মানসিক সমস্যা

সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) বা মানসিক সমস্যার কারন, লক্ষণ ও আকুপাংচার চিকিৎসা

সিজোফ্রেনিয়া একটি খুবই জটিল মানসিক রোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক যত রোগ আছে তার মধ্যে এটাই সবথেকে বেশি জটিল। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়, তবে পুরুষদের মধ্যেও এর ব্যপকতা রয়েছে। জটিল হলেও সিজোফ্রেনিয়া রোগের চিকিৎসা রয়েছে বাংলাদেশেই (Schizophrenia treatment in Dhaka, Bangladesh)।

আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে সিজোফ্রেনিয়া রোগের ঔষধ ছাড়া চিকিৎসা (Schizophrenia treatment without medicine) করা যায়। এটি একটি মানসিক সমস্যা, এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। বাংলাদেশের একজন সুনামধন্য আকুপাংচার চিকিৎসক ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম বর্তমানে সফলতার সাথে আকুপাংচার চিকিৎসা (Acupuncture treatment in Dhaka) দিয়ে যাচ্ছেন। দেশ সহ বিদেশের অনেক রোগী তার চিকিৎসায় ভালো হয়েছেন।

সিজোফ্রেনিয়া একটি বড় ধরনের মানসিক রোগ। সিজোফ্রেনিয়ার প্রথম অংশটিকে বলা হয় ‘সাইজো’বা ‘সিজো’, যার অর্থ ভাঙা বা টুকরো আর দ্বিতীয় অংশ হলো ‘ফেন্সনিয়া’ অর্থাৎ মন, যার অর্থ দাঁড়ায় ভাঙ্গা মন সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এক ধরনের হ্যালুসিনেশন কাজ করে।

তারা চিন্তা করতে পারে না, অস্বাভাবিক আচরন করে। সবথেকে বড় বিষয় হল তারা বুঝতে পারে না যে তারা কোনো রোগে ভুগছেন। এই রোগীরা দিন দিন একা হয়ে যায়। তারা তাদের নিজের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। অকারনে হাসাহাসি বা কান্নাকাটি ইত্যাদি করে।

বাংলাদেশের আকুপাংচার চিকিৎসার জন্য সেরা শশী হাসপাতাল (Best acupuncture treatment in Dhaka, Bangladesh) থেকে ঔষধ ছাড়া চিকিৎসার মাধ্যমে সিজোফ্রেনিয়া রোগ থেকে মুক্ত হয়েছেন অনেকেই।

সিজোফ্রেনিয়া একটি জটিল মানসিক রোগ। এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে জেনেটিক ভাবে সিজোফ্রেনিয়া রোগ হতে পারে। দেখা গিয়েছে অনেকের বাবা মায়ের ছিল এখন তার সন্তানের হয়েছে। এছাড়াও আরও অন্যান্য কারণে হতে পারে। সিজোফ্রেনিয়া কেন হয়, কারণগুলো নিচে দেওয়া হল:

  • বংশগত কারণ
  • চাইল্ডহুড ট্রমা
  • কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ
  • আয়োডিনের অভাব
  • জন্মকালীন জটিলতা
  • উত্তেজক মাদকদ্রব্য সেবন

সিজোফ্রেনিয়া হওয়ার জন্য উপরোক্ত কারণগুলোকে প্রধান মনে করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কারণ রয়েছে এই রোগ হওয়ার পেছনে। তবে একজন দক্ষ আকুপাংচার চিকিৎসক এর পরামর্শ নিলে এর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সিজোফ্রেনিয়া রোগের লক্ষণ

সিজোফ্রেনিয়া একটি মানসিক রোগ। এই রোগ হলে মানুষের চিন্তা শক্তি হারিয়ে যায়। হ্যালুসিনেশন এর মধ্যে দিয়ে দিন পার করে। আক্রান্ত ব্যক্তি নানা রকম অস্বাভাবিক আচরন করে। এছাড়াও আরও অন্যান্য লক্ষণ রয়েছে। সিজোফ্রেনিয়া এর লক্ষণগুলো (Symptoms of Schizophrenia) নিচে দেওয়া হল:

