এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ব্যথা কি? (Endoscopy)
এন্ডোসকপি হল একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি যার সাহায্যে অভ্যন্তরীণ অঙ্গ গলা, খাদ্যনালী, পাকস্থলী ও ডিওডেনাম এর দ্বিতীয় অংশ পর্যন্ত বিস্তারিতভাবে পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়। এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তীতে শরীরে যে ব্যথা হয় মূলত তাকে এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ব্যথা বলে।
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে এন্ডোসকপি ব্যাথার চিকিৎসা করা হয়। এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তীতে এক ধরনের ব্যথার সৃষ্টি হয়, যা অনেকটাই যন্ত্রণাদায়ক। আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে এই ব্যাথা কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া করা যায়। সুনামধন্য আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর কাছে আকুপাংচার চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন অনেকেই।
এন্ডোসকপি পরীক্ষা কেন করা হয়?
আপনার যদি নিম্ন লিখিত এক বা একাধিক লক্ষণ থেকে থাকে তখন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আপনার এন্ডোসকপি পরীক্ষা করার জন্য পরামর্শ দিবে। নিচে এর কিছু সাধারণ লক্ষণ তুলে ধরা হলো-
- গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণঃ পেটের উপরিভাগে ব্যথা, পেট ফেঁপে বা ফুলে থাকা, খালি পেটে বা খাওয়ার পরে সাধারণ বমি বা রক্ত বমি করা, ডায়রিয়া, মলের সাথে রক্ত যাওয়া, ওজন হ্রাস।
- শরীরের পেশীর কিছু লক্ষণঃ লিগামেন্টের ব্যথা এবং লিগামেন্টের নড়াচড়ার সময় কটকট শব্দ করা।
- শ্বাসকষ্টের লক্ষণঃ শ্বাসকষ্ট, শ্বাস নিতে অসুবিধা, শ্বাসকষ্টের কারণে খাবার গিলতে অসুবিধা।
- প্রস্রাবের কিছু লক্ষণঃ ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ, প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া।
এছাড়াও মহিলাদের তলপেটে ব্যথা, অনিয়মিত মাসিক, মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত এবং খাদ্যনালীর ক্যান্সার, পলিপ, আলসার এর মত রোগ নিরুপন করতে এন্ডোসকপি পরীক্ষা করা হয়।
এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ঝুঁকি
এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী নিচের লক্ষণসমূহ দেখা দিলে অতি শ্রীঘ্রই ডাক্তার দেখানো উচিত। নিচে তার কিছু লক্ষণসমূহ উল্লেখ করা হলো-
- পেট এবং বুকে তীব্র ব্যথা
- জ্বর
- নিশ্বাস নিতে অসুবিধা
- ঘুমের সমস্যা
- বমি বমি ভাব বা বমি
- অতিরিক্ত রক্তপাত
- গাঢ় রঙের মল
এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ব্যথা প্রতিরোধে আকুপাংচার চিকিৎসা
এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ব্যথা সিন্ড্রোমের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের ব্যথার ওষুধ রয়েছে যা সাময়িকভাবে ব্যথা কমাতে নেওয়া যেতে পারে। তবে বিভিন্ন কৌশলও রয়েছে যা তাত্ক্ষণিক ব্যথা উপশম করতে পারে। তবে শুধুমাত্র ওষুধ খেয়ে এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ব্যথা অনেক সময় পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব হয় না। এটি আপনাকে সাময়িক ব্যথা উপশম দেবে।
এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ব্যথা চিকিৎসার জন্য নতুন পদ্ধতি আকুপাংচার। আকুপাংচার, এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ব্যথা রোগ সম্পূর্ণরূপে নিরাময়ে সাহায্য করে। ডাক্তাররা দেখেছেন যে আকুপাংচার এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ব্যথা চিকিৎসায় খুব সহায়ক হতে পারে। গবেষণা অনুসারে। আকুপাংচার সূঁচ শরীরের বিভিন্ন অংশকে উদ্দীপিত করে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এটি এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ব্যথা উপশমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ব্যথা রোগের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন আকুপাংচার চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যথাজনিত আরো অনেক রোগের সুচিকিৎসা পাওয়া যায় এই আকুপাংচার পদ্ধতিতে। আকুপাংচার পদ্ধতিটি একটি চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা যার উৎপত্তি হয় চীন দেশে। ধারণা করা হয় এটি মানব ইতিহাসের পুরনো একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরনো ।
স্বল্পমেয়াদী ব্যথা কমানোর বিভিন্ন উপায় আছে, যেমন ওষুধ সেবন, তবে এমন বিভিন্ন কৌশলও রয়েছে যা তাৎক্ষণিক ব্যথা উপশম করতে পারে। এন্ডোসকপি পরীক্ষার পরবর্তী ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আকুপাংচার একটি অত্যন্ত কার্যকরী চিকিৎসা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আকুপাংচার হল ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার এবং শরীরকে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আকুপাংচার শরীরে উদ্দীপনা তৈরি করতে পারে যা স্বাস্থ্যের উন্নতিতে আবশ্যক । নতুন উদ্দীপনা শরীরের প্রভাবিত এলাকায় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, এবং এটি শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে কমে যায়।
See More…
আকুপাংচারঃ এক বিস্ময়কর চিকিৎসা পদ্ধতি
রক্তনালীর বাধাজনিত প্রবাহ (Pain in thromboangiitis obliterans) এর লক্ষন ও ঔষুধ বিহীন চিকিৎসা