পিত্তথলির পাথর কেন হয়
পিত্তপাথুরী বা পিত্তাশয় পাথর (ইংরেজি: Gallbladder Stone) হলো পিত্তাশয়ের একটি রোগ যাতে মানুষের পিত্তাশয়ে পাথর জমা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি কোলেলিথিয়াসিস (Cholelithiasis) নামে পরিচিত I উদরের ডান দিকে যকৃতের নিচে অবস্থিত পিত্তথলি একটি নাশপাতি আকৃতির ছোট অঙ্গ। দেহের ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে নিঃসৃত রস পিত্তথলিতে এসে সঞ্চিত হয়। পিত্তথলির আকৃতি মিহি বালিদানা থেকে শুরু করে গল্ফ বলের মত হতে পারে। পিত্তথলিতে এক বা একাধিক পাথর উৎপন্ন হতে পারে। চলুন জেনে নেই পিত্তথলির পাথর কেন হয় এর কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে।
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে পিত্তথলির পাথর সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসা (Gallbladder stone treatment in Dhaka, Bangladesh) করা যায়। আকুপাংচার একটি ঔষধ বিহীন চিকিৎসা মাধ্যম। সেই ৫০০০ বছর পূর্বে থেকে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা সারা বিশ্বে প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের একজন সেরা আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম (Acupuncture treatment in Dhaka, Bangladesh) এর থেকে এই চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থ্য হয়েছেন অনেকেই।
পিত্তথলিতে পাথরের প্রকারভেদ
পিত্তথলিতে পাথরের (Gallbladder Stone) বেশ কয়েকটি প্রকারভেদ রয়েছে। যার প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। নিচে প্রকারভেদ গুলো দেওয়া হল:
পিগমেন্ট পিত্তপাথর: পিত্ত যখন অতিরিক্ত পরিমাণে বিলিরুবিন ধারণ করে তখন তা ঘনীভূত হয়ে পিত্ত পাথর উৎপন্ন করতে পারে। এটি গাঢ় খয়েরী অথবা কালো রংয়ের হতে পারে।
কোলেস্টেরল পিত্তপাথর: এটি সবথেকে প্রচলিত পিত্ত পাথরের প্রকারভেদ। এটি সাধারনত হলুদ রংয়ের হয়। এটি প্রধানত দ্রবীভূত কোলেস্টেরল কিন্তু অন্যান্য পদার্থও এর সাথে মিশ্রিত থাকতে পারে।
পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার কারণ
১. পিত্ততে অতিরিক্ত বিলিরুবিনের উপস্থিতি-
কোনো বিশেষ কারণে দেহের রক্ত কণিকা যখন অতিরিক্ত ভেঙে যায় তখন যকৃৎ অতিরিক্ত বিলিরুবিন উৎপন্ন হয়। কারণগুলোর মধ্যে পিত্তথলির সংক্রমণ, যকৃতের প্রদাহ, রক্তের কোনো বিশেষ অসুবিধা উল্লেখযোগ্য। অতিরিক্ত বিলিরুবিন উৎপন্ন হওয়ার ফলে পিত্তথলিতে পাথর উৎপন্ন হয়।
২. পিত্ততে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের উপস্থিতি-
যকৃৎ সাধারণত যে পরিমাণ কোলেস্টেরল নিঃসরণ করে তা দ্রবীভূত করার জন্য পিত্ততে যথেষ্ট পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ থাকে। পিত্ত যতটা দ্রবীভূত করতে পারে যখন যকৃৎ তার থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে কোলেস্টেরল উৎপন্ন হয় তখন অতিরিক্ত কোলেস্টেরল স্ফটিকে রূপান্তরিত হয় এবং পরে ধীরে ধীরে পাথরে পরিণত হয়।
৩. পিত্তথলির শূন্যতা-
যখন পিত্তথলি সম্পূর্ণ শূন্য থাকে না তখন পিত্ত ঘনীভূত হয় যা পরবর্তীকালে পাথরে পরিণত হয়।
পিত্তথলির পাথর এর লক্ষণ
প্রাথমিকভাবে এই রোগের কোনো উপসর্গ লক্ষ্য করা যায় না, কিন্তু যদি নালিতে এটি সঞ্চিত হয় তখন গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
পিত্তথলিতে পাথর সঞ্চিত হওয়ার ফলে এই ব্যথা কয়েক মুহুর্ত স্থায়ী হতে পারে কিংবা কয়েক ঘণ্টা
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশে সেরা ব্যথার চিকিৎসা (Best pain treatment in Dhaka, Bangladesh) করা হয়। আকুপাংচার একটি ঔষধ বিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি। ঢাকায় অবস্থিত দেশের সেরা আকুপাংচার হাসপাতাল “শশী হাসপাতালে” এই চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে।
পিত্তথলিতে পাথর বোঝার উপায়
আল্ট্রাসাউন্ডঃ পিত্তথলিতে পাথর এর উপস্থিতি নির্ধারণ করার জন্য এটি একটি প্রচলিত পদ্ধতি। উদরের যকৃতের স্থানে ডাক্তার ট্রান্সডিউশর নামক একটি যন্ত্র সামনে এবং পেছনে নাড়াতে থাকেন। এই সংকেত যন্ত্রটি থেকে কম্পিউটারে স্থানান্তরিত হয় এবং সেখান থেকে উদরের অন্তর্ভাগ এর ছবি দেখতে পাওয়া যায়।
এন্ডোস্কোপ আল্ট্রাসাউন্ডঃ উদরের আল্ট্রাসাউন্ডের যে ক্ষুদ্র পাথরের উপস্থিতি টের পাওয়া যায় না তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করার জন্যই এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ডাক্তার মুখ দিয়ে পাচনতন্ত্রের নালীর মধ্যে দিয়ে একটি সরু ক্ষুদ্র নমনীয় নল পাঠান। নলের মধ্যে অবস্থিত ট্রান্সডিউশরটি শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করে আশেপাশের কোষের স্পষ্ট ছবি তৈরি করে।
