কোমর ব্যথা কার না হয়?
কোমর ব্যথা এমন একটি সমস্যা, যা জীবনের কোনো পর্যায়ে প্রায় সবারই কম–বেশি হয়। কারো ক্ষেত্রে এটি সাময়িক অস্বস্তি, আবার কারো জন্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হয়ে দৈনন্দিন কাজেও বাধা সৃষ্টি করে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, ভুল ভঙ্গি, কম নড়াচড়া বা অতিরিক্ত চাপ, এসব কারণে আধুনিক জীবনে কোমর ব্যথা আরও সাধারণ হয়ে উঠেছে। তাই ব্যথাকে সাধারণ ক্লান্তি ভেবে উপেক্ষা না করে, এর কারণ বোঝা ও সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে বাংলাদেশের সুনামধন্য হাসপাতাল, শশী আকুপাংচার হাসপাতালে অভিজ্ঞ ও বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহিদুল ইসলাম কোমর ব্যথার চিকিৎসা (Best low back pain treatment in Bangladesh) করে আসছেন। সেই সাথে চলুন জেনে নেই, কোমর ব্যথা কেন হয়, লক্ষণ ও সহজ চিকিৎসা কিভাবে করা যায়।
কোমর ব্যথা কী?
বিশ্বজুড়ে দৈনন্দিন জীবনধারায় বিভিন্ন পেশাদার মানুষ কোমর ব্যথার সমস্যা অনুভব করেন। কোমর ব্যথা (Low Back Pain) বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ, দুর্ঘটনা, দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে ত্রুটি ও বিভিন্ন কারণে হয়। অনেক ক্ষেত্রে শরীরের পেশিতে টান লাগার কারনে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। কোমর ব্যাথা মূলত অনেক যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে।
অনেকে হাটা চলা করতেও পারে না। অনেকের ক্ষেত্রে কোমর ব্যাথা স্থায়ী হয় আবার অনেকের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে ঘরোয়া উপায়ে কোমর ব্যাথা সরানো যায়, কারণ এ চিকিৎসায় কোন প্রকার ঔষধ ব্যবহার করা হয় না।
কোমর ব্যথা কেন হয়?
কোমর ব্যাথা কেন হয় সেটা নির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় না। বিভিন্ন কারনে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘক্ষণ এক জায়গাতে বসে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে কোমর ব্যাথার সমস্যাটি দেখা দেয় বেশি। বয়স ভেদে কোমরের ব্যাথা হয়ে থাকে। বৃদ্ধ বয়সের পাশাপাশি অল্প বয়সেও কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। আবার মহিলা বা মেয়েদের কোমর ব্যাথা হতে পারে ভিন্ন কারনে, সাধারণত সিজারের পরে মেয়েদের কোমর ব্যাথা (Low Back Pain) হয়ে থাকে। এছাড়াও আরও অনেক কারণে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে, সেগুলো নিচে আলোচনা করা হল।
- কোমরে চাপ লাগার কারণে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে।
- ডিস্ক সার্জারির কারণে কোমরে ব্যাথা হয়ে থাকে।
- স্ট্রেন বা দুর্ঘটনার কারণে কোমর ব্যথা হয়।
- বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোমর ব্যথা হতে পারে।
- অতিরিক্ত ওজন কোমর ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
- দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকলে বা কাজ করলে।
- ভারী কিছু উত্তোলন করলে কোমরে ব্যাথা হয়।
- স্কোলিওসিস এর সমস্যা দেখা দিলে কোমর ব্যাথা হতে পারে।
- অস্টিওআর্থাইটিস সমস্যার কারণে হতে পারে।
- ক্যান্সার ও বিভিন্ন রোগের কারণে।
- হতাশা ও উদ্বেগ থেকে কোমর ব্যথা হতে পারে।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে সিজারের পরে কোমরের ব্যাথা হয়।
- সিড়ি বেঁয়ে ওঠানামার কারনে কোমর ব্যাথা হয়।
বাংলাদেশের মধ্যে সবথেকে সেরা কোমর ব্যথার চিকিৎসা (Best low back pain treatment in Dhaka, Bangladesh) প্রদান করা হয় শশী হাসপাতাল (আকুপাংচার) এ। এখানে দেশ সেরা আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহিদুল ইসলাম এর তত্বাবধানে এ চিকিৎসা প্রদান করা হয়। বিস্তারিত জানুন কোমর ব্যথা কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জানুন।
দীর্ঘঘমেয়াদি কোমর ব্যাথা কেন হয়?