  • হ্যালুসিনেশন (Hallucination)
  • সিদ্ধান্ত নিতে না পারা
  • বিভ্রান্তি (Delusion)
  • জীবন নিয়ে কোনো আগ্রহ না থাকা
  • শক্তি ধীরে ধীরে কমে আসা
  • বিশৃঙ্খল চিন্তাভাবনা এবং কথাবার্তা
  • সবার সাথে মিশতে না পারা
  • মনোযোগ দিতে সমস্যা
  • স্মৃতিশক্তি হ্রাস
  • কারো সাথে কথা বলতে দ্বিধাদন্ধ
  • বিষণ্ণতা
  • কোনো কাজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারা

শিশুদের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ

শিশুদের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কারণ এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জন্মসুত্রে হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় কোন আঘাত বা ঘটনার কারণে এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও বংশগত ভাবেও হতে পারে। শিশুদের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ গুলো নিচে দেওয়া হল:

  •  আই কন্ট্রাক নেই/চোখে তাকিয়ে কথা না বলা।
  •  নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয় না।
  •  সামাজিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ নেই।
  •  একা থাকতে পছন্দ করে।
  •  বয়স অনুযায়ী জ্ঞান বুদ্ধিগত বিকাশ হয় না।
  •  পরিবেশন অনুযায়ী আচরন করতে পারে না।
  •  সমবয়সীদের সাথে খেলাধুলা করে না, মেলামেশা করে না।

সিজোফ্রেনিয়া কি ভালো হয়

বিশেষজ্ঞদের মতে সিজোফ্রেনিয়া রোগ সম্পূর্ণ ভাবে নিরাময় হয় না। তবে এর উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আকুপাংচার চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেখা যায় সিজোফ্রেনিয়া রোগী অনেকটাই সুস্থ্য হয়েছে। আকুপাংচার একটি চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি একটি ঔষধ বিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে সুচের ব্যবহার ও বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সিজোফ্রেনিয়ার আরও অন্যান্য চিকিৎসা মাধ্যম রয়েছে তবে আবুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে এর সফলতার হার অনেকটাই বেশি।

আকুপাংচার চিকিৎসক হিসেবে খ্যাতিমান ডাক্তার ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম n দীর্ঘদিন ধরে দেশ সহ বিদেশি রোগীদের আকুপাংচার চিকিৎসা (Acupuncture treatment in Dhaka) দিয়ে আসছেন।

সিজোফ্রেনিয়া একটি জটিল মানসিক সমস্যা। এই রোগের রোগীরা তাদের মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তারা কোন কিছু চিন্তা করতে পারে না, হ্যালুসিনেশন (Hallucination) এ ভোগে ও অস্বাভাবিক আচরন করে। এই রোগ এর বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হল জ্বীন গত। আবার অনেক সময় ট্রমা থেকেও হতে পারে।

সিজোফ্রেনিয়ার অনেক রকম চিকিৎসা রয়েছে। যার মধ্যে আকুপাংচার একটি অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কোন প্রকার ঔষধের ব্যবহার ছাড়া সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia treatment without medicine) চিকিৎসা করা হয়। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার স্পেশালাইজড শশী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আকুপাংচার হল একটি ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধের অনুশীলন যা শক্তির প্রবাহকে উদ্দীপিত করতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও মঙ্গলকে উন্নীত করার জন্য শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলিতে পাতলা সূঁচ প্রবেশ করানোর সাথে জড়িত। আকুপাংচার সাধারণত ব্যথা ব্যবস্থাপনা এবং স্ট্রেস রিলিফের সাথে যুক্ত, এটি টিটজ সিন্ড্রোম সহ বিভিন্ন চিকিৎসা অবস্থার চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়েছে। টিটজ সিন্ড্রোমের সমস্যাগুলি বিস্তৃত সমস্যাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে একত্রে কাজ করে এই অবস্থার চিকিৎসায় আকুপাংচারকে একটি সহায়ক থেরাপি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

See More…

রিফ্লেক্স সিমপ্যাথেটিক ডিস্ট্রফি (Reflex sympathetic dystrophy) নিরাময়ে  আকুপাংচারের ভূমিকা

বেলস পালসি কেন হয়? বেলস পালসির চিকিৎসা কি? Bell’s palsy

Leave a Reply

Receive the latest news

Subscribe To My Weekly Newsletter

Get notified about new articles