অ্যাজমা হচ্ছে একটি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা। অ্যাজমা বা হাঁপানি মূলত শ্বাসনালীকে প্রভাবিত করে প্রদাহজনিত সমস্যা। বিভিন্ন কারণে এই রোগ হতে পারে। এর মধ্যে একটি বড় কারন হলো এলার্জি। সারা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্তের সমস্যা বাড়ছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পরও সুস্থ্য হয়নি এমন রোগীর সংখ্যা অনেক। কোন প্রকার ঔষধ ছাড়া অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের চিকিৎসা করা যায়।
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের শশী হাসপাতালে আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট ভাল হয়। দেশ সেরা আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর তত্বাবধানে এই চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তার থেকে এ পর্যন্ত অসংখ্য রোগী চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়েছেন।
অ্যাজমা বা হাঁপানি কী? (What is Asthma)
অ্যাজমা হচ্ছে একটি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা। অ্যাজমা বা হাঁপানি মূলত শ্বাসনালীকে প্রভাবিত করে প্রদাহজনিত সমস্যা হয় ফলে শ্বাসনালীর বায়ুপথ গুলি সরু হয়ে যায়। এর পরিণতিতে শুকনো কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বুকে শোঁ শোঁ আওয়াজ বেশ কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়।
অ্যাজমার কারণ (Causes of Asthma)
হাঁপানি সচরাচর জেনেটিক বা বংশগত ও পরিবেশগত এই সাধারণ দুটি কারণে হয়ে থাকে। যদি বংশের কারোর হাঁপানির সমস্যা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। আর পরিবেশগত বিভিন্ন কারনে হতে পারে। যেমন- ফুলের পরাগরেণু, পাখির পালক, কলকারখানার দূষিত বায়ু প্রবাহ, ধূলাবালি, ধুমপান, বেশি ঠান্ডা লাগলে প্রভৃতি কারনে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে।
অ্যাজমার লক্ষণ (Symptoms of Asthma)
হাঁপানি সমস্যার বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। নিচে তা উল্লেখ করা হলোঃ
- ভারী জিনিস বহন করতে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়।
- ঘন ঘন কাশি হওয়া।
- দম বন্ধ ভাব চলে আসে।
- রাতে ঘুমানোর সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা পড়ে।
- সিঁড়ি উঠার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা।
- কফ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা দেয়।
- বেশি হাঁটা-চলা বা দৌড়ানোর সময় শ্বাসকষ্টে সমস্যা হয়।
অ্যাজমা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
অ্যাজমা (Asthma) প্রতিরোধের জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। এই অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধের জন্য অবশ্যই ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। ঘরোয়া পদ্ধতি হলোঃ
- ধুমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ব্যায়াম করা।
- ধুলা-বালি থেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
- বাড়িতে বিড়াল কুকুর থাকলে তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে।
- পাখির পালক এবং পশুর লোম থেকে দূরে থাকতে হবে।
- বাড়ির বালিশ, চাদর, তোষক পরিষ্কার রাখা এবং রোদে শুকাতে হবে।
অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরেও অ্যাজমা বা হাঁপানি ভালো হয় না। এক্ষেত্রে অ্যাজমা বা হাঁপানি থেকে চিরিস্থায়ী মুক্তি পেতে আকুপাংচার চিকিৎসা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে অবস্থিত শশী আকুপাংচার হাসপাতালে, বাংলাদেশের সব থেকে আধুনিক আকুপাংচার চিকিৎসা (Acupuncture treatment in Bangladesh) ব্যাবস্থা রয়েছে। এখানে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন রোগী এসে আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে অ্যাজমা বা হাঁপানি থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
অ্যাজমার চিকিৎসা
এছাড়াও অ্যাজমা (Asthma) হলে বিভিন্ন উপায়ে নিজেকে সচেতন রাখতে হবে। আর শ্বাসকষ্টের বেশি সমস্যা দেখা দিলে নিকটবর্তী ক্লিনিক বা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে ডাক্টারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অ্যাজমা বা হাঁপানির জন্যে ঢাকার শান্তিনগর চৌরাস্তাতে অবস্থিত শশী হাসপাতালে চেস্ট থেরাপি চিকিৎসা সেবা চালু হয়েছে। চেস্ট থেরাপি আমাদের ফুসফুসকে হেলদি করে তোলে এবং ফুসফুসের তরল পদার্থ মিউকাসকে বাইরে বের করে দেয়। যার ফলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা গুলো যেমন, ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা, সিওপিডি (COPD) ইত্যাদি রোগ গুলো কোন প্রকার ওষুধ ছাড়াই প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া এখানে আকুপাংচার, নেবুলাইজার অর্থাৎ সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
চিকিৎসার পাশাপাশি সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই অর্গানিক খাবার অর্থাৎ হেলদি লাইফ স্টাইল মেনে চলতে হবে। কারণ শরীরের সুস্থতার জন্য পরিমিত পুষ্টিকর অর্গানিক খাবারের কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে শশী হাসপাতালের প্রদত্ত শশী হেলদি লাইফ স্টাইল মেনে চলতে পারেন এবং দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারেন।
See more…