ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া রোগ কি? কারণ এবং চিকিৎসা

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া রোগ কি? কারণ এবং চিকিৎসা | Dr S.M. Shahidul Islam

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া কি? ?

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া কি? (What is Trigeminal Neuralgia) বলতে মুখে হঠাৎ এবং প্রচণ্ড যন্ত্রণার অনুভূতিকে বোঝায় যা কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই  ব্যথাটি খুব তীক্ষ্ণ, এপিসোডিক, তীব্র, শুটিং, বৈদ্যুতিক ব্যথা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। ট্রাইজেমিনাল নার্ভ ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

বয়সের সাথে সাথে যেমন মরচে পরে শরীরে, তেমনই জং ধরে মস্তিষ্কেও। বয়সের সাথে সাথে কমজোর হয় স্নায়ু অর্থাৎ নার্ভের সক্রিয়তা। ফলত শরীরে বাসা বাঁধে নার্ভ ঘটিত নানান রোগ ৷ কিন্তু সমস্যা হলো, যেহেতু সেই অর্থে কোনো পূর্ব উপসর্গ থাকে না, তাই নার্ভ ঘটিত রোগের বিস্তৃতি ও জটিলতা সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রেই সেভাবে আমাদের স্পষ্ট তেমন ধারণা থাকে না। তাই কখন সচেতন হতে হবে, তা আমরা সেই অর্থে বুঝতেও পারি না। এ দিকে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ সময় হাত থেকে পেরিয়ে যায়। তবে নার্ভ ঘটিত সব রোগই যে বয়স বাড়লে হয় এমনটা নয়, এর ব্যতিক্রমও আছে, যা একেবারেই বয়সের উপর নির্ভর করে না।

আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া রোগ থেকে সমাধান পাওয়ার গল্প জানুন রোগীর নিজের মুখে

বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত শশী আকুপাংচার হাসপাতালে, চীনা অথেনটিক আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাবহার করে সফলতার সাথে ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া চিকিৎসা (Best trigeminal neuralgia treatment in Bangladesh) প্রদান করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সুনামধন্য আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম।

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া রোগের লক্ষণ

যন্ত্রণার স্থান রোগী তার আঙ্গুল দিয়ে ইঙ্গিত করতে পারেন এবং যন্ত্রণা এক গাল থেকে অন্য গালে যায় না। তবে যন্ত্রণাটা হঠাৎই শুরু হয় এবং সাধারণত হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর, শীতের সময়, মুখে বাতাস লাগা, খাওয়া, দাঁত মাজা, দাড়ি কামানো, মুখ ধোয়ার মতো নিত্যনৈমিত্তিক কাজের সময় শুরু হতে পারে। এমনি ঘুমের মধ্যেও হতে পারে। যন্ত্রণা এতটাই সূক্ষ্ম, তীব্র হয় যে রোগী কাতর হয়ে পড়েন শারীরিক ও মানসিকভাবে। এমনকি অনেকে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হন না।

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া প্রধান কারণগুলো কি কি?

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া প্রধান কারণ হচ্ছে- ট্রাইজেমিনাল নার্ভ এর সংকোচন। অনেকেই প্রথম ধাপে এটিকে দাঁতের ব্যথা ভেবে ভুল করেন কারণ উক্ত নার্ভ মুখমণ্ডল, দাঁত ও মুখ এও সংবেদনশীলতা পাঠানোর জন্য দায়ী। এই সংকোচন একটি বর্ধিত সংলগ্ন রক্তবাহী ধমনীর কারণে হতে পারে। এছাড়াও স্নায়ুর পথের পাশাপাশি থাকা কোনো টিউমারের কারণে সেই স্নায়ুটির সংকোচন হতে পারে।

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া রোগের চিকিৎসা

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া নির্ণয় করতে রোগীর হিস্ট্রিসহ কিছু স্নায়ুবিক পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এক্স-রে, সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই’র মতো কিছু স্ক্যানিং পরীক্ষাও করা হয়। টিএন’র চিকিৎসার বিকল্পগুলোর মধ্যে অ্যান্টিকনভালসেন্ট ওষুধগুলো রয়েছে যা স্নায়ুকে উত্তেজিত হতে বাধা দেয়। নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যালকোহল ইনজেকশন বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে, ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নার্ভ কমপ্রেশন সার্জারি ও করা হয়ে থাকে। ট্রাইজেমিনাল নার্ভ নির্ণীত হলে প্রথমেই রোগীকে আশ্বস্ত করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যথার আক্রমণ বা তীব্রতা কমানো যেতে পারে।

