আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome) একটি অস্বস্তিকর ব্যাথা। আইবিএস্কে পেটের কয়েকটি উপসর্গের সমন্বয়ে ব্যাখ্যা করা হয়। এ রোগে পেটের ব্যাথা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি আরও অনেক ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে। পেট ব্যথা বা আইবিএস (IBS) থেকে মুক্তির উপায় এর কারণ ও উপসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই ব্লগে। এবং IBS থেকে কোন ঔষধ ছাড়া মুক্তিতে আকুপাংচার চিকিৎসা সম্পর্কে জানব।
আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ Dr. S.M Shahidul Islam PhD. এর তত্বাবধানে শশী হাসপাতালে বাংলাদেশের সেরা ঔষধ বিহীন আইবিএস এর চিকিৎসা (Best IBS treatment without medicine in Dhaka, Bangladesh) দেওয়া হয়।
আইবিএস কি?
আইবিএস (IBS – Irritable Bowel Syndrome) কি? আইবিএস হচ্ছে একটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিসঅর্ডার, যা অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বিঘ্নিত করে। এটি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি (chronic) এবং পুনরাবৃত্তিমূলক সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী, IBS-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
- পেটের ব্যথা বা ক্র্যাম্প – বিশেষ করে খাওয়ার পর বা অন্ত্রে গ্যাস জমে গেলে।
- বদহজম বা ডায়রিয়া/কনস্টিপেশন – কখনও ডায়রিয়া, কখনও কনস্টিপেশন, আবার কখনও উভয়ই মিলিত হতে পারে।
- পেট ফোলা বা গ্যাস জমা হওয়া – অন্ত্রে অতিরিক্ত বাতাস জমে বা অস্বাভাবিক পেট ফাঁপা (Flatulence) দেখা দেয়।
- Bowel movement-এর পরিবর্তন – অন্ত্রের ফ্রিকোয়েন্সি, ধরণ বা consistency হঠাৎ পরিবর্তিত হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, IBS সাধারণত ঘটে অন্ত্রের স্নায়ু ও মস্তিষ্কের মধ্যে সিগন্যালের অসঙ্গতি, অন্ত্রের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি, অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম পরিবর্তন, মানসিক চাপ বা অসঙ্গতি জীবনধারার কারণে। পাশ্চাত্য দেশে প্রতি ১০ জনে অন্তত একজন মানুষ এ রোগে তার জীবদ্দশায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, প্রতি ১০০ জন পুরুষে ২০ দশমিক ৬ জন এবং ১০০ জন নারীর মধ্যে ২৭ দশমিক ৭ জন এ রোগে আক্রান্ত হন।
IBS কত প্রকার?
IBS বা Irritable Bowel Syndrome হলো একটি ক্রনিক অন্ত্রের সমস্যা, যার ধরন এবং উপসর্গের ভিত্তিতে এটিকে মূলত চার ভাগে বিভক্ত করেছে। সঠিক টাইপ নির্ধারণ করা চিকিৎসা এবং জীবনধারার পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১. IBS-C (Constipation-Predominant IBS)
এটি হলো কনস্টিপেশন-ডমিন্যান্ট টাইপ।
লক্ষণসমূহ:
- শক্ত ও শুকনো মল
- দীর্ঘ সময় ধরে বowel movement না হওয়া
- মলত্যাগের সময় ব্যথা বা অস্বস্তি
- পেট ফোলা বা ক্র্যাম্প
২. IBS-D (Diarrhea-Predominant IBS)
এটি হলো ডায়রিয়া-ডমিন্যান্ট টাইপ।
লক্ষণসমূহ:
- ঘন ঘন পাতলা পায়খানা
- খাবার খাওয়ার পরে হঠাৎ বাথরুমের প্রয়োজন
- পেটের ক্র্যাম্প বা গ্যাস
- কখনও কখনও অস্থায়ী দুর্বলতা বা ক্লান্তি
৩. IBS-M (Mixed Type IBS)
এটি হলো মিশ্র টাইপ, যেখানে কনস্টিপেশন এবং ডায়রিয়া পালাক্রমে দেখা দেয়।
লক্ষণসমূহ:
- কখনও কনস্টিপেশন, কখনও ডায়রিয়া
- অনিয়মিত bowel movement
- পেটের ফোলা ও ক্র্যাম্প
বিশেষ তথ্য: IBS-M রোগীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত ডায়েট এবং জীবনধারার পরিবর্তন সবচেয়ে কার্যকর।
৪. IBS-U (Unclassified IBS)
যেসব ক্ষেত্রে উপসর্গ কোনো নির্দিষ্ট টাইপে ফিট করে না, তাকে বলা হয় Unclassified IBS।
লক্ষণসমূহ:
- কখনও কনস্টিপেশন
- কখনও ডায়রিয়া
- উপসর্গ স্থায়ী নয় বা অপ্রত্যাশিতভাবে আস
সঠিক টাইপ নির্ণয় করলে চিকিৎসক রোগীর বয়স, ওজন এবং উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ডায়েট চার্ট, ওষুধ এবং জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে IBS-এর উপসর্গ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
আইবিএস (IBS) কেন হয়?
IBS বা ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম হলো অন্ত্রের একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, যা হঠাৎ পেট ব্যথা, বদহজম, ডায়রিয়া বা কনস্টিপেশন এবং গ্যাস জমা হওয়ার মতো উপসর্গ তৈরি করে। যথাযথ কারণ সনাক্ত করলে
১. মস্তিষ্ক ও অন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগের ব্যাঘাত: অন্ত্র এবং মস্তিষ্ক একে অপরের সঙ্গে ক্রমাগত সংকেত বিনিময় করে। এই সিগন্যালের ভারসাম্যহীনতা পেটে ব্যথা বা অন্ত্রের অতিসংবেদনশীলতার কারণ হতে পারে।
২. অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা: অন্ত্রে থাকা স্বাভাবিক ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হলে হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। ফলে পেট ফোলা, গ্যাস জমা এবং বowel movement-এর অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।
৩. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগ মস্তিষ্ক-অন্ত্র সিগন্যালকে প্রভাবিত করে, যা IBS-এর উপসর্গ বাড়াতে পারে।
৪. খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা: ফ্যাটি বা অতিস্বাদযুক্ত খাবার, অনিয়মিত খাবারের সময়, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া—all এগুলো IBS-এর ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
৫. হরমোনের পরিবর্তন: বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ওঠানামা অন্ত্রের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে IBS-এর উপসর্গকে তীব্র করতে পারে।
৬. পূর্ববর্তী সংক্রমণ বা প্রদাহ: কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ শেষ হওয়ার পর অন্ত্রের অস্বাভাবিক সংবেদনশীলতা বা হালকা প্রদাহ দেখা দিতে পারে, যা IBS-এর ঝুঁকি বাড়ায়।
বাংলাদেশের সুনামধন্য আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আইবিএস এর চিকিৎসা প্রদান (IBS treatment in Dhaka, Bangladesh) করে আসছেন। তার হাত ধরে দেশ ও বিদেশের অনেক রোগী আইবিএস থেকে সুস্থ্যতা পেয়েছেন।
আইবিএস (IBS) এর লক্ষণসমূহঃ
হজমের সমস্যাজনিত পেটে ব্যথা বা আইবিএস (IBS) একটি রোগের জন্য হয় না। বেশ কয়েকটি রোগের সমন্বয়ে Irritable Bowel Syndrome রোগটি শরীরে বাসা বাঁধে। IBS রোগের লক্ষণ বা বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে এর উল্লেখযোগ্য উপসর্গগুলো হলো, পেটব্যথা, পেটফাঁপা, পায়খানার সঙ্গে আম যাওয়া, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমন্বয় ইত্যাদি। কোনো রোগীকে আইবিএস (IBS) হিসেবে শনাক্ত করতে হলে এ লক্ষণগুলোতে অন্তত দুটি লক্ষণ তিন মাস পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে। এছাড়া অন্য যেসব লক্ষণ থাকতে পারে, সেগুলো হল- পেটে অত্যধিক গ্যাস, পেটে অত্যধিক শব্দ, বুক জ্বালা, বদহজম, পায়খানা সম্পূর্ণ না হওয়া, পেটে ব্যথা হলে টয়লেটে যাওয়ার খুব তাড়া, পেটব্যথা হলে পাতলা পায়খানা হওয়া, শারীরিক অবসাদ ও দুর্বলতা, মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ, নারীদের ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন কিংবা মিলনের সময় ব্যথা। যদি পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়ে, শরীরের ওজন কমে যায় এবং হঠাৎ পায়খানার ঘনত্বের পরিমাণ কমে যায়, তবে এগুলো অন্য কোনো রোগের এমনকি কোলোরেক্টাল ক্যানসারের উপসর্গও নির্দেশ করে।
আইবিএস নিয়ে ভালো থাকার উপায়সমূহঃ
১. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, মিষ্টান্ন খাবার ইত্যাদি।
২. চকলেট, চা, কফি ও অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত খাবার
৩. ময়দা থেকে তৈরী যেকোন খাবার, যথা ময়দার রুটি, বিস্কিট ও অন্যান্য বেকারীজাত খাবার।
৪. যেসব সবজি গ্যাস বাড়ায় যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন ইত্যাদি।
৫. অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার, তৈলাক্ত খাবার, যথা গরুর গোস্ত, দোকানের পরটা, সিঙ্গারা,
কিংবা অন্যান্য তেলে ভাজা খাবার পরিহার করবে।

Dr. S.M. Shahidul Islam PhD is widely recognized as one of the best IBS doctor in Dhaka and all over Bangladesh, combining his expertise as a gastroenterologist with a focus on acupuncture, non-drug therapies, and lifestyle-based solutions. Renowned for his holistic approach, Dr. Shahidul Islam offers personalized care plans that help patients achieve lasting relief from IBS symptoms without the side effects of conventional medications. Here is more information about his IBS treatment.
আইবিএস থেকে মুক্তির উপায়:
সাধারন চিকিৎসায় আইবিএস থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় খুব কম। তবে আকুপাংচার চিকিৎসায় আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome) থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং আকুপাংচার চিকিৎসায় আইবিএস থেকে মুক্তির পাওয়া রোগীর হার অনেক বেশি, যেখানে অন্যান্য চিকিৎসা ব্যর্থ হয়েছে ইতিপূর্বে। এর চিকিৎসার পাশাপাশি বেশ কিছু অভ্যাস বা নিয়ম মেনে ঘরোয়া উপায়ে আইবিএস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া।
- লিক ভেজিটেবল খাওয়া।
- সারা দিনে অল্প অল্প করে ভাগ করে খাবার খাওয়া।
- তেল চর্বি যুক্ত খাবার কম খাওয়া।
- প্রচুর পানি পান করা।
- মানসিক চাপ কমানো।
- যেসকল খাবার খেলে পেটের সমস্যা হয় সেসকল খাবার এড়িয়ে চলা।
- নিয়মিত হাঁটাচলা, মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করা, এতে পেটের গ্যাস ভাব কমে।
- স্পেশালিষ্ট দ্বারা আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা মেনে চলা।
এছাড়াও যদি বেশি পেটের ব্যথা, পেটে বুট বুট আওয়াজ, কোষ্ঠকাঠিন্য অর্থাৎ দীর্ঘ দিন আইবিএস এর সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আশেপাশে কোনো মেডিকেল ক্লিনিক বা হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
বাংলাদেশের শশী আকুপাংচার হাসপাতালে, আকুপাংচার এর মাধ্যমে আইবিএস রোগের চিকিৎসা করা হয়। এখানে দেশ সেরা আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট দ্বারা রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে আইবিএস এর চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
আইবিএস (IBS) এর চিকিৎসা ও প্রতিকার
লীক ভেজিটেবলঃ আইবিএস (IBS) সমস্যা প্রতিকারে লীক ভেজিটেবল একটি দুর্দান্ত পথ্য। লীক দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভালো উৎস এবং এতে প্রোবায়োটিক আছে যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসাবে কাজ করে। আমাদের পেটের ব্যাকটেরিয়াগুলো ফ্যাটি এসিড নামক কিছু তৈরি করে যা আমাদের জন্য সমস্ত ধরনের ভালো কাজ করে এবং আমাদের বিপাক প্রক্রিয়াকে ভালো রাখে, পেটের প্রদাহ কমায়, হজমে সহায়তা করে। লীক ভেজিটেবল গ্রহণের ফলে Irritable Bowel Syndrome সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ সম্ভব। কিন্তু শুধু এটি দিয়ে নয়, এর সাথে সাথে আরও বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা বাঞ্ছনীয়। এর মধ্যে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনাকে বৃদ্ধি করা এবং শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করা জরুরী। যা শরীরের ফ্রিরেডিকেলকে মেরে ফেলে যার ফলে কোষ ও শিশুর ক্ষতি হতে শরীর রক্ষা পায়। লীক ভেজিটেবল নিয়মিত গ্রহণের ফলে আইবিএস (IBS) সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হয়।
আইবিএএস নিরাময়ে লিক গুড়া পাউডারঃ
IBS বা Irritable Bowel Syndrome হলো একটি অন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, যা হঠাৎ পেট ব্যথা, বদহজম, ডায়রিয়া বা কনস্টিপেশন এবং গ্যাস জমার মতো উপসর্গ তৈরি করে। গবেষণা ও ক্লিনিকাল অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে যে লিক গুড়া (flaxseed) একটি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উপায় হিসেবে IBS-এর উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
১. হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে: লিক গুড়ার মধ্যে থাকা সলিউবেল ও আনসলিউবেল ফাইবার অন্ত্রের ময়েশ্চার ধরে রাখে এবং খাদ্য দ্রুত হজম হতে সাহায্য করে। এটি কনস্টিপেশন কমাতে কার্যকর।
২. Bowel movement নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ফাইবার Bowel movement কে নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে ডায়রিয়া ও কনস্টিপেশন উভয়ই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। IBS-এর রোগীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা।
৩. পেট ফোলা ও গ্যাস কমায়: লিক গুড়ার সলিউবেল ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। এতে গ্যাস জমা বা পেট ফোলার সমস্যা কমে।
৪. প্রদাহ হ্রাসে সাহায্য করে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ লিক গুড়া অন্ত্রের হালকা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা IBS-এর উপসর্গকে হ্রাস করে।
৫. প্রাকৃতিক ও নিরাপদ সমাধান: লিক গুড়া একটি নিষ্কণ্টক এবং প্রাকৃতিক উপায়, যা দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করলে IBS উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত নয়, এবং সর্বদা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিস্তারিত জানুন
ওজোন সাওনা থেরাপিঃ এছাড়া আইবিএস (IBS) প্রতিরোধের একটি যুগান্তকারী সমাধান হলো ওজোন সাওনা থেরাপি। এই চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরকে জীবাণুমুক্ত করে এবং মানবদেহের টিস্যুগুলোতে পৌঁছে যাওয়া অক্সিজেনের পরিমাণকে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করে। এটি ফিজিওথেরাপির একটি উন্নত পর্যায়। এটি বহির্বিশ্বে বহুল প্রচলিত এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে। ওজোন সাওনা থেরাপির মাধ্যমে শরীর অধিক কার্যকর হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্পূর্ণ নিরাপদ একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে জানা যায় এবং আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome) রোগের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঔষধ বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও, শশী হেলদি লাইফস্টাইল অনুসরণের মাধ্যমে আপনি আইবিএএস থেকে সম্পূর্ণ স্থায়ীভাবে মুক্তি পাবেন।
আইবিএস থেকে মুক্তি লাভ করার কার্যকরী চিকিৎসাঃ আকুপাংচার
আইবিএস থেকে মুক্তিতে আকুপাংচার চিকিৎসা একটি যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধতি । আকুপাংচার শরীরের মধ্যে এক ধরণের উদ্দীপনা তৈরী করে যা শরীরের স্নায়ু সরবরাহ বৃদ্ধি করে এবং কোষকে আরো সতেজ করে তোলে। পেটের উপরিভাগে আকুপাংচারের ফলে তা উক্ত স্থানগুলোকে আরো সক্রিয় করে এবং আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome) এর উপসর্গ গুলকে ধিরে ধিরে সমাধান করে। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে এই আকুপাংচার একটি যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং বর্তমানে এটি বহুল প্রচলিত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। মূলত এ সমস্যাটি দীর্ঘসময়ের তাই শুধুমাত্র ঔষধ গ্রহণের ফলে তা থেকে সহজে আরোগ্যলাভ সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হয়। কিন্তু আকুপাংচার এই দিক থেকে একটি বিশেষ ঔষধি বা চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা যায়। যা সম্পূর্ণ একটি ওষুধ বিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি। আকুপাংচার হল ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার এবং শরীরকে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আকুপাংচার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট http://www.suoxihospital.com ভিজিট করুন। এছাড়াও আকুপাংচার চিকিৎসায় নিয়ে যে সকল রোগী IBS থেকে মুক্তি পেয়েছেন, তাদের সুস্থ হওয়ার গল্প জানুন বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস.এম. শহিদুল ইসলাম এর ইউটিউব চ্যানেল থেকে।
See More…
বুকের দুধ কম তৈরি হওয়ার (Lactational deficiency) কারণ
যৌন সমস্যা হলে করণীয় | যৌন সমস্যার চিকিৎসা | যৌন সমস্যার ওষুধ | আকুপাংচার