সধারণত দীর্ঘঘমেয়াদি কোমর ব্যাথার কারণ ডিস্ক প্রল্যাপ্স বা পিএলআইডি অথবা হাড়ের ক্ষয় বা স্পন্ডাইলোসিস। বেশির ভাগ সময় এইসকল কারনে দীর্ঘমেয়াদি কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। অনেকেই জানতে চায় দীর্ঘমেয়াদি কোমর ব্যাথার উৎপত্তি কোথায়? এক্ষেত্রে বলা যায় যে, নির্দিষ্ট ভাবে এই রোগের কারন বলা যায় না। রোগীর ইতিহাস জানার পরি এই রোগের উৎপত্তি বলা সম্ভব। অনেকেই আছেন যারা ডেস্কে বসে কাজ করে, এক্ষেত্রে তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কোমর ব্যাথা স্থায়ী হতে পারে। দ্রুত সময়ে কোমর ব্যথার চিকিৎসা করলে ব্যথা ভালো হয়।
কোমর ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়
কোমর ব্যাথা (Low Back Pain) একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগ। বিভিন্ন বয়সে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে বিভিন্ন কারণে। কোমর ব্যাথা হলে সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া ভাবে গরম পানির সেক নেওয়া হয়। কোমর ব্যাথা নিরাময়ে গরম পানির সেক নিলে সাময়িক ভাবে কিছুটা নিরাময় পাওয়া গেলেও, স্থায়ীভাবে কোমর ব্যাথা নিরাময় হয় না। এজন্য কোমর ব্যাথা হলে একজন বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কিছু কোমর ব্যাথা কমানোর টিপস দেওয়া হলঃ
- দীর্ঘ সময় একজায়গায় না বসা।
- চেয়ারে বসলে, কোমরের পেছনে শক্ত বালিশ ব্যাবহার করা।
- কোমরের ব্যায়াম করা।
- নরম বিছানায় না ঘোমানো।
- ভারি বস্তু বহন না করা।
এগুলো ছাড়াও, দীর্ঘমেয়াদি কোমর ব্যাথার চিকিৎসা শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে। আকুপাংচারের মাধ্যমে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া কোমর ব্যাথা সরানো (Low back pain treatment without medicine in Dhaka, Bangladesh) যায়। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহিদুল ইসলাম সফলতার সাথে আকুপাংচার চিকিৎসা দিয়ে অসংখ্য রোগীকে সুস্থ করেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ইউটিউব চ্যানেলটি।
কোমর ব্যাথা কমানোর ব্যায়াম
কোমর ব্যথা দীর্ঘসময় বসে থাকা, ভুল ভঙ্গি, পেশির টান বা ডিস্ক সম্পর্কিত সমস্যার কারণে হতে পারে। নিয়মিত কিছু স্ট্রেচিং ও মুভমেন্ট কোমরের চাপ কমায় এবং রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে ব্যথা ধীরে ধীরে হালকা করতে সাহায্য করে। নিচে কোমর ব্যথার জন্য সবচেয়ে ব্যবহৃত নিরাপদ ব্যায়ামের নাম দেওয়া হলো –
• ক্যাট–কাউ স্ট্রেচ (Cat–Cow Stretch): চার হাত–পা ভর দিয়ে অবস্থান নিন। ধীরে ধীরে কোমর ও পিঠ উপরে–নিচে নড়ান। এই ব্যায়াম মেরুদণ্ড নমনীয় করে এবং নিচের অংশের চাপ কমায়।
• চাইল্ড পোজ (Child’s Pose): হাঁটু গেড়ে বসে ধীরে ধীরে শরীর সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে হাত সামনে বাড়ান। গভীর শ্বাস নিলে কোমরের টান ধীরে ধীরে কমে।
• হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ: পা সোজা করে বসে এক পা হালকা ভাঁজ করুন এবং অন্য পায়ের দিকে হাত বাড়ান। উরুর পিছনের পেশি ঢিলা হলে কোমরে চাপ কম পড়ে।
• পিরিফরমিস স্ট্রেচ: চিৎ হয়ে শুয়ে এক পা অন্য পায়ের ওপর তুলে X-এর মতো রাখুন, তারপর হাঁটু বুকে টেনে আনুন। এটি সায়াটিকা ধরনের ব্যথায় দ্রুত আরাম দেয়।
• পেলভিক টিল্ট (Pelvic Tilt): চিৎ হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করুন। কোমর মাটি ছুঁইয়ে সামান্য চেপে ধরে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুন। এটি কোমরের গভীর পেশি শক্তিশালী করে।
• ব্রিজ এক্সারসাইজ (Bridge Exercise): পিঠের ওপর শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে রাখুন। ধীরে ধীরে কোমর ওপরে তুলুন এবং কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন। এই ব্যায়াম কোমরের পেশি শক্তিশালী করতে খুব কার্যকর।