অন্যান্য পরীক্ষাঃ পিত্তথলিতে পাথর এর উপস্থিতি নির্ধারণ করার জন্য আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এই পরীক্ষাগুলো হলো হেপাটোবিলিয়ারি ইমিউনো অ্যাসিটিক অ্যাসিড স্ক্যান, ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স কোলান্জিওপ্যানক্রিয়াটোগ্রাফি, কম্পিউটারাইজড টোমোগ্রাফি, এন্ডোসকপিক রেট্রোগ্রেড কোলান্জিওপ্যানক্রিয়াটোগ্রাফি। ERCP পদ্ধতির মাধ্যমে ডাক্তার প্রতিশব্দ পিত্তথলিতে পাথর বার করে দিতে পারে।
রক্ত পরীক্ষাঃ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে পিত্তথলিতে পাথর জমার জন্য জন্ডিস, সংক্রমণ, অগ্নাশয়ের প্রদাহ এবং রোগের অন্যান্য জটিলতা সম্পর্কে জানতে পারা যায়।
পিত্তথলিতে পাথর প্রতিরোধে আকুপাংচারের ভূমিকা
পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধের জন্য বিশেষভাবে আকুপাংচার ব্যবহারকে সমর্থন করার জন্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে। পিত্তপাথর হল কঠিন কণা যা গলব্লাডারে তৈরি হয় এবং তাদের বিকাশ জেনেটিক্স, ডায়েট এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের মতো কারণগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়। আকুপাংচার একটি ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধের অনুশীলন যা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে, পিত্তথলি প্রতিরোধে এর ভূমিকা সুপ্রতিষ্ঠিত। বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত ১০০ এর বেশি রোগের জন্য আকুপাংচার চিকিৎসাকে সুপারিশ করা হয়েছে। সে তালিকার মধ্যে এই রোগটি অন্যতম একটি রোগ।
বাংলাদেশের মধ্যে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া ব্যথার চিকিৎসা (Pain treatment without medicine in Bangladesh) করা হয় শুধু মাত্র শশী হাসপাতালে। এখানে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন রোগী এসে ব্যথা নিরাময় করছেন। এখানে বাংলাদেশের সুনামধন্য ডাক্তার ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম ( Pain management doctor in Dhaka, Bangladesh) এর তত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।
বিবেচনা করার জন্য কিছু পয়েন্ট
গবেষণাঃ পিত্তথলি প্রতিরোধে আকুপাংচারের কার্যকারিতা নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা রয়েছে। আকুপাংচারের উপর বেশিরভাগ গবেষণায় ব্যথা পরিচালনা, স্ট্রেস কমানো এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় এর সম্ভাব্য ভূমিকার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।
মাল্টিফ্যাক্টোরিয়াল কারণঃ পিত্তথলির গঠন একাধিক কারণের দ্বারা প্রভাবিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে খাদ্য, জেনেটিক্স এবং অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা। লাইফস্টাইল পরিবর্তন, যেমন একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং ওজন বজায় রাখা, সাধারণত পিত্তথলি প্রতিরোধের জন্য সুপারিশ করা হয়।
পরিপূরক পদ্ধতিঃ আকুপাংচারকে পিত্তথলিতে পাথর প্রতিরোধের একটি পরিপূরক থেরাপি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটিকে সুস্থতার জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতির অংশ হিসেবে দেখা গুরুত্বপূর্ণ। আকুপাংচার স্ট্রেস হ্রাস এবং সামগ্রিক শিথিলকরণে সাহায্য করে। পিত্তথলি প্রতিরোধে এর নির্দিষ্ট প্রভাব সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে।
আকুপাংচার চিকিৎসাকে একটি পরিপূরক থেরাপি বিবেচনা করছেন সে সম্পর্কে সর্বদা আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে জানান। তারা ব্যক্তিগতকৃত পরামর্শ প্রদান করতে পারে এবং নিশ্চিত করতে পারে যে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা সু-সমন্বিত কি না।
বাংলাদেশের সুনামধন্য আকুপাংচার ডাক্তার ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর থেকে চিকিৎসা (Best acupuncture treatment in Dhaka) নিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন অসংখ্য রোগী। দেশ সহ বিদেশের অনেক রোগী শুধুমাত্র এই চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশে আসেন। দেশ সহ বিদেশেও তার সুনাম ছড়িয়ে আছে। আকুপাংচারের সাথে সাথে বাংলাদেশের একজন সেরা ব্যথা জনিত রোগের চিকিৎসক (Best pain management doctor in Dhaka, Bangladesh) হিসেবে ক্ষ্যাতি অর্জন করেছেন।
See More…
ফ্রোজেন শোল্ডার ব্যথা হলে কি করণীয়? আকুপাংচার চিকিৎসা
চোখের রেটিনার সমস্যার (Choroidopathy, Central Serous) কারণ, লক্ষণ এবং আকুপাংচার চিকিৎসা