মাজা ব্যথা বা কোমর ব্যথা হয়নি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। প্রায় প্রতিটি মানুষই তার জীবদ্দশায় কম বেশি এই সমস্যায় ভুগেছেন। আমাদের দৈনন্দিন কাজ কর্ম থেকেই সাধারণত কোমর ব্যথার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটি খুবই যণত্রণাদায়ক একটি ব্যথা। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে কোমর ব্যথার মাত্রা বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়াও বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। বিভিন্ন উপায়ে কোমর ব্যথার চিকিৎসা করা যায়। এর মধ্যে থেকে কোমর ব্যথা দূর করার ঘরোয়া বেশকয়েকটি উপায় রয়েছে। আজকের ব্লগে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
কোমর ব্যথা কেন হয়
কোমর ব্যথা মূলত কোমরে কোন প্রকার আঘাত বা টান লাগার কারনে হয়ে থাকে। এছাড়াও অনেক রোগ বা চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকেও এই ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের দৈনন্দিন কাজের অভ্যাসের কারণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। যারা একইভাবে দীর্ঘ সময় বসে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে হাড় ক্ষয়, দুর্ঘটনা ইত্যাদির কারনেও এই ব্যথা হতে পারে।
মাজা ব্যথা বা কোমর ব্যথা যে কারনেই হোক না কেন, সঠিক চিকিৎসা করলে দ্রুত এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কোমর ব্যাথা নিরাময়ে শশী হাসপাতাল বাংলাদেশের একটি বহুদূর প্রচলিত প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা আকুপাংচার চিকিৎসক ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কোন প্রকার ঔষধ ও অপারেশন ছাড়াই শশী হাসপাতালে কোমর ব্যথার চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন।
কোমর ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
কোমর ব্যথার চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত থাকেন। কারণ এর চিকিৎসা করতে যেয়ে অনেক সময় অপারেশনও করতে হয়। আবার অনেক দিন চিকিৎসা নেওয়ার পরেও দেখা গিয়েছে এই ব্যথা নিরাময় হচ্ছে না, ব্যথা আবার নতুন করে শুরু হয়ে থাকে। তবে কোমর ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়ে কিছু চিকিৎসা রয়েছে যেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে অনেকটাই ভালো থাকে সম্ভব। নিম্নে সেই ঘরোয়া চিকিৎসার বিষয়গুলো প্রদান করা হলঃ
১. গরম পানি ও বরফের সেঁক দেওয়া
২. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা
৩. ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাদ্য বেশি গ্রহণ করা
৪. আদা, হলুদ, মেথি ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খাওয়া
৫. নিয়ম করে হাঁটাচলা করা
উপরোক্ত ঘরোয়া উপায়গুলো মেনে চললে কোমর ব্যথা থেকে অনেক ক্ষেত্রেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কোমর ব্যথা হলে কি কি করা যাবে না
কোমর ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক গুলো বিধিনিষেধ মেনে চলা জরুরী। এই ব্যথা মূলত আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের সাথে বেড়ে থাকে। তাই সেসব কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে যেগুলো করলে এ ব্যথা বেড়ে যায়। চলুন জেনে নেই সেই সকল বাধানিষেধ।
- ভারি কিছু বহন করা যাবে না
- শরীরের ওজন বাড়ানো যাবে না
- একভাবে দীর্ঘ সময়বসে থাকা যাবে না
- নরম বিছানা ব্যবহার করা যাবে না
- অনিয়মিত খাবার খাওয়া যাবে না, ইত্যাদি।
উপরক্ত বিধি নিষেধ গুলো মেনে চললে কোমর ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। সেই সাথে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম ও আধুনিক কোমর ব্যথার চিকিৎসা দিয়ে আসছেন ডা. এস. এম. শহিদুল ইসলাম। তার তত্বাবধানে আকুপাংচার ও কম্বিনেশন চিকিৎসার মাধ্যমে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পেয়েছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য রোগী।
পরিশেষে
কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়গুলো সম্পর্কে আমরা জেনেছি। এসকল ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চললে কোমর ব্যথা থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। তবে এগুলোই শেষ চিকিৎসা নয়, এগুলো প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে গণণা করা যেতে পারে। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে।
ঔষধ ও অপারেশন বিহীন কোমর ব্যথার চিকিৎসায় আকুপাংচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের অন্যতম আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম দীর্ঘদিন কোমর ব্যথার চিকিৎসা করে আসছেন। দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতায় আকুপাংচার চিকিৎসা হতে পারে আপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ্য।