সাধারণত শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে মুখে মেছতা দেখা যায়। এটি সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবে ছেলেদের মুখের মেছতা হওয়ার প্রমাণও আছে। মেছতা হওয়া পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। চলুন জেনে নেই মুখে মেছতা দূর করার উপায়, কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে।
আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে মুখের মেছতা জনিত রোগের ঔষধ বিহীন চিকিৎসা করা হয়। মুখে মেছতা হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যা আকুপাংচার দ্বারা খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বাংলাদেশের সেরা আকুপাংচার স্পেশালিষ্ট ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে এই ঔষধ বিহীন চিকিৎসা (Non medicine treatment in Dhaka, Bangladesh) প্রদান করে আসছেন।
মেছতা কী? (Melasma)
মেছতা হলো ত্বকের একটি পিগমেন্টেশন ডিসঅর্ডার (Pigmentation Disorder) । এটি ত্বকে বর্ধিত মেলানিন জমার ফলে মুখের একপাশে বা উভয় পাশে বিবর্ণ হালকা কালো দাগ বা প্যাচ পড়ে। মেছতা (Chloasma) পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশী হয়। যা মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়।
মেছতা কেন হয়?
১. সূর্যের রশ্মিঃ সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি মেলানিন তৈরী করে যা অতিরিক্ত তাপের প্রভাবে বর্ধিত মেলানিন শরীরে কালো দাগ বা ছোপ তৈরী করে যা মেলাসমা বলা হয়
২. জন্ম নিয়ন্ত্রণ ঔষধঃ জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি বা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঔষধ সেবন এর কারণে মেলাসমা কারণ হতে পারে
৩. গর্ভাবস্থাঃ অধিকাংশ নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হয়। এর ফলে মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা দেয়
৪. হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism): থাইরয়েড (Thyroid) এর সমস্যার কারণে হরমোন এর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে মেছতা হতে পারে
৫. হরমোনঃ পুরুষের তুলনায় নারীদের মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ নারীদের গর্ভাবস্থা বা গর্ভনিরোধক ঔষধ সেবনের ফলে হরমোনের পরিবর্তন হয় যার কারণে মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়
৬. প্রসাধনীঃ কিছু প্রসাধনী বা সাবানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে মেছতার কারণ হতে পারো
৭. জেনেটিকঃ পরিবারের কারোর মেলাসমা থাকলে বিশেষ করে মায়ের মেলাসমা থাকলে তার সন্তানেরও মেলাসমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
মুখে মেছতা হওয়ার লক্ষণ
মুখে মেছতা, যা হাইপারপিগমেন্টেশন নামেও পরিচিত। এটি ত্বকের একটি সমস্যা যেখানে ত্বকের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ত্বকের রঙ গাঢ় হয়ে যায়। এর বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে:
- ত্বকের রঙয়ের পরিবর্তন
- একটি নির্দিষ্ট এলাকা দিয়ে হওয়া
- মেছতা ছোট ছোট ছাপ থেকে শুরু করে বড় দাগ হতে পারে
- মেছতা অনিয়মিত ছাপ বা গোলাকার হতে পারে
- মেছতা বাদামী, ট্যান, কালচে বা লালচে হতে পারে
মেছতা হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যার চিকিৎসা করলে মেছতা দূর করা যায়। আকুপাংচার চিকিৎসার মাধ্যমে মেছতা জনিত রোগের চিকিৎসা করা যায়। বাংলাদেশে একমাত্র আকুপাংচার হাসপাতাল “শশী হাসপাতালে” মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় আকুপাংচার সেবা (Female acupuncture service center in Bangladesh) দেওয়া হয়।
মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
মুখে মেছতা, যা হাইপারপিগমেন্টেশন নামেও পরিচিত। এটি ত্বকের একটি সমস্যা যেখানে ত্বকের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ত্বকের রঙ গাঢ় হয়ে যায়। সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয় তবে ছেলেদের মুখেও মেছতা হয়ে থাকে। বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো হল:
- আক্রান্ত জায়গায় লেবুর রস লাগিয়ে, কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলতে হবে
- আক্রান্ত জায়গায় দই লাগিয়ে একটু পর ধুয়ে ফেলা
- মধু মেছতা কমাতে সাহায্য করে
উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চলার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বাংলাদেশের সুনামধন্য আকুপাংচার হাসপাতাল “শশী হাসপাতাল” এ নারীদের চিকিৎসার (Female acupuncture service center in Bangladesh) জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
মেছতা নিরাময়ে আকুপাংচারের ভূমিকা
আকুপাংচার হল একটি পরিপূরক থেরাপি যা মেলাসমা সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য অবস্থার জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও কিছু লোক বিশ্বাস করে যে আকুপাংচার মেছতা চিকিৎসায় একটি ভূমিকা পালন করতে পারে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এর কার্যকারিতা এখনও চলমান গবেষণা। মেলাসমা চিকিৎসায় আকুপাংচারের ভূমিকা পৃথক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে এবং এটি সাধারণত প্রচলিত চিকিৎসার সাথে একত্রে ব্যবহার করা উচিত। মেলাসমা চিকিৎসার প্রসঙ্গে আকুপাংচার বিবেচনা করা যেতে পারে এমন কিছু উপায় এখানে রয়েছে।
স্ট্রেস কমানোঃ আকুপাংচার স্ট্রেস কমাতে এবং শিথিলতা উন্নীত করতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। স্ট্রেস উর্বরতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তাই আকুপাংচারের মাধ্যমে চাপের মাত্রা হ্রাস করা কিছু ব্যক্তির জন্য উপকারী হতে পারে যারা গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন।
হরমোনের ভারসাম্যঃ আকুপাংচারের কিছু প্রবক্তা বিশ্বাস করেন যে এটি হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে যা মেলাসমা নিরাময়ে অবদান রাখতে পারে। আকুপাংচার মাসিক চক্র এবং ডিম্বস্ফোটনের সাথে জড়িত কিছু হরমোন নিঃসরণকে প্রভাবিত করতে পারে।
কিছু ব্যক্তি সহায়ক মেছতা পরিপূরক থেরাপি হিসাবে আকুপাংচার ব্যবহার করতে পারে। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় আকুপাংচারের কার্যকারিতা এবং ফলাফল ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে। আপনি যদি আপনার বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ হিসাবে আকুপাংচার বিবেচনা করে থাকেন তবে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা প্রজনন বিশেষজ্ঞের সাথে এটি নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতির জন্য আকুপাংচার উপযুক্ত কিনা এবং সাফল্যের সম্ভাবনাকে সর্বাধিক করে এমনভাবে আপনার যত্নের সমন্বয় করতে পারে কিনা সে বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করতে পারে।
বাংলাদেশের একমাত্র হাসপাতাল ” শশী হাসপাতাল ” যেখানে ঔষধ বিহীন চিকিৎসা (Non medicine treatment in Dhaka, Bangladesh) দেওয়া হয়। এখানে দেশ সেরা আকুপাংচার ডাক্তার ডা. এস. এম. শহীদুল ইসলাম এর তত্বাবধানে আকুপাংচার চিকিৎসা (Acupuncture treatment in Dhaka, Bangladesh) দেওয়া হয়।
See More…