কোমর ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমনঃ পেশির টান, স্লিপড ডিস্ক, স্নায়ু চাপ, ভঙ্গিগত সমস্যা প্রভৃতি। প্রতিটি অবস্থার চিকিৎসা আলাদা, এবং ব্যায়ামও ভিন্নভাবে নির্বাচন করতে হয়। তাই কোমর ব্যথার জন্য কোন ব্যায়াম উপযুক্ত হবে, আর কোনটি ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে; এটি নির্ধারণ করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজ নয়। এ কারণে কোমর ব্যথার ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা সর্বোত্তম হবে।
কোমর ব্যথা প্রতিরোধে আকুপাংচারের ভূমিকা
কোমর ব্যথার জন্য কোনো ধরনের ঔষধ ছাড়া আকুপাংচারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গবেষণা অনুসারে, ৯০% কোমর ব্যথার সমস্যা অস্ত্রোপচার ছাড়াই চিকিৎসা করা যায়। আকুপাংচার যেকোনো ব্যথার সমস্যার সমাধান দেয়। তেমনি কোমর ব্যথার সমস্যা আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। এখন সবার মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে, আকুপাংচার কী? সেটা আবার কোন ধরনের চিকিৎসা। আকুপাংচার যার আকু শব্দের অর্থ হচ্ছে সুই আর পাংচার হচ্ছে ফুটানো বা ছিদ্র করা। অর্থাৎ আকুপাংচার হচ্ছে মানব শরীরে যে নির্দিষ্ট আকুপয়েন্ট রয়েছে ব্যথাযুক্ত স্থানের ওই নির্দিষ্ট আকুপয়েন্টে অতি পাতলা সুচ ফুটিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসার পূর্বে ব্যথার স্থানে ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। আকুপাংচার দেওয়ার ফলে শরীর উদ্দীপ্ত হয়, রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর দক্ষ হাতে আকুপাংচার করলে অতি দ্রুত ব্যথা থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
বাংলাদেশে তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান শশী হাসপাতাল। যেখানে আকুপাংচার চিকিংসা দেওয়া হয়। এটি ঢাকায় শান্তিনগর চৌরাস্তাতে অবস্থিত। এখানে কোমর ব্যথা সহ যেকোনো ব্যথার সমস্যার সমাধানে আকুপাংচার চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং প্যারালাইসিস, ইডি, ঘুমের সমস্যা, আইবিএস, মাইগ্রেন চিকিৎসা ও দিয়ে যাচ্ছে। আকুপাংচারের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। যার ফলে ব্যথার সমস্যা থেকে অতি দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়। আপনিও শশী আসতে পারেন, চিকিৎসা নিতে।
পরিশেষে
কোমর ব্যাথা (Low Back Pain) একটি অতিব যন্ত্রণাদায়ক ব্যাথা। বয়স ও কারণ ভেদে এই ব্যাথা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে শতকরা প্রায় ৯০% মানুষের কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। এই সমস্যা হলে সাধারনত কোমরের ব্যথা কমানোর মলম ব্যাবহার করে থাকে অনেকেই। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ বা মলম ব্যাবহার করা একেবারেই উচিত নয়।
কোমর ব্যাথা কমানোর জন্য আকুপাংচার চিকিৎসা একটি কার্যকরী উপায় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সেই প্রাচীন যুগ থেকে এই চিকিৎসার ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি একটি ঔষধ বিহীন চিকিৎসা। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও আকুপাংচার চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহিদুল ইসলাম, ঢাকায় অবস্থিত শশী আকুপাংচার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দিয়ে আসছেন সফলতার সাথে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে স্যোশ্যাল মিডিয়াতে চোখ রাখুন।
See More…
নাক ডাকা বন্ধে টিপস | আকুপাংচার চিকিৎসায় অভাবনীও সাফল্য | How to Stop Snoring