স্ট্রোক

স্ট্রোক (Stroke) প্রতিরোধে আকুপাংচার এর ভূমিকা

পশ্চিমা সভ্যতার মতে, স্ট্রোক (Stroke) হল মৃত্যুর তৃতীয় বৃহত্তম প্রধান কারণ।  চীনা শহরগুলিতে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এবং গ্রামীণ এলাকায় তৃতীয়। বিভিন্ন থেরাপি ও  পদ্ধতির উপর উল্লেখযোগ্য গবেষণা ও প্রচেষ্টা সত্ত্বেও  স্ট্রোক পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার জন্য তেমন  কোন একক পুনর্বাসন হস্তক্ষেপ নিশ্চিতভাবে দেখানো হয়নি। স্ট্রোক চিকিৎসার সাফল্যের উন্নতির জন্য আকুপাংচার স্ট্রোক ব্যাধিগুলির জন্য সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে স্ট্রোক পরবর্তী সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই চিকিৎসা মাধ্যমে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া স্ট্রোক পরবর্তী সমস্যা ভালো হয়। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার চিকিৎসক ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর তত্বাবধানে ঢাকার শশী হাসপাতালে আকুপাংচার চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এ চিকিৎসা নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকেই সম্পূর্ণস্ট্রোক পরবর্তী সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

স্ট্রোক কি? (What is Stroke)

স্ট্রোককে (Stroke) চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় সেরিব্র ভাসকুলার একসিডেন্ট বলা হয়। আমাদের দেশে প্রচলিত ধারণা আছে, স্ট্রোক হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের রোগ। আসলে তা নয়। স্ট্রোক (Stroke) সম্পূর্ণ মস্তিষ্কের একটি দুর্ঘটনা বা ব্রেইনের রক্তনালির জটিলতাজনিত মারাত্মক একটি সমস্যা। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কোনো কারণে বিঘ্নিত হলে স্ট্রোক সংঘটিত হয়। বিশেষ করে রক্তনালি বন্ধ হয়ে কিংবা রক্তনালি ছিঁড়ে মস্তিষ্কে এ রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। রক্তে থাকে অক্সিজেন আর পুষ্টিগুণ। ফলে অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো মারা যায়। ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব স্ট্রোক (Stroke) দিবস হিসাবে পালন করে আসছে।

আকুপাংচার চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হওয়া রোগীর অভিব্যাক্তি
  • মাথা ঘুরানোর সঙ্গে সঙ্গে চোখে ঝাপসা দেখা, চারদিক অন্ধকার লাগা বা ডাবল দেখা।
  • হাঁটতে অসুবিধা এবং ভারসাম্য রক্ষায় সমস্যা হওয়া, মস্তিষ্কের কোষগুলো শরীরের যে অংশ নিয়ন্ত্রণ করে ওই অংশও প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।
  • পুরো শরীর ঘেমে যেতে পারে।
  • দুর্বলতা বা অবশ লাগা, শরীরের একপাশ অকেজো হয়ে যাওয়া, অনেক সময় হাত-পা অবশ হয়ে যায়।
  • মুখ বেঁকে যাওয়া।
  • কথায় জড়তা বা কথা বলতে সমস্যা হওয়া।
  • হঠাৎ অসহ্য মাথাব্যথার সঙ্গে বমি হওয়া এবং প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা।

স্ট্রোক হলে করনীয়

চর্বি ও শর্করাযুক্ত খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শারীরিক ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে ওজন কমানো, খাদ্যে পশুর চর্বি ও অধিক পরিমাণ লবণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা। ফাস্টফুড, সন্দেশ-রসগোল্লা, দুধ-ঘি-পোলাও-বিরিয়ানি, চিংড়ি-কাঁকড়া, গরু বা খাসির মাংস, নারকেল বা নারকেলযুক্ত খাবার ইত্যাদি কম খাওয়া উচিত।

শাকসবজি, অল্প ভাত, সামুদ্রিক মাছ, বাচ্চা মুরগি ও ডিম খেলে কোনো ক্ষতি হয় না। তবে ডিম অবশ্যই হেভি মেটাল বিহীন হতে হবে তা না হলে উপকার এর পরিবর্তে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে।  নিয়মিত ব্যায়াম, সকাল-বিকাল হাঁটাচলা করতে হবে এবং অলস জীবনযাপন পরিহার করতে হবে। দুশ্চিন্তা বা টেনশনমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত ধর্মচর্চা এ ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

স্ট্রোক (Stroke) অবশ্যই একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল ও কষ্টসাধ্য। আক্রান্ত রোগী নিজে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, পরিবারের জন্য অনেক সময় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রতিরোধ করাই সর্বোত্তম।

স্ট্রোক বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। বিশেষ করে হাইপার টেনশন থেকে স্ট্রোক হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। স্টোক এর মাত্রা পুরো পৃথিবীতে অতি মাত্রায় বাড়ছে। মানুষের খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন মানুষিক চাপ ইত্যাদি কারণে স্ট্রোক দিন দিন বেড়েই চলেছে। বেশ কিছু নিয়ম যদি প্রথম থেকেই মেনে চলা যায় তাহলে কিছুটা হলেও স্ট্রোকের প্রবণতা কমানো যায়। নিচে স্ট্রোক প্রতিরোধের কৌশলগুলো দেওয়া হল:

  • প্রতিদিন ব্যায়াম করা
  • ধূমপান ছেড়ে দেওয়া
  • প্রচুর শাকসবজি খাওয়া
  • অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া পরিহার
  • মদ্যপান পরিহার করা
  • অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করা

স্ট্রোক (Stroke) প্রতিরোধে আকুপাংচার এর ভূমিকা

আধুনিক বিশ্বে স্ট্রোকের  (Stroke) জন্য বেশকিছু চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচলন রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাটি হল আকুপাংচার।  আকুপাংচার প্রায়শই স্ট্রোক (Stroke) রোগীদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল এবং অন্যান্য স্নায়ুবিক সংগঠনগুলোকে উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।  প্রাথমিকভাবে যখন রোগীদের প্যারালাইসিস বা মোটর নিউরন রোগগুলো দেখা দেয় তখন প্রথমে রোগীর পুরো শরীর এবং মাথায় আকুপাংচার করা হয়। এটি শরীরের উদ্দীপনা আগে থেকে বৃদ্ধি করে এবং ধীরে ধীরে কাজ করা শুরু করে। আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরের উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এর সাথে কিছু শারীরিক ব্যায়াম এই স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।  আকুপাংচার একটি চীনা ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিগত চিকিৎসা।   এর উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এটি শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করে এবং স্নায়ু সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে।

আকুপাংচার ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার পাশাপাশি শরীরকে আরও দক্ষ করে তোলার একটি চমৎকার উপায়। আকুপাংচারের মাধ্যমে কোষগুলি বৈদ্যুতিক শক দিয়ে উদ্দীপিত হয়,ফলে উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এই চিকিৎসাটি  শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত ​​​​প্রবাহ বাড়ায় এবং বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ করে যা অবস্থার উন্নতি করতে পারে। নতুন উদ্দীপনা বেদনাদায়ক এলাকায় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, এবং এটি অবশেষে সম্পূর্ণ রূপে হ্রাস পায়। বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট http://www.suoxihospital.com  ভিজিট করুন।

See More…

দাঁত ব্যথা (Toothache) এর কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

শ্বাসকষ্ট সমস্যা ও ঘুমের সমস্যার প্রাকৃতিক চিকিৎসা এখন শশী হাসপাতালে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Receive the latest news

Subscribe To My Weekly Newsletter

Get notified about new articles