কোমর ব্যথার লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা

কোমর ব্যথা কেন হয়, লক্ষণ ও সহজ চিকিৎসা

কোমর ব্যাথা বা মাজা ব্যথা প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই একটি সাধারন সমস্যা। প্রায় প্রতিটি মানুষই কোন না কোন সময় এই কোমর ব্যাথা ভোগ করেছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে এই সমস্যা বেশে দেখা দেয়। কোমর ব্যাথার (Low Back Pain) জন্য অনেকেই অনেক ঔষধ সেবন করেন, কিন্তু স্থায়ী ভাবে সমাধান অনেকেই পায় না। কোমর ব্যাথা বা মাজা ব্যথার স্থায়ী সমাধান হিসেবে আকুপাংচার চিকিৎসা ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। প্রাচীন যুগ থেকেই এই চিকিৎসা ব্যবস্থা চলে আসছে, বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা থেকে ১০০ টি চিকিৎসার স্বীকৃতি পেয়েছে এই চিকিৎসা।

বর্তমানে বাংলাদেশে কোমর ব্যথার চিকিৎসায় এক অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখেছেন দেশসেরা আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম। তিনি পেইন ও প্যারালাইসিস চিকিৎসার উপর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তার ঔষধ বিহীন কোমর ব্যথার চিকিৎসায় সুস্থ্যতা অর্জন করেছেন অসংখ্য মাজা ব্যথার রোগী।

কোমর ব্যথা কী?

বিশ্বজুড়ে দৈনন্দিন জীবনধারায় বিভিন্ন পেশাদার মানুষ কোমর ব্যথার  সমস্যা অনুভব করেনকোমর ব্যথা (Low Back Pain) বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ, দুর্ঘটনা, দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে ত্রুটি ও বিভিন্ন কারণে হয়। অনেক ক্ষেত্রে শরীরের পেশিতে টান লাগার কারনে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। কোমর ব্যাথা মূলত অনেক যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে।

অনেকে হাটা চলা করতেও পারে না। অনেকের ক্ষেত্রে কোমর ব্যাথা স্থায়ী হয় আবার অনেকের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে ঘরোয়া উপায়ে কোমর ব্যাথা সরানো যায়, কারণ এ চিকিৎসায় কোন প্রকার ঔষধ ব্যবহার করা হয় না।

আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে কোমর ব্যাথা থেকে সমাধান পাওয়ার গল্প জানুন রোগীর নিজের মুখে

কোমর ব্যথা কেন হয়?

কোমর ব্যাথা কেন হয় সেটা নির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় না। বিভিন্ন কারনে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘক্ষণ এক জায়গাতে বসে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে কোমর ব্যাথার সমস্যাটি দেখা দেয় বেশি। বয়স ভেদে কোমরের ব্যাথা হয়ে থাকে। বৃদ্ধ বয়সের পাশাপাশি অল্প বয়সেও কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। আবার মহিলা বা মেয়েদের কোমর ব্যাথা হতে পারে ভিন্ন কারনে, সাধারণত সিজারের পরে মেয়েদের কোমর ব্যাথা (Low Back Pain) হয়ে থাকে। এছাড়াও আরও অনেক কারণে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে, সেগুলো নিচে আলোচনা করা হল।

  •       কোমরে চাপ লাগার কারণে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে।
  •       ডিস্ক সার্জারির কারণে কোমরে ব্যাথা হয়ে থাকে।
  •       স্ট্রেন বা দুর্ঘটনার কারণে কোমর ব্যথা হয়।
  •       বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোমর ব্যথা হতে পারে।
  •       অতিরিক্ত ওজন কোমর ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
  •       দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকলে বা কাজ করলে।
  •       ভারী কিছু উত্তোলন করলে কোমরে ব্যাথা হয়।
  •       স্কোলিওসিস এর সমস্যা দেখা দিলে কোমর ব্যাথা হতে পারে।
  •       অস্টিওআর্থাইটিস সমস্যার কারণে হতে পারে।
  •       ক্যান্সার ও বিভিন্ন রোগের কারণে।
  •       হতাশা ও উদ্বেগ থেকে কোমর ব্যথা হতে পারে।
  •       মহিলাদের ক্ষেত্রে সিজারের পরে কোমরের ব্যাথা হয়।
  •       সিড়ি বেঁয়ে ওঠানামার কারনে কোমর ব্যাথা হয়।

বাংলাদেশের মধ্যে সবথেকে সেরা কোমর ব্যথার চিকিৎসা (Best low back pain treatment in Dhaka, Bangladesh) প্রদান করা হয় শশী হাসপাতাল (আকুপাংচার) এ। সেখানে দেশ সেরা আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহিদুল ইসলাম এর তত্বাবধানে এ চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

দীর্ঘঘমেয়াদি কোমর ব্যাথা কেন হয়?

সধারণত দীর্ঘঘমেয়াদি কোমর ব্যাথার কারণ ডিস্ক প্রল্যাপ্স বা পিএলআইডি অথবা হাড়ের ক্ষয় বা স্পন্ডাইলোসিস। বেশির ভাগ সময় এইসকল কারনে দীর্ঘমেয়াদি কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। অনেকেই জানতে চায় দীর্ঘমেয়াদি কোমর ব্যাথার উৎপত্তি কোথায়? এক্ষেত্রে বলা যায় যে, নির্দিষ্ট ভাবে এই রোগের কারন বলা যায় না। রোগীর ইতিহাস জানার পরি এই রোগের উৎপত্তি বলা সম্ভব। অনেকেই আছেন যারা ডেস্কে বসে কাজ করে, এক্ষেত্রে তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কোমর ব্যাথা স্থায়ী হতে পারে। দ্রুত সময়ে কোমর ব্যথার চিকিৎসা করলে ব্যথা ভালো হয়।