বাংলাদেশের বহুল পরিচিত এবং দেশসেরা পেইন ও প্যারালাইসিস ডাক্তার ও আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ, ডা. এস. এম. শহিদুল ইসলাম , ঢাকায় অবস্থিত শশী আকুপাংচার হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া রোগের চিকিৎসা (Non medicine treatment in Bangladesh) দিয়ে আসছেন।

লাইফ স্টাইল পরিবর্তন

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া রোগ থেকে সুস্থতার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো লাইফ স্টাইল পরিবর্তন। লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের সাথে সাথে এই রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ট্রাইজেমিনাল নার্ভ জনিত সমস্যার অন্যতম কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাপন । নিয়মিত লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক ব্যায়াম এবং রুটিন মাফিক জীবনকে অতিবাহিত করলে এই রোগ থেকে প্রতিকার সম্ভব।

ট্রাইজেমিনাল নার্ভ জনিত রোগের চিকিৎসায় আকুপাংচার এর ভূমিকা

ট্রাইজেমিনাল নার্ভের ব্যথা সাময়িকভাবে কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যথার ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে ব্যথার ওষুধের বিকল্প হিসেবে অনেক ধরনের ফিজিওথেরাপি মডালিটিস, ম্যানুয়াল টেকনিক রয়েছে যেইগুলোর মাধ্যমে ব্যথা কমানো যায়। তবে শুধু ঔষধ খেয়ে ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া থেকে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় সম্ভব নয়। এটি সাময়িকের জন্য আপনাকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও পুরোপুরি কখনোই নিরাময় সম্ভব হয় না।

ট্রাইজেমিনাল নার্ভ রোগের চিকিৎসায় এক অভিনব পন্থা হলো আকুপাংচার। আকুপাংচারের মাধ্যমে ট্রাইজেমিনাল নার্ভ রোগ থেকে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় সম্ভব। ডাক্তাররা গবেষণা করে দেখেছেন যে, ট্রাইজেমিনাল নার্ভ রোগের ক্ষেত্রে আকুপাংচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আকুপাংচারের সুঁই শরীরের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যে উদ্দীপনা তৈরী হয় তা ব্যথা নিরাময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া রোগ থেকে মুক্তিতে আকুপাংচার চিকিৎসা

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া রোগ কী? কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে এই ব্লগ থেকে এই রোগ সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছি।  ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া থেকে পরিত্রাণের জন্য আকুপাংচার খুব ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আকুপাংচার ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার পাশাপাশি শরীরকে আরও দক্ষ করে তোলার একটি চমৎকার উপায়। আকুপাংচারের মাধ্যমে কোষগুলি বৈদ্যুতিক শক দিয়ে উদ্দীপিত হয়,ফলে উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এই চিকিৎসাটি শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ করে যা অবস্থার উন্নতি করতে পারে। নতুন উদ্দীপনা বেদনাদায়ক এলাকায় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, এবং এটি অবশেষে সম্পূর্ণ রূপে হ্রাস পায়। বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট www.suoxihospital.com ভিজিট করুন।

বাংলাদেশের একজন সুনামধন্য এবং অভিজ্ঞ আকুপাংচার ডাক্তার ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম । তার থেকে দেশ ও বিদেশের থেকে বিভিন্ন রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া রোগ থেকে (Best trigeminal neuralgia treatment in Bangladesh) আরোগ্য লাভ করেছেন। আকুপাংচার চিকিৎসায় আরোগ্যপ্রাপ্ত রোগীদের গল্প জানতে ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর স্যোশাল মিডিয়াইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে পারেন।

See More…

পিএলআইডি কেন হয়? পিএলআইডি হলে করণীয় বা চিকিৎসা | আকুপাংচার

ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (Erectile dysfunction) বা উত্থান জনিত সমস্যা প্রতিরোধে আকুপাংচার চিকিৎসা

Leave a Reply

Receive the latest news

Subscribe To My Weekly Newsletter

Get notified about new articles