠিক নীচে থাকে। আমাদের শরীরের যকৃতে এক ধরনের পিত্তরস উৎপন্ন হয়। সেটি আমাদের যকৃত থেকে পিত্তথলিতে গিয়ে ঘনিভূত হয় এবং সেই পিত্তরস পিত্তথলি থেকে পিত্তনালীতে দিয়ে পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে। যখন পিত্তরস পিত্তথলিতে পাথর বা যেকোনো কারণে বাধা পায় তখন পিত্তথলিতে প্রদাহ বা কোলেসিস্টাইসিস সমস্যা দেখা দেয়।

পিত্তথলিতে প্রদাহের কারণসমূহ

পিত্তথলিতে সাধারণত গর্ভাবস্থা এবং স্থূলতার (Obesity) কারণে প্রদাহ হতে পারে। এছাড়াও কিছু কারণে প্রদাহ হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে:

  • পিত্তথলিতে পাথর
  • অগ্নাশয় বা যকৃতে টিউমার
  • পিত্তথলিতে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে
  • পিত্তনালীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ

পিত্তথলিতে প্রদাহের লক্ষণ

পিত্ত থলির (Cholecystitis) লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • তীব্র ব্যথা (সাধারণত পেটের উপরের দিকের ডান পাশে)
  • ব্যথা পিত্ত থলি থেকে কাঁধ বা কোমরের পিছনে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে
  • অস্বস্তি
  • ক্ষুধামন্দা
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • জ্বর
  • পেট ফেপে বা ফলে থাকা

পিত্তথলি প্রদাহ (Cholecystitis) দূরীকরণে আকুপাংচারের ভূমিকা

পিত্তথলি প্রদাহ (Cholecystitis) প্রতিরোধে একটি যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধতি হলো আকুপাংচার। আকুপাংচার শরীরের মধ্যে এক ধরণের উদ্দীপনা তৈরী করে যা শরীরের স্নায়ু সরবরাহ বৃদ্ধি করে এবং কোষকে আরো সতেজ করে তোলে। পেটের উপরিভাগে আকুপাংচারের ফলে তা উক্ত স্থানগুলোকে আরো সক্রিয় করে এবং পিত্তথলির প্রদাহ সংক্রান্ত উপশমকারী হিসাবে কাজ করে। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে এই আকুপাংচার একটি যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং বর্তমানে এটি বহুল প্রচলিত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। মূলত এ সমস্যাটি দীর্ঘসময়ের তাই শুধুমাত্র ঔষধ গ্রহণের ফলে তা থেকে সহজে আরোগ্যলাভ সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হয়। কিন্তু আকুপাংচার এই দিক থেকে একটি বিশেষ ঔষধি বা চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা যায়। যা সম্পূর্ণ একটি ওষুধ বিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি। আকুপাংচার হল ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার এবং শরীরকে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পিত্তথলির প্রদাহ দূরীকরণে আরো কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি

লীক ভেজিটেবলঃ পিত্তথলি প্রদাহ (Cholecystitis) প্রতিকারে লীক ভেজিটেবল একটি দুর্দান্ত পথ্য। লীক দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভালো উৎস এবং এতে প্রোবায়োটিক আছে যা অন্ত্রে উপকারী   ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসাবে কাজ করে। আমাদের পেটের ব্যাকটেরিয়াগুলো ফ্যাটি এসিড নামক কিছু তৈরি করে যা আমাদের জন্য সমস্ত ধরনের ভালো কাজ করে এবং আমাদের বিপাক প্রক্রিয়াকে ভালো রাখে, পেটের প্রদাহ কমায়, হজমে সহায়তা

ওজোন সাওনা থেরাপিঃ এছাড়া পিত্তথলির প্রদাহ প্রতিরোধের একটি যুগান্তকারী সমাধান হলো ওজোন সাওনা থেরাপি। এই চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরকে জীবাণুমুক্ত করে এবং মানবদেহের টিস্যুগুলোতে পৌঁছে যাওয়া অক্সিজেনের পরিমাণকে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করে। এটি ফিজিওথেরাপির একটি উন্নত পর্যায়। এটি বহির্বিশ্বে বহুল প্রচলিত এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে। ওজোন সাওনা থেরাপির মাধ্যমে শরীর অধিক কার্যকর হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্পূর্ণ নিরাপদ একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে জানা যায় এবং পিত্তথলির প্রদাহ রোগের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঔষধ বলে বিবেচনা করা হয়।

See More…

ঔষধ ছাড়াই যৌন সমস্যার সমাধান।

বার বার প্রসাবে ইনফেকশন (Recurrent Lower Urinary Tract Infection) কি, লক্ষণ ও চিকিৎসা।

Leave a Reply

Receive the latest news

Subscribe To My Weekly Newsletter

Get notified about new articles