কোমর ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়

কোমর ব্যাথা (Low Back Pain) একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগ। বিভিন্ন বয়সে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে বিভিন্ন কারণে। কোমর ব্যাথা হলে সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া  ভাবে গরম পানির সেক নেওয়া হয়। কোমর ব্যাথা নিরাময়ে গরম পানির সেক নিলে সাময়িক ভাবে কিছুটা নিরাময় পাওয়া গেলেও, স্থায়ীভাবে কোমর ব্যাথা নিরাময় হয় না। এজন্য কোমর ব্যাথা হলে একজন বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কিছু কোমর ব্যাথা কমানোর টিপস দেওয়া হলঃ

  •         দীর্ঘ সময় একজায়গায় না বসা।
  •         চেয়ারে বসলে, কোমরের পেছনে শক্ত বালিশ ব্যাবহার করা।
  •         কোমরের ব্যায়াম করা।
  •         নরম বিছানায় না ঘোমানো।
  •         ভারি বস্তু বহন না করা।

এগুলো ছাড়াও, দীর্ঘমেয়াদি কোমর ব্যাথার চিকিৎসা শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে। আকুপাংচারের মাধ্যমে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া কোমর ব্যাথা সরানো (Low back pain treatment without medicine in Dhaka, Bangladesh) যায়। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহিদুল ইসলাম সফলতার সাথে আকুপাংচার চিকিৎসা দিয়ে অসংখ্য রোগীকে সুস্থ করেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ইউটিউব চ্যানেলটি

কোমর ব্যাথা কমানোর ব্যায়াম

কোমর ব্যথা বা মাজা ব্যথা (Low Back Pain) কেন হয়, লক্ষণ ও সহজ চিকিৎসা জানার সাথে সাথে, আরও একটি বিষয় জানতে হবে সেটা হলো কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে কোমর ব্যাথা কমানোর উপায় ব্যায়াম হতে পারে। কিছু ব্যামের মাধ্যমে কোমর ব্যাথা কমানো যায়। প্রতিনিয়ত সকাল এবং রাতে  এই ব্যায়ামগুলো করলে কোমরের ব্যাথা নিরাময় সম্ভব। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করলে কোমর ব্যাথা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

কোমর ব্যথা প্রতিরোধে আকুপাংচারের ভূমিকা

কোমর ব্যথার জন্য কোনো ধরনের ঔষধ ছাড়া আকুপাংচারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গবেষণা অনুসারে, ৯০% কোমর ব্যথার সমস্যা অস্ত্রোপচার ছাড়াই চিকিৎসা করা যায়। আকুপাংচার যেকোনো ব্যথার সমস্যার সমাধান দেয়। তেমনি কোমর ব্যথার সমস্যা আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। এখন সবার মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে, আকুপাংচার কী? সেটা আবার কোন ধরনের চিকিৎসা।

আকুপাংচার যার আকু শব্দের অর্থ হচ্ছে সুই আর পাংচার হচ্ছে ফুটানো বা ছিদ্র করা। অর্থাৎ আকুপাংচার হচ্ছে মানব শরীরে যে নির্দিষ্ট আকুপয়েন্ট রয়েছে ব্যথাযুক্ত স্থানের ওই নির্দিষ্ট আকুপয়েন্টে অতি পাতলা সুচ ফুটিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসার পূর্বে ব্যথার স্থানে ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। আকুপাংচার দেওয়ার ফলে শরীর উদ্দীপ্ত হয়, রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর দক্ষ হাতে আকুপাংচার করলে অতি দ্রুত ব্যথা থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।

বাংলাদেশে তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান শশী হাসপাতাল। যেখানে আকুপাংচার চিকিংসা দেওয়া হয়। এটি ঢাকায় শান্তিনগর চৌরাস্তাতে অবস্থিত। এখানে কোমর ব্যথা সহ যেকোনো ব্যথার সমস্যার সমাধানে আকুপাংচার চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং প্যারালাইসিস, ইডি, ঘুমের সমস্যা, আইবিএস, মাইগ্রেন চিকিৎসা ও দিয়ে যাচ্ছে। আকুপাংচারের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। যার ফলে ব্যথার সমস্যা থেকে অতি দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়। আপনিও শশী আসতে পারেন, চিকিৎসা নিতে।

পরিশেষে

কোমর ব্যথা বা মাজা ব্যথা (Low Back Pain) একটি অতিব যন্ত্রণাদায়ক ব্যাথা। বয়স ও কারণ ভেদে এই ব্যাথা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে শতকরা প্রায় ৯০% মানুষের কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে। এই সমস্যা হলে সাধারনত কোমরের ব্যথা কমানোর মলম ব্যাবহার করে থাকে অনেকেই। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ বা মলম ব্যাবহার করা একেবারেই উচিত নয়।

কোমর ব্যাথা কমানোর জন্য আকুপাংচার চিকিৎসা একটি কার্যকরী উপায় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সেই প্রাচীন যুগ থেকে এই চিকিৎসার ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি একটি ঔষধ বিহীন চিকিৎসা। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও আকুপাংচার চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম, ঢাকায় অবস্থিত শশী আকুপাংচার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দিয়ে আসছেন সফলতার সাথে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে স্যোশ্যাল মিডিয়াতে চোখ রাখুন।

See More…

নাক ডাকা বন্ধে টিপস | আকুপাংচার চিকিৎসায় অভাবনীও সাফল্য | How to Stop Snoring

কান ব্যথা এর (Earache) কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

Leave a Reply

Receive the latest news

Subscribe To My Weekly Newsletter

Get notified about new articles