গোড়ালি শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ জয়েন্ট। অনেক সময় হাটতে যেয়ে গোড়ালিতে হোঁচট থেকে গোড়ালিতে ব্যাথা হয়ে থাকে। এই হোচট বা আঘাত এর কারণে গোড়ালিতে প্রচন্ড ব্যাথার সৃষ্টি হয়ে থাকে। সঠিক চিকিৎসা না করলে গোড়ালি বা পা ব্যাথা মারাত্বক রুপ নিতে পারে।
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে গোড়ালির ব্যাথার ঔষধ বিহীন চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। আকুপাংচার একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া চিকিৎসা করা হয়। বাংলাদেশের সুনামধন্য আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর থেকে আকুপাংচার চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই সুস্থ্য হয়েছেন।
গোড়ালি বা পা মচকানো কী?
গোড়ালি মচকানো এমন একটি আঘাতকে বোঝায় যা ঘটে যখন গোড়ালির লিগামেন্টগুলি প্রসারিত বা ছিঁড়ে যায়। লিগামেন্ট হল টিস্যুর শক্ত, নমনীয় ব্যান্ড যা হাড়কে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে এবং জয়েন্টগুলোতে স্থিতিশীলতা প্রদান করে। গোড়ালি মচকে সাধারণত ঘটে যখন পা ভিতরের দিকে বাঁক নেয়, যার ফলে গোড়ালির বাইরের দিকের লিগামেন্টগুলি প্রসারিত বা ছিঁড়ে যায়।
গোড়ালি বা পা মচকানোর লক্ষণ
গোড়ালি বা পা মচকানোর ফলে অনেক ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় ব্যাথার যন্ত্রণায় হাটতে সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক সময় এই ব্যাথা ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে।
পায়ের গোড়ালি মচকানোর ফলে যেসব লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তা হল:
- ফোলা ভাব
- প্রদাহ
- হাড় ভেঙে যেতে পারে
- পা নাড়াতে অক্ষমতা
- ব্যথার কারণে উঠে দাঁড়াতে অসুবিধা
- পায়ের গোড়ালি মচকানোর স্থানে কালচে ভাব
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে গোড়ালি বা পা মচকানোর ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই চিকিৎসা মাধ্যমে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া গোড়ালি বা পা মচকানোর ব্যাথা ভালো হয়। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার চিকিৎসক ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর তত্বাবধানে ঢাকার শশী হাসপাতালে আকুপাংচার চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এ চিকিৎসা নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকেই সম্পূর্ণ রূপে গোড়ালি বা পা মচকানোর ব্যাথা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
পায়ের গোড়ালি মচকানোর কারণ
মূলত দুর্ঘটনাজনিত কারনেই পায়ের গোড়ালী মচকে থাকে। অনেক সময় হাঁটতে গেলে বা সিঁড়িতে উঠতে গেলে পা মচকে যায়। আর এর ফলে পায়ের গোড়ালির জয়েন্টে ব্যাথার সৃষ্টি হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই গোড়ালি বা পা মচকানোর কিছু প্রধান কারন:
- দূর্ঘটনায় পায়ের গোড়ালিতে আঘাত
- পিছলিয়ে পড়ে গিয়ে গোড়ালিতে আঘাত
- হাঁটতে বা দৌঁড়াতে গিয়ে বেকায়দায় পা ফেলার কারণে গোড়ালি মচকানো
- পায়ের গোড়ালির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ার কারণে
- ওঠা নামার সময় বেকায়দায় পা ফেলার ফলে গোড়ালিতে ব্যথা বা মচকানো
গোড়ালি বা পা মচকানোর ব্যথা চিকিৎসায় আকুপাংচারের ভূমিকাঃ
আকুপাংচার আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে প্রাচীন চীনে আবিষ্কৃত একটি ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি। এই চিকিৎসা বর্তমানে সমস্ত পৃথিবীতে বহুল প্রচলিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা ১০০ টির ও বেশি রোগের জন্য আকুপাংচার চিকিৎসাকে সুপারিশ করা হয়েছে। আকুপাংচার যেকোনো ব্যথা সমস্যার সমাধান দেয়। যার চিকিৎসা দেওয়া হয় সূক্ষ্ম সুচের মাধ্যমে। আকুপাংচার দেওয়ার ফলে শরীর উদ্দীপ্ত হয়, ব্যথা উপশম করে, প্রদাহ কমায়, রক্ত চলাচলে বৃদ্ধি ঘটে, অবসন্নতা দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গবেষণা অনুসারে আকুপাংচার সূঁচ শরীরের বিভিন্ন অংশকে উদ্দীপিত করে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এটি ব্যথা উপশমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পায়ের গোড়ালি ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আকুপাংচার একটি অত্যন্ত কার্যকরী চিকিৎসা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আকুপাংচার হল ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার এবং শরীরকে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আকুপাংচার শরীরে উদ্দীপনা তৈরি করতে পারে যা স্বাস্থ্যের উন্নতিতে আবশ্যক।
বাংলাদেশে তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান শশী হাসপাতাল। যেখানে আকুপাংচার চিকিংসা দেওয়া হয়। এটি ঢাকায় শান্তিনগর চৌরাস্তাতে অবস্থিত। পায়ের গোড়ালি মচকানোর ফলে যে ব্যথার উৎপত্তি হয় তা আকুপাংচারের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। পায়ের গোড়ালি মচকানোর সমস্যা ছাড়াও প্যারালাইসিস, ইডি, ঘুমের সমস্যা, আইবিএস, মাইগ্রেন চিকিৎসা ও দিয়ে যাচ্ছে। আপনিও শশী হাসপাতালে আসতে পারেন, চিকিৎসা নিতে পারেন। মানবতার সেবাই সর্বদা শশী হাসপাতাল আপনার পাশে রয়েছে। আরও বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইট www.suoxihospital.com ভিজিট করুন।
See More…
দাঁত ব্যথা (Toothache) এর কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা
শ্বাসকষ্ট সমস্যা ও ঘুমের সমস্যার প্রাকৃতিক চিকিৎসা এখন শশী হাসপাতালে