অপারেশন পরবর্তী খিচুনি বলতে কোন অপারেশন করার পরবর্তী সময়ে এক ধরনের খিঁচুনির সৃষ্টি হয় যা খুবই কষ্টকর। বিশেষ করে মায়েদের সিজারের পর খিঁচুনি হয়ে থাকে। এটি একটি বিপদজনক সমস্যা। চলুন জেনে নেই সিজারের পর খিঁচুনি কেন হয়, এর কারণ ও লক্ষণ।
আকুপাংচার এর মাধ্যমে কোন প্রকার ঔষধের ব্যবহার ছাড়া সিজারের পর খিঁচুনির চিকিৎসা করা হয়। আকুপাংচার একটি চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কোন ঔষধের ব্যবহার করা হয় না। বাংলাদেশের সুনামধন্য আকুপাংচার চিকিৎসক ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এই রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখনো পর্যন্ত অসংখ্য রোগী সুস্থ্য হয়েছেন।
অপারেশন পরবর্তী খিচুনি কি? (Postoperative convalescence)
মাতৃত্ব একজন নারীর জীবনে আনে পরিপূর্ণতা। প্রত্যেকটি মা-ই চায় তাঁর সন্তানটি যেন নিরাপদে পৃথিবীর আলো দেখে। আর সে যেন তাকে সুস্থভাবে দিতে পারে সঠিক সেবা। সিজারিয়ান সেকশন অন্যতম একটি নিরাপদ ও জনপ্রিয় ডেলিভারি পদ্ধতি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সিজার পরবর্তী সময়ে মা ও শিশুর কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। যা কোন কোন সময়ে দুজনের জন্যই মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সিজারের পর খিচুনির জটিলতা এমন একটি অবস্থা যা দৈনন্দিন জীবনযাপনের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। অপারেশন পরবর্তী খিচুনির জটিলতা বেশি সময় ধরে থাকে এবং এটি একটি গুরুতর আকার।
‘ মা ’ দের ক্ষেত্রে সিজারের পর খিচুনির কিছু জটিলতা দেখা যায়
সিজারের পর মায়েদের বেশ কিছু জটিলতা দেখা দেয় শরীরে। যা কিনা খুবই অসহ্যকর ও বেদনাদায়ক। এমন কিছু বিষয় নিচে দেওয়া হল:
- স্থুলতা
- একাধিক সন্তান থাকা
- কিছু ওষুধের প্রতি প্রতিক্রিয়া
- গর্ভকালীন সময়ে রক্তের অভাব
- প্রি-ম্যাচিউর প্রসব বেদনা
- ডায়াবেটিস
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে সিজারের পর খিঁচুনির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের শশী হাসপাতালে আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য হয়েছেন অনেক রোগী। এখানে দেশের স্বনামধন্য আকুপাংচার চিকিৎসক ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম তার দীর্ঘদিনের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সুস্থ্য করেছেন দেশ ও বিদেশের অনেক রোগীকে। বর্তমানে শুধুমাত্র চিকিৎসা নেওয়ার জন্য দেশের বাহিরে থেকে রোগীরা বাংলাদেশে আসে। আকুপাংচার চিকিৎসায় সুস্থ্য ব্যক্তিদের অভিব্যক্তি জানুন।
অপারেশন পরবর্তী খিচুনির কারণ
মায়েদের সিজারের পর খিঁচুনির কারণ গুলো নিচে দেওয়া হল:
- রক্ত জমাট বাঁধা
- ওষুধে প্রতিক্রিয়া
- পরবর্তী সন্তান ধারণে জটিলতা
অপারেশন পরবর্তী খিচুনির জটিলতারোগের চিকিৎসায় আকুপাংচারের ভুমিকাঃ
আকুপাংচার আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে প্রাচীন চীনে আবিষ্কৃত একটি ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি। এই চিকিৎসা বর্তমানে সমস্ত পৃথিবীতে বহুল প্রচলিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা ১০০ টির ও বেশি রোগের জন্য আকুপাংচার চিকিৎসাকে সুপারিশ করা হয়েছে। আকুপাংচার যেকোনো খিচুনি সমস্যার সমাধান দেয়। যার চিকিৎসা দেওয়া হয় সূক্ষ্ম সুচের মাধ্যমে। আকুপাংচার দেওয়ার ফলে শরীর উদ্দীপ্ত হয়, ব্যথা উপশম করে, প্রদাহ কমায়, রক্ত চলাচলে বৃদ্ধি ঘটে, অবসন্নতা দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণা অনুসারে আকুপাংচার সূঁচ শরীরের বিভিন্ন অংশকে উদ্দীপিত করে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এটি ব্যথা উপশমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আকুপাংচার শরীরের শক্তি প্রবাহ বা “কিউই” ভারসাম্য বজায় রাখে এবং সম্ভাব্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবেলা করে হরমোন এবং নিউরোট্রান্সমিটারকে প্রভাবিত করতে সাহায্য করে।
অপারেশন পরবর্তী খিচুনির জটিলতা ও তাঁর চাপ কমাতে পারে। এছাড়া এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আকুপাংচার শরীরের বিভিন্ন অংশের মধ্যে এক ধরণের উদ্দীপনা তৈরী করে। যার কারণে অপারেশন পরবর্তী খিচুনির জটিলতা ও ব্যথাযুক্ত স্থান গুলির মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা তৈরী হয় এবং ব্যথা ধীরে ধীরে প্রশমিত হতে থাকে। সুতরাং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত আকুপাংচার অপারেশন পরবর্তী খিচুনির জটিলতার বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। আকুপাংচার চিকিৎসার মূল ভিত্তি হলো শরীরের মাংসপেশি, ব্লাড ভেসেল, রক্তনালী, ইত্যাদি। আকুপাংচার পদ্ধতিতে রোগীর কশেরুকার যে লেভেলে সমস্যা আছে, আকুপাংচার পদ্ধতিটি সেই স্থানের আশেপাশে অবস্থিত চ্যানেলগুলোকে এর মাধ্যমে ইলেকট্রিক শক দিয়ে উদ্দীপিত করে। এতে সেই স্থানে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং বিভিন্ন রকম হরমোন নিঃসরণ হয়। এর ফলে উক্ত স্থানের ব্যথা উপশম হতে থাকে। এছাড়া অপারেশন পরবর্তী খিচুনির জটিলতা সহ আরো বিভিন্ন ব্যথা ও নার্ভ জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে আকুপা চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
See More…