মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা পড়ার কারণ ও বন্ধ করার উপায়

মুখে অতিরিক্ত লালা তৈরি হওয়া বা লালা ক্ষরণের (Sialism) কারণ ও আকুপাংচারের মাধ্যমে চিকিৎসা

মুখে লালা ঝরা একটি স্বাভাবিক বিষয়। ছোট বড় সকলের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় ঘুমের মধ্যে লালা পরে বিছানা ভিজে যায় আবার কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় সারাদিন মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। এরকম অবস্থা স্বাভাবিক বলে ধরা যায় না। বিভিন্ন কারণে এমন হতে পারে। মুখে অতিরিক্ত লালা ক্ষরণ কেন হয় এবং এর ওষুধ বিহীন চিকিৎসা (Without medicine treatment of Sialism) সম্পর্কে জানব আজকের ব্লগে।

আকুপাংচার এর মাধ্যমে ওষুধ বিহীন চিকিৎসা করে মুখে অতিরিক্ত লালা ঝরা বন্ধ করা যায়। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার ডাক্তার (Best acupuncture doctor in Dhaka, Bangladesh) এর পরামর্শ নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছেন অসংখ্য রোগী। Dr. S. M. Shahidul Islam এর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর ভরসা করে দেশ সহ বিদেশের অনেক রোগী বাংলাদেশে এসে আকুপাংচার চিকিৎসা গ্রহন করছেন।

ওষুধ বিহীন অনিদ্রার চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ্য আমেরিকান প্রবাসী

মুখে অতিরিক্ত লালা ক্ষরণ কেন হয় (Sialism)

দৈনিক 0.5-1.5 লিটার লালা ক্ষরণ হওয়া স্বাভাবিক 1.5 লিটারের বেশি লালা ক্ষরণ হওয়াকে অতিরিক্ত লালা ক্ষরণ বলে। মুখনিঃসৃত অতিপ্রয়োজনীয় তরল লালা। কানের সামনে অবস্থিত চোয়ালের দুই পাশের প্যারোটিড গ্রন্থি, মুখের নিচে দুই পাশে সাব ম্যান্ডিবুলার ও জিবের নিচের দুই পাশে সাব লিঙ্গুয়াল গ্রন্থিসহ মুখের ভেতরে অসংখ্য অতি ক্ষুদ্র লালাগ্রন্থি থেকে এটি তৈরি হয়।

প্রতিদিন আধা থেকে দেড় লিটার লালা মুখের ভেতর লেগে থাকা খাবার ও জীবাণুকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। খাবার হজমের উপযোগী করতে, মুখ পিচ্ছিল ও আর্দ্র রাখতে, খাবার ঠিকমতো গিলতে, দাঁতের ঘর্ষণজনিত ক্ষত থেকে মুখকে রক্ষা, মুখের দুর্গন্ধ দূর করাসহ নানা কাজে সহায়তা করে লালা। লালা নিঃসরণ কম বা বেশি হলে অস্বস্তিকর লাগে। ঝুঁকিতে পড়ে মুখের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য।

অতিরিক্ত লালা ক্ষরণের কিছু কারণ

  • লালা গন্থিতে সংক্রমণ
  • সেরিব্রাল পালসি, স্ট্রোক, মটর নিউরন ডিজিজ, পারকিনসন ডিজিজ
  • স্নায়ুজনিত রোগের কারণ
  • ভিটামিন ডি৩ অভাবে
  • মুখগহ্বরের সংক্রমণ
  • অগ্নাশয়ে সংক্রমণ
  • জলাতঙ্ক রোগ
  • কোন কোন ওষুধের কারণেও অতিরিক্ত লালা পড়ে

মুখ শুষ্কতার কারণ

লালা নিঃসরণ কমে গেলে দাঁতের গর্ত, মাড়ির রোগ ও মুখে জ্বালাপোড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। লালার মধ্যে ভাইরাস ধ্বংসকারী উপাদানও বিদ্যমান। তাই এটি কমে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। পানি কম খেলে, বিভিন্ন কারণে পানিস্বল্পতা হলে লালা নিঃসরণ কমে যায়।

উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিডিপ্রেশন, কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও এটি হতে পারে। নাক বন্ধ থাকায় মুখ দিয়ে শ্বাস নিলে, রাতে মুখ খুলে ঘুমানোর অভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ভয় বা আতঙ্কেও লালা নিঃসরণ কমে।

মুখে অতিরিক্ত লালা তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধে আকুপাংচারের ভূমিকাঃ

আকুপাংচার আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে প্রাচীন চীনে আবিষ্কৃত একটি ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি। এই চিকিৎসা বর্তমানে সমস্ত পৃথিবীতে বহুল প্রচলিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা ১০০ টির ও বেশি রোগের জন্য আকুপাংচার চিকিৎসাকে সুপারিশ করা হয়েছে। আকুপাংচার যেকোনো ব্যথা সমস্যার সমাধান দেয়। যার চিকিৎসা দেওয়া হয় সূক্ষ্ম সুচের মাধ্যমে।

আকুপাংচার দেওয়ার ফলে শরীর উদ্দীপ্ত হয়, ব্যথা উপশম করে, প্রদাহ কমায়, রক্ত চলাচলে বৃদ্ধি ঘটে, অবসন্নতা দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণা অনুসারে আকুপাংচার সূঁচ শরীরের বিভিন্ন অংশকে উদ্দীপিত করে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এটি ব্যথা উপশমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আকুপাংচার শরীরের শক্তি প্রবাহ বা “Qi” ভারসাম্য বজায় রাখে এবং  সম্ভাব্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবেলা করে যা ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। আকুপাংচার বেশি লালা তৈরি হওয়া সম্পর্কিত হরমোন এবং নিউরোট্রান্সমিটারকে  প্রভাবিত করে বেশি লালা তৈরি হওয়া রোগ নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।

বৈজ্ঞানিক প্রমাণ: মুখে অতিরিক্ত লালা তৈরি না হওয়ার জন্য আকুপাংচারের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা রয়েছে এবং প্রায়ই এটি বিশেষ কার্যকারী। কিছু গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে আকুপাংচার একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এর কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠার জন্য আরও কঠোর, ভাল- পরিকল্পিত ক্লিনিকাল ট্রায়াল প্রয়োজন।

ওষুধ বিহীন কোমর ব্যথার চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ্য সিঙ্গাপুর প্রবাসী

সম্ভাব্য প্রক্রিয়া: মুখে অতিরিক্ত লালা তৈরি কমানোর জন্য আকুপাংচারের প্রবক্তারা পরামর্শ দেন যে এটি হরমোন নিয়ন্ত্রণের সাথে সম্পর্কিত নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলিকে উদ্দীপিত করে, স্তনে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং চাপ বা উদ্বেগ কমিয়ে কাজ করতে পারে।

প্রাথমিকভাবে এ সমস্যা দূর করতে ঘুমের ভঙ্গিমা বদলাতে হবে। যেহেতু অতিরিক্ত লালা বেরিয়ে আসাটাই সমস্যা, তাই এটা কাটাতে লেবুর ছিলকা খেলে বেশ উপকার মেলে। অনেকে ম্যানডিবুলার ডিভাইস ব্যবহার করেন। এটা এমন এক যন্ত্র যা মুখে লাগিয়ে ঘুমাতে হয়। এটা ঘুমের সময় মুখ বন্ধ রাখে এবং ঘুমকে আরামদায়ক করে।

দীর্ঘদিন ধরে যদি এই সমস্যা থাকে তাহলে এটা অন্য কারণেও হতে পারে। মুখে লালা আশার অন্যতম কারণ হলো আপনার মধ্যে যদি কৃমির প্রভাব পড়ে। আর কৃমি বেড়ে গেলে সাধারণত মুখে লালা বের হয়। এরকম হলে কৃমির ওষুধ খাওয়া উচিৎ।

এছাড়া ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পান করতে যেন ভুল না হয়। মনে রাখতে হবে যে, ঘুমানোর অন্তত এক ঘন্টা আগে মিষ্টি জাতীয় কোনো খাবার কিংবা পানীয় পান করবেন/খাইবেন না। আর ঘুমানোর ১০/১৫ মিনিট আগে একটু টক কিংবা লবন মিশ্রিত কিছু খাবেন।

স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ: মুখে অতিরিক্ত লালা তৈরি প্রতিরোধ করার জন্য আকুপাংচার বা অন্য কোনো বিকল্প  থেরাপি বিবেচনা করার আগে, একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ, যেমন একজন বিশেষজ্ঞ, একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার। তারা অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলি সনাক্ত করতে এবং বেশি লালা যেন না তৈরি হয় তার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং প্রমাণ-ভিত্তিক পদ্ধতির  নির্দেশিকা প্রদান করতে সহায়তা করতে পারে।

ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম (Best acupuncture doctor in Dhaka, Bangladesh) এর পরামর্শ ও চিকিৎসা নিয়ে এ রোগ থেকে সুস্থ্য হয়েছেন অসংখ্য রোগী। তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থিত শশী হাসপাতাল (Best acupuncture treatment hospital in Dhaka, Bangladesh) এ বর্তমানে ঔষধ বিহীন আকুপাংচার চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

See More…

মানসিক সমস্যার (Schizophrenia) কারন,লক্ষণ ও চিকিৎসা

ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট | ওজন কমানোর ব্যায়াম | ওজন কমাতে কি খাব?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Receive the latest news

Subscribe To My Weekly Newsletter

Get notified about